অনলাইন জুয়া | সচেতনতা
এই যে ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলে গেল, ঘটনাটা সেই সময় ঘটেছিল। যদিও এমন ঘটনা নতুন না, তবে কখন কে কিভাবে এসব বিষয়ের সঙ্গে ফেঁসে যাবে সেটাই হচ্ছে ভাবার বিষয়।
মাধ্যমিক পড়ুয়া রাসেল কোনভাবেই জানতো না, সে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে ফেঁসে যাবে। মূলত লোভ বেশি কাজ করেছিল, তাছাড়া যতবারই ফেসবুকে ঢুকতো লাইভ খেলা দেখার জন্য ততবারই জুয়ার সাইট গুলোর ক্রমাগত বিজ্ঞাপন আসতো।
প্রযুক্তি যেমন আমাদের সবকিছুকে সহজ করে দিয়েছে, তেমনটা আবার প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অনেক মানুষই ক্রমাগত অন্যায় কার্যকলাপ করে যাচ্ছে এবং প্রলোভিত করছে অন্য সকল সাধারণ মানুষকে। তবে এক্ষেত্রে একটা কথা, অনেকে যেমন সচেতন তেমনটা আবার অনেকে ভীষণ অজ্ঞ। আবার অনেকে অতি উৎসাহী হয়ে স্বেচ্ছায় আগ্রহবশত ঢুকে যায় এসব জুয়ার সাইটে।
কেউ অজ্ঞতার কারণে লোভের শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত পয়সা হারিয়ে ফেলে আবার কেউবা অতি উৎসাহী হয়ে নিজের খারাপ পরিণতি নিজের থেকেই ডেকে নিয়ে আসে। দেখুন একটা কথা খোলামেলা ভাবে বলি, টাকা কামানো যদি এত সহজ হত, তাহলে তারা এত বিজ্ঞাপন করত না। তারা কোম্পানি খুলেও বসতো না।
এটা শুধুমাত্র ওখানে যারা খেলার উপরে টাকা বাজি ধরে, শুধুমাত্র কোম্পানি মাঝখান থেকে নিজের প্রফিটটা রেখে একজনের পয়সা অন্যজনকে দিয়ে দেয়। মানেটা ভীষণ সহজ, ধরুন এই বলে একজন টাকা ধরেছে ছয় হবে সেটার পক্ষে আবার সেই একই বলে অন্যজন টাকা ধরেছে ছয় না হওয়ার বিপক্ষে।
মাঝখান থেকে কোম্পানি ছয় হওয়ার পক্ষে বলেছে ১০০ টাকায় ১৯০ টাকা দিবে আবার অপরপক্ষে ছয় না হওয়ার ক্ষেত্রেও বলেছে ১০০ টাকায় ১৯০ টাকা দিবে। আসলে কোম্পানি কার লস হচ্ছে কার লাভ হচ্ছে, এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায় না। কোম্পানি শুধুমাত্র তার নিজের প্রফিটের কথা চিন্তা করে। এখন কারো হয়তো সেই বলে ৬ হয়নি সে জিতে গিয়েছে, তখন দেখা গিয়েছে অপর পক্ষ থেকে যে ৬ হওয়ার ক্ষেত্রে পয়সা ধরেছিল, তার টাকাটা কোম্পানি অন্যজনকে দিয়ে দিয়েছে, নিজের লাভের অংশটা রেখে।
এই বিশ্বকাপে রাসেল মোটামুটি ফেসবুকে লাইভ খেলা দেখার মাধ্যমে কিছু জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন দেখেছিল এবং অতি উৎসাহিত হয়ে কখন যে জুয়ায় প্রবেশ করেছে, সে নিজেও সেটা বুঝতে পারেনি। অবশেষে হাজার পাঁচেক টাকা যখন লস করেছে, তখন মোটামুটি তার হঁশ ফিরেছে এবং পুরো ঘটনা তখন তার চোখের সামনে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
আসলে এমন নীরব ব্যাধির শিকার ক্রমাগত অনেকেই হচ্ছে। এ থেকে বিরত থাকার একটাই উপায়, সেটা হচ্ছে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগানো। যদিও এমন বিষয়ে আমরা সবাই সচেতন, তবে তারপরেও কেউ যেন এমন ভুল না করে ফেলি, তেমনটাই তো প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1727200245724205549?t=s6Atx9AxVVkf81Sr28AxwA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনলাইনের দুনিয়ায় অনেক কিছুই এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। তবে ব্যবহারকারীর মধ্যে অনেকেই খুব বেশি সচেতন না হওয়ায় এমন ডিজিটাল ফাঁদেও পড়েন। যখন অনেকখানি লস হয়ে যায়, তারপরে হুঁশ ফিরে। এমন ক্ষেত্রে আসলেই সচেতনতা খুবই প্রয়োজন।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু, আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমাদের এদিকে অনেকেই অনলাইন জুয়া খেলে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। আইপিল,বিপিএল, বিশ্বকাপ ক্রিকেট, এমনকি মহিলা ক্রিকেট খেলা হলেও তারা বাজি ধরে অনলাইনের মাধ্যমে। ছোটবেলায় নিজেরা ক্রিকেট খেলার সময় বাজি ধরে খাওয়া দাওয়া করতাম। আর এখন অনেকে অনলাইনে বাজি ধরাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। আবার অনেকে নিজে বাজি ধরে না,অন্য মানুষদেরকে নিজের মোবাইলের মাধ্যমে বাজি ধরিয়ে দেয়,এতে করে কিছু ইনকামও করতে পারে। যাইহোক আমাদের সবার উচিত এই ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জুয়া সর্বনাশ। কত মানুষ যে আর্থিক ভাবে সর্বশান্ত হয়েছে তার হিসেব নেই। আর অনলাইন জুয়া খপ্পরে পড়ে আর্থিক ভাবে সর্বশান্ত হচ্ছে মানুষ।বিশেষ করে তরুণ সমাজ। জুয়া খেলাও এক ধরণের নেশা। একবার আসক্ত হলে বের হওয়া মুশকিল। আর অনলাইন জুয়া এত সহজলভ্য,তাদের প্রচারণায় মানুষ সহজে আকৃষ্ট হচ্ছে। ধরা খাচ্ছে। শুধু ক্রিকেট খেলা নয় সারা বছরেই এখন অনলাইন জুয়ার রমরমা আসর। আমাদের উচিত প্রলোভনে না পড়া।পরিচিতদের প্রলোভনের হাত থেকে রক্ষা করা। ভাইয়া, আপনার পোস্টটি সময়োপযোগি।সচেতনতামূলক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সচেতন হউন সবাই, এসব ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন, এমনটা প্রত্যাশা করি।
বাহ্ চমৎকার একটি সময় উপযোগী পোস্ট আপনি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।অনলাইন জুয়া এই জিনিসটা খারাপ একটি দিক,বর্তমান তরুণ প্রজন্ম এগুলোতে জড়িয়ে ঝামেলায় পড়ছে প্রতিনিয়ত।ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এসে কিছু মানুষ খুব চালাক হয়ে যাচ্ছে আবার কিছু মানুষ বোকামি করে ফাঁদে পরছে। যাইহোক ভালো রাস্তায় চললে অনেক কিছু করা সম্ভব। রাসেলের মতো যারা এই সমস্ত বিজ্ঞাপন দেখে খারাপ খারাপ রাস্তায় চলে যাচ্ছে তারা ভীষণ ক্ষতির শিকার হচ্ছে। যদিও একটা সময় পর ক্ষতিটা বুঝতে পারছে কিন্তু ততক্ষণে অনেক টাকা লসের শিকার হচ্ছে। যাই হোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক এবং সুস্থ মানসিকতা নিয়ে সমাজে চলাচল করুক এই কামনা করছি।
সবার ভিতরে একটা ভালো সচেতনতা কাজ করুক এমনটাই প্রত্যাশা করি এবং এই সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে যাক সর্বত্র।
রাসেলের মত অনেকেই আছে যারা খুব সহজেই বিপদের মধ্যে পা বাড়ায়। আসলে লোভনীয় কিছু দেখলেই মানুষ সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু শেষ পরিণতি অনেক খারাপ হয়। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আশা করছি সবাই অনেক সচেতন হবে।
লোভ সীমিত থাকুক, সবাই সঠিক কর্মে নিয়োজিত হোক এমনটাই প্রত্যাশা করি।
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ,আসলে প্রযুক্তি যেমন আমাদের জীবনটা কে সহজ করে দিয়েছে ঠিক তেমনি খুব সহজেই আবার অন্যায় কাজে মানুষ লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে । এ বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে অনেকেই জোয়ার মত অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়েছে । অনেকে আবার সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছে । এসব কাজ থেকে আসলে দূরে থাকাই ভালো আমি মনে করি ।
এসব অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকাই ভালো।
এটা কিন্তু ঠিক কথা বলেছেন দাদা কোম্পানি শুধু নিজের লাভের কথাই চিন্তা করে। কোম্পানি কখনো লসের ভাগীদার হয় না। দিন দিন অনলাইন জুয়াটা সবার মাঝে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইন জুয়া থেকে আমাদের সবারই সচেতন থাকা উচিত। রাসেলের মতো অনেকেই রয়েছে যারা হাজার হাজার টাকা অনলাইন জুয়া খেলে লস করে তারপর হঁশে ফিরে আসে।
এই সচেতনতা ছড়িয়ে যাক সকলের মাঝে এমনটাই প্রত্যাশা করি।
আমরাও দাদা তেমনটাই চাই । অনলাইন জুয়ার নেশা থেকে সবাই বেরিয়ে আসুক এবং সবাই সুস্থ ভাবে বাঁচুক।