শখ
অপূর্ব আর অনন্য ওরা দুজনেই আমার বাসার পাশেই থাকে। ওরা বয়সে একদম সমবয়সী। তবে এত কাছে থাকার পরেও, কখনো সেভাবে ওদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়ে ওঠেনি। আসলে শহর অঞ্চলে সবাই ব্যস্ত। এটা অনেকটা যান্ত্রিক নগরী, এখানে সবাই ব্যস্ত তাদের নিজ নিজ জীবন নিয়ে।
আজ যখন বিকেল বেলা বাবুকে কোলে করে নিয়ে, গলির ভিতর দিয়ে হেঁটে বড় রাস্তার কাছে এসেছি, তখনই দেখলাম মাঝ বয়সী এক ভদ্রলোক ওদের দু'ভাইকে রিক্সা থেকে নামিয়ে দিল এবং বলল সোজা তোমরা বাসায় যাও। আমার বুঝতে বাকি রইল না যে, আসলে ভদ্রলোকটা ওদের বাবা।
ব্যতিক্রম কিছু দেখলেই, সবার দৃষ্টি সেখানে আকর্ষণ করে, এটা ভীষণ স্বাভাবিক । তাই হয়তো ওদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। অপূর্বর কাঁধে যে টিয়া পাখিটি দেখলাম, তা অনেক সুন্দর। আমি নিজের থেকেই ওদেরকে গলির ভিতরে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলাম এবং একটা সময়ের পরে ওরা দুই ভাই দাঁড়িয়েও গিয়েছিল, বেশ ভালই কথাবার্তা হলো।
শৌখিন পাখির প্রতি দুর্বলতা ওদের অনেক আগে থেকেই। এই টিয়া পাখিটা যখন ওদের কাছে এসেছে, তখন ওর বয়স ছিল মাত্র ২৫ দিন। এখন বেশ ভালই বড় হয়েছে এবং ওরা এটাও বলেছে ওদের সংগ্রহে আরো কিছু শৌখিন পাখি আছে। পাখি পোষা ওদের অনেকটা ছোটবেলা থেকেই শখ। তাছাড়া ওদের বাবা প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা করে ।
আমি একবার পাখিটা হাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, বাবু প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়েছিল। পরে অবশ্য আগ্রহ নিয়েই দেখছিল। শুনলাম ওদের দুই ভাইয়ের সময় কাটানোর সঙ্গী এই শৌখিন পাখিগুলোই। ওরা বেশ ভালই যত্ন করে ওদের। তাছাড়াও ওদের দুই ভাইয়ের ইচ্ছা আছে, বিড়াল ও কুকুর পোষার। এই শহুরে জীবনে বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা চার দেয়ালে বন্দি হয়ে, অনেকটা একাকীত্ব সময় কাটায়। সেখান থেকে, ওদের বাবা ওদের শখ কে পূর্ণ করতে বেশ ভালই সহযোগিতা করেছে।
তাছাড়া ওদের দুই ভাইয়ের পশুপাখির প্রতি এমন ভালোবাসা জাগ্রত হওয়ার ব্যাপারটাকে, আমি বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছি। এগুলো আসলে সবার দ্বারা হয় না, শখ থাকলেও অনেক ধৈর্যের দরকার হয়। এদিক থেকে ছেলে দুটোর সঙ্গে কথা বলে অনেকটা প্রশান্তিই পেয়েছি। ওদেরকে তো বলেই ফেললাম, তোমাদের ঠিক দুই বাসা পরেই আমি থাকি। একদিন কিন্তু সময় সুযোগ করে, তোমাদের অন্যান্য শৌখিন পাখিগুলো দেখতে যাব। ছেলে দুটো এবার বেশ ভালই খুশি হয়েছে এবং আমাকেও ওদের বাসায় যাওয়ার অগ্রিম দাওয়াত দিয়েছে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1718163165274599779?t=xf4lmjjs56PwI6DLW2YOfg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান সময়ে বাচ্চাকাচ্চারা বেড়ে উঠছে চাপের সম্মুখীন হয়ে। পড়াশোনা এবং নিজেকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায়। আবার কিছু ছেলেপেলে রয়েছে সারাক্ষণ মোবাইলেই সময় দিয়ে থাকে। আর শহর অঞ্চলের বাচ্চাকাচ্চারা আসলেই বেশিরভাগই চার দেওয়ালে বন্দী হয়ে থাকে। তবে এরই মাঝে এই দুই ভাই এর চিন্তাভাবনাটা খুবই চমৎকার এবং তাদের পশু পাখির উপরে এত ভালবাসা কাজ করে সেটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আরেক দিক থেকে তাদের বাবা ও তাদেরকে এই সৌখিন পাখি পুষতে সহযোগিতা করে। সত্যি বলতে একাকীত্ব সময় বা চার দেওয়ালে বন্দীর মাঝেও এরকম পশু পাখি পুষলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায় এবং কিছুটা হলেও প্রশান্তি ভোগ করা যায়। যাই হোক ভাই আপনার মাধ্যমে অন্তত কিছু ভালো লাগার বিষয় জানতে পারলাম। আর বাচ্চাদের বাসা যেহেতু আপনার দুই বাসা পরেই। তাহলে একদিন ঘুরে আসেন তাদের বাসা থেকে। বাকি পাখিগুলো দেখে আসবেন সে সাথে আমাদের জন্য ফটোগ্রাফি করে নিয়ে আসবেন। কারণ আমরা তো সেখানে যেতে পারবো না, তবে আপনার মাধ্যমে দেখতে পারবো। ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
হুম আমারও ইচ্ছা আছে, একদিন সময় করে ওদের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার আর ওদের অন্যান্য পাখি গুলোকে দেখার।
টিয়া পাখি পোষার শখ ছোটবেলায় আমারও খুব ছিলো।পাখিটি বেশ সুন্দর এবং পোষ্য হয়ে উঠেছে। খাচার রাখতে হচ্ছে না সুন্দর মুক্ত ভাবেই হাতের উপরে বসে আছে।চার দেয়ালের মাঝে একাকী জিবনে ওদের বাবা ওদের সময় কাটানোর খুব সুন্দর ব্যাবস্থা করে দিয়েছে। এটা আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।
এটা সত্য, ওদের বাবা আসলেই ওদের জন্য বেশ ভালো কাজ করে দিয়েছে।
আসলে ওরা কি করবে শহরে জীবনে একাকীত্ব জীবন। সময় কাটানো বেশ কষ্টের। আর তাতে যদি কিছুটা পশু পাখিকে ভালোবেসে সেই সময় কে কাজে লাগানো যায় তাহলে মনে হয় ক্ষতি নেই। আমার কিন্তু বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। দোয়া রইল সুন্দর ছেলে দুটোর জন্য।
আসলেই তো ক্ষতি নেই, ওরা ভালো কাজের ভিতরেই আছে, ব্যাপারটা একদিক থেকে প্রশংসনীয়।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া কারণ হচ্ছে বাসার ভিতরে বাচ্চারা একাকীত্ব ফিল করে । কোন প্রাণী যদি পুষতে পারে তাহলে কিছুটা সময় তাদের সাথে কাটানো যায় । টিয়া পাখি পোষ মানলে কথা বলতে পারে এটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।
আসলে ওদের একাকীত্ব দূর হওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে।
ওদের বাবা আসলেই বেশ সাপোর্টিভ। এই ব্যাপারটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আমারও ইচ্ছে ছিলো টিয়া পাখি পোষার,কিন্তু সব টিয়া পাখি নাকি কথা বলে না,সেজন্য দুই মাস আগে ৬৫০০ টাকা দিয়ে রাঙামাটি থেকে একটি ময়না পাখি আনিয়েছি। এখন ময়না পাখিটার বয়স তিন মাস। চেষ্টা করছি কথা শিখানোর জন্য। যাইহোক ছেলে দুটি টিয়া পাখিটার পিছনে অনেক সময় ব্যয় করে, সেটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আসলেই পাখি পোষা অত্যন্ত ধৈর্যের ব্যাপার। আশা করি তারা কুকুর ও বিড়ালও পুষতে পারবে খুব ভালোভাবে। তাহলে তাদের সময়টা আরো বেশি ভালো কাটবে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।