পরিবেশবান্ধব দেশীয় ফল্মুলের ফটোগ্রাফি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সকলে ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি।আমিও ভাল আছি। আজ ১৮ই ফাল্গুন। বসন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০২ মার্চ ,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
বন্ধুরা,আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথেই মশারা সদর্পে জানান দিচ্ছে তাদের অস্তিত্ব।দিন দিন বেড়েই চলছে মশার প্রকোপ ঢাকা নগরীতে। শুরুতেই ব্যবস্থা না নিলে, মশা বাহিত রোগ ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করতে পারে। কর্তা ব্যক্তিদের উচিত এখনেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ উপস্থাপন করবো, পরিবেশবান্ধব কিছু দেশীয় ফলমূলের ফটোগ্রাফি।৷ এর আগে পরিবেশবান্ধব মিষ্টি ও সব্জির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। আজকের উপস্থাপিত পরিবেশবান্ধব দেশীয় ফলমূলের এই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছি সুপণ্য সমাহার পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র উদ্যোগ মেলা-২০২৪ থেকে।এই মেলায় যে সব উদ্যোক্তা, তাদের স্টল দিয়েছিল, তারা সবাই পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন ও বিপনন করে থাকেন।এই ধরণের মেলা গুলোতে গেলে নানা আইডিয়া পাওয়া যায়।উদ্যোক্তাদের সম্পর্কে জানা যায়। নিত্যনতুন পণ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই এই ধরণের মেলা গুলোতে যেতে ভালোই লাগে। আমি চেষ্টা করি মেলা গুলো নিয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথ্রে শেয়ার করতে।তারেই অংশ হিসেবে আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের জন্য ,আমার আজকের আয়োজন পরিবেশবান্ধব ফলমূলের ফটোগ্রাফি।
ঢাকার প্রশাসনিক এলাকা শেরে বাংলা নগরের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সুপণ্য সমাহার পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র উদ্যোগ মেলা থেকে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল-সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার নানা রকম পণ্যের সমাহার দেখতে দেখতে বেশ ভালো সময় কেটেছে। খাবার থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু ছিল মেলায়।মেলায় ঘুরতে ঘুরতে এইসব দেশীয়,ফলমূলের ফটোগ্রাফি গুলো করেছি। মেলায় অনেক ভীড় ছিল,অনেক কষ্টে আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের জন্য ছবি গুলো ধারণ করেছি। কতটুকু সফল হয়েছি আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। আশাকরি আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
১ম ফটোগ্রাফি
আম গাছ গুলো এখন মুকুলে ভরপুর। আম বছরে একবার হয়ে থাকে। কিন্ত বারি-১১ জাতের এই আম বছরে তিন বার ফলন দিয়ে থাকে। অর্থাৎ বারোমাসি জাতের আম। আমি কখনো খাইনি এই আম। স্টল কর্মী জানালেন আমটিতে একটু আশ থাকলেও, খেতে খুবেই সুস্বাদু।
২য় ফটোগ্রাফি
জাম্বুরা জনপ্রিয় ও পরিচিত একটি ফল। দেশব্যাপি পাওয়া যায়। আমার খুব পছন্দের ।
৩য় ফটোগ্রাফি
কলা পছন্দ করেন না, একম ব্যক্তি কমেই আছেন। কলা শুধু আমাদের দেশেই না বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় ফল। সারা দেশেই কমবেশি কলা চাষ হয়। আগে শুধু প্রতি বাসার আনাচে কানাচে কলা গাছ দেখা যেত। কিন্তু এখন বানিজ্যিক ভাবে ব্যাপক কলা চাষ হচ্ছে।
৪র্থ ফটোগ্রাফি
এখন সিজন চলছে বরই বা কুলের। আমি বরাবরেই সিজেনাল ফ্রুটসের ভক্ত। আমদানী করা বিদেশী ফল আমাকে তেমন টানেনা। আমাদের দেশে যখন যে ফল পাওয়া যায় সে সব ফলেই খেয়ে থাকি। এখন বরই খাচ্ছি প্রতিদিন।
৫ম ফটোগ্রাফি
কাটিমন আম। এই আমটিও বারোমাসি আম। আমাদের দেশে বারোমাসি আমের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।মজার ব্যাপার হচ্ছে এই গাছে একই সাথে গুটি ও মুকুল দেখতে পাওয়া যায়। আমটিতে আঁশ নেই বললেই চলে। অনেক মিষ্টি আমটি। খেয়ে দেখেছি।
শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পুরণে ফলমূলের বিকল্প নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে , আমরা যা খাচ্ছি তা কি স্বাস্থ্যসম্মত! রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া কোন কিছুই এখন চাষাবাদ হয় না। মাত্রারিক্ত কীটনাশন ও রাসায়নিক স্যার মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই পরিবেশবান্ধব বা অর্গাণিক যেকোন খাদ্য দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। আর এরকম মেলা মানুষকে সচেতন করে তুলছে। বন্ধুরা, আশাকরি আজকের পরিবেশবান্ধব ফলমূলের ফটোগ্রাফি ব্লগটি আপনাদের ভাল লেগেছে। আমি চেষ্টা করছি নতুন নতুন ব্লগ আর্পনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে। সকলে সুস্থ্য থাকুন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুস্থ্য রাখুন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | ফটোগ্রাফি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ২রা মার্চ ২০২৪ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময় দেশি ফল গুলোর প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও ভালোলাগা কাজ করে। কলা ভীষণ ভালো লাগে পাঁকা কলা খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং আপনি বাড়ি আমের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন এবং অনেকগুলি দেখতে পাচ্ছি কুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। কাটিমন আম এটাই প্রথম দেখলাম। দারুন ছিল ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আমারও বিদেশী ফলের চেয়ে দেশিয় ফল বেশি পছন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বর্তমান ঢাকা শহরে মোশার উৎপাত বেরেই চলেছে। হয়তো আবহাওয়া চেন্স হচ্ছে এজন্য। মেলায় ঘুরতে গিয়ে চমৎকার সময় উপভোগ করেছেন। এবং সাথে আমাদের জন্য চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। দেশি বরই খেতে ভীষণ মজা লাগে। তবে আমি বরই ভর্তা খেতে পছন্দ করি। ঠিক বলেছেন আর কিছু দিন পরে গাছে গাছে আম ধরবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
আজ হতে মশা নিধোনে ব্যবস্থা নিতে হবে ডেঙ্গু হতে রক্ষা পেতে হলে। তা নাহলে পরিস্থিতি বেশ খারাপ হবে।ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
দেশীয় ফলের স্বাদ অন্যরকম আপনার আজকের ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। আম খেতে ভীষণ ভালো লাগে তাছাড়া পাকা জাম্বুরা খেতে ও দারুন লাগে। এখন যেহেতু বড়য়ের সিজন বড়য়ের ফটোগ্রাফি দেখে খেতে মন চাচ্ছে। যাইহোক পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র উদ্যোগ মেলায় ঘুরে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। তার পাশাপাশি চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দেশী ফল বেশ পুষ্টিগুন সম্পন্ন । তাই বিদেশী ফলের পরিবর্তে দেশীয় ফল আমরা খেতে পারি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
https://twitter.com/selina_akh/status/1763848299386474842
স্বাস্থ্যসম্মত কিছু ফলের ফটোগ্রাফি আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আমাদের সকলেরই উচিত স্বাস্থ্যসম্মত ফল বেশি পরিমাণে খাওয়া। এর আগে আমি কোনদিনই বারোমাসি আম খাইনি।
ঠিক তাই ভাইয়া। স্বাস্থ্য সম্মত ফল খাওয়ার পাশাপাশি আমাদের উৎপানের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কাটিমন আমের নাম প্রথম শুনলাম।এক আমের যে কত নাম।
আমি তো কাঁচা মরিচ শুকণা মরিচ চিনতেই ভুল করতাম । সেখান আম দেখে আমের নাম বলা আমার জন্য অসম্ভব।
তবুও আম আমার প্রিয় ফল। এখন গাছে গাছে মুকুল চলে এসেছে আর কয়দিন পর থেকে দিনরাত আম খা শোনা লাগবে।ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
অনেক ধরন ও নামের আম এখন পাওয়া যায়।খেতেও বেশ মজা প্রতিটি আম। ধন্যবাদ ভাইয়া মতামতের জন্য।
সমতার কিছু ফলমূলের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো। যেখানে আম থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটা ফল দেখতে পারলাম। আশা করব এভাবে আরো অনেক কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করবে আর দেখার সুযোগ করে দিবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি তো দেখতেছে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ফল্মুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার দেশীয় ফল্মুলের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অনেক ভালো লাগলো। তবে জাম্বুরা এবং কলা আমাদের বাড়িতে আছে আমাদের। এবং সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর করে উপস্থাপনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দেশীয় ফলের গাছ বেশি করে লাগান বাড়িতে। যাতে পরিবারের চাহিদা পূরন হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।