গোধূলি লগ্নে
যেহেতু ছয়টা দিন ইন্টারনেট ছিল না, সেহেতু মোটামুটি সময়টা কেটেছিল অনেকটা এলোমেলো ভাবে। তাছাড়াও নিজের কাজকর্ম বন্ধ ছিল, তাই এ কয়দিনে বই পড়েছি শান্তি মতো। দুটো পাঁচশো পৃষ্ঠার বই গোগ্রাসে গিলে ফেলেছি। এতো কিছুর পরেও একটা প্রশ্ন মাঝে মাঝেই মনে উদিত হয়,
পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য যেমন খাবার দরকার, তেমনটা মস্তিষ্কের পুষ্টির জন্য প্রগতিশীল বইয়ের কোন বিকল্প নেই।
গ্রামের দিকটাতে শহরের মতো ঝামেলা ছিল না, তাই প্রায় দিনই বিকেল বেলা করে দোলন ভাইয়ের মোটরবাইকে চড়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়িয়েছি। প্রকৃতি যেন আমাদের কে একদম অনেকটা আপন করে নিয়েছিল। বিশেষ করে গোধূলি লগ্নে, মুহূর্তে মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছিল আকাশের দৃশ্যপট।
হুট করেই নীল আকাশের বুকে ডুবন্ত সূর্যের রক্তিম আভা অনেকটাই দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিল। রাস্তার দু'পাশের জমিগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছিল ফসল চাষের জন্য। এ দিকের মানুষের ব্যস্ততা এখন ফসল চাষ নিয়ে। বড্ড সহজ সাধারণ জীবন তাদের।
যেহেতু পড়ন্ত বেলায় দুভাই ঘুরতে বেরিয়েছিলাম, তাই চেষ্টা করেছিলাম ফাঁকা জায়গা দেখে, সেখানে কিছুক্ষণ বসে নিজেদের মতো করে সময় কাটানোর জন্য । যতদূর চোখ যাচ্ছিল শুধু উন্মুক্ত জমি দেখতে পাচ্ছিলাম আর নীল আকাশের অপার্থিব সৌন্দর্য বাড়াবার চোখে ধরা পড়ছিল।
গোধূলি বেলার এমন নীল আকাশের অপার্থিব সৌন্দর্য, হয়তো কবি সাহিত্যিকদের কাছে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এমন পরিবেশ তাদের উন্মুক্ত চিন্তার আরও বিকাশ ঘটাতে পারে।
তবে আমি একটু ভিন্নভাবে ভাবতে পছন্দ করি। কেননা সবার দর্শন তো আর এক না, কেউ হয়তো নীল আকাশের বুকে ঐ রক্তিম আভা দেখে যেখানে ছন্দ মেলাতে ব্যস্ত, সেখানে হয়তো আমি স্পষ্ট বিষাদের ছাপ দেখতে পাচ্ছি।
প্রতিটা ক্ষেত্রেই সকলের স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনা থাকা অতীব জরুরী, তাতে আর যাইহোক নিজেকে কোন অবস্থাতেই হীনমন্যতায় ভুগতে হয় না।
এই যে সেদিন পড়ন্ত বেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম আর এমন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দুচোখ ভরে অবলোকন করেছিলাম, তাতে হয়তো কিছুটা হলেও নিজের ভেতরের সমসাময়িক বেদনাকে উড়িয়ে দিয়েছিলাম, ওই গোধূলি বেলার রক্তিম আভার সঙ্গে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝে মাঝে গ্রামের দিকে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু ভালই লাগে ভাই। তবে এই ছয়দিন যে ইন্টারনেট ছিল না, তা কিন্তু অন্যভাবে এনজয় করেছ বোঝাই যাচ্ছে। ছবিগুলো তো অসাধারণ তুলেছ। গোধূলি বেলার এমন ছবি সত্যিই মন ভালো করে দেওয়ার মত। ইন্টারনেটহীন কয়েকটি দিন কিন্তু তোমাকে বেশ অন্যরকম ভাবে কাটানোর একটা সুযোগ দিল বটে। আর বই পড়া সব সময় ভালো অভ্যাস। সময়টা বেশ ভালো করেই কাটিয়েছো বোঝা যাচ্ছে।
একদম দাদা, সময়টা সত্যিই বেশ ভালো কেটেছিল।
শুভেচ্ছা রইল।
আহা কী অপূর্ব ছবিগুলো। চোখ সরেই না যেন৷ গ্রামের একটা অন্যরকম নিশ্চয়তা আছে বলেই আমি বিশ্বাস করি। আর ছবিগুলো সেই জন্য চমৎকার হয়। ইন্টারনেট পরিসেবা না থাকার কারণে আপনাদের যেমন অনেক অসুবিধে হয়েছিল আবার দেখুন বই পড়ার জন্য খানিকটা সময় পেলেন আর প্রকৃতির মধ্যে ভেসে যাওয়ার অনেকটা সময়। জীবনে আসলে সব কিছুই দরকার হয় তাই প্রতিটা সময়কে সঠিক ভাবে উপভোগ করলে জীবনটা সহজ হয়ে যায় অনেক।
বই আর প্রকৃতি এই দুই বন্ধুর মতো বন্ধু পৃথিবীতে বোধহয় আর কিছু নেই।
একদম ঠিক বলেছেন কিন্তু। আমার কাছেও তেমনটাই মনে হয়।
গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য কেনা পছন্দ করে। আমি তো অনেক বেশি ভালোবাসি গ্রাম বাংলার এরকম সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরাঘুরি করতে। এত সুন্দর আকাশ দেখে তো আমি জাস্ট মুগ্ধ হলাম। গ্রামে আপনি আপনার ভাইয়ের সাথে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি করেছেন শুনে অনেক ভালো লেগেছে। এরকম আকাশ দেখলে মনটা অনেক বেশি ভালো হয়ে যায়। বই পড়া কিন্তু অনেক ভালো একটা অভ্যাস। আপনি এই কয়েকদিন বই পড়েছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। আমি মনে করি সবারই উচিত অবসর সময়ে বই পড়া।
এভাবেই ইন্টারনেট বিহীন দিনে সময় কাটিয়েছে আপু, অনেকটা নিজের মতো করে।
বিগত কয়েকদিন ইন্টারনেট ছিলো না বলে রুটিন মোতাবেক একেবারেই চলতে হয়নি। এককথায় বলতে গেলে যখন যা ইচ্ছে সেটাই করেছি। যাইহোক দোলন ভাইয়ের সাথে বাহিরে ঘুরাঘুরি করে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। গোধূলি লগ্নে এমন খোলামেলা পরিবেশে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য, দোলন ভাইয়ের সঙ্গে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন।
গ্রাম অঞ্চলের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো সত্যিই মনোমুগ্ধকর হয়। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য ঘেরা গ্রামীণ পরিবেশে বসে নিজের মনের যত চাপা কষ্ট বা ভালোলাগা সেগুলো অবলীলায় শেয়ার করা যায়। আসলে দাদা গ্রামাঞ্চলের গোধূলি বেলার এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো সবসময়ই দৃষ্টি নন্দন হয়। আপনার লেখাগুলো পড়েও যেমন ভালো লাগলো, তেমনি ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও মন জুড়িয়ে গেল।
ধন্যবাদ ভাই, আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে মন্তব্য করার জন্য।