আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৪৯"দুধ পুলি পিঠার রেসিপি।"
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি। আজ ২৮ অগ্রাহায়ন হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৩ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।
আমার বাংলা ব্লগ সবসময় নতুন নতুন নতুন বিষয়ে প্রতিযগিতার অয়োজন করে থাকেন, ইউজারদের জন্য। এবারও তেমনি একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন । আর তা হলো শীতের পিঠা তৈরির প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার যখন এনাউন্সমেন্ট দেয় তখন আমি গ্রামের বাড়ি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন তখন আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিন্তু প্রতিযোগিতার সময় বাড়ানের ফলে অংশ গ্রহন করতে পারছিে।এজন্য কর্তৃপক্ষকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। গতকাল রাতে আমি ঢাকায় পৌঁছাই। আজ সকাল থেকেই সকল কিছু আয়োজন করে পিঠা বানাতে বসি । এরই মধ্যে মোবাইলটি শুরু করে গন্ডগোল কোনভাবে ওপেন হচ্ছে না। পরে দোকানে নিয়ে গিয়ে ঠিক করে পিঠা বানানো শুরু করি। চালের গুড়া ও কুড়ানো নারিকেল ফ্রিজে থাকায় এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছে। আজ আমি দুধ পুলি পিঠা বানানোর রেসিপি নিয়ে প্রতিযগিতায় অংশ গ্রহন করবো। বেশ মজার এই পিঠা। এই পিঠা বানাতে প্রথান উপকরণ হলো চালের গুড়া,নারিকেল ও খেজুরের গুড়।তখলে চলুন দেখে নেয়া যাক, দুধ পুলি বানানোর ধাপগুলো। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের, আমার খুব প্রিয় এই রেসিপিটি।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আতপ চালের গুড়া | ২কাপ |
খেজুরের গুড় | পরিমাণ মতো |
চিনি | ৩ টে; চামচ |
দুধ | ১ কেজি |
নারিকেল | ১কাপ |
সিদ্ধ চাল | ২ টেঃ চামচ |
গোটা জিরা | ১ চাঃ চামচ |
লবন | পরিমাণ মতো |
এলাচ | দুই পিস |
তেজপাতা | দুইটি |
দারুচিনি | দুই টুকরো |
প্রস্তুত প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে সিদ্ধ চাল দিয়ে দিয়েছি। চাল কিছু ভাজা হয়ে এলে তাতে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছি। এবং ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। ঠান্ডা হয়ে এলে তা পাটায় পিসে গুড়া করে নিয়েছি।
ধাপ-২
পুনরায় চুলায় কড়াইটি বসিয়ে দিয়েছি । নারিকেল ও গুড় দিয়ে দিয়েছি । এবং ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।গুড় ও নারিকেল কিছুটা জ্বাল হয়ে এলে তাতে ভেজে গুড়া করা চাল ও জিরার মিশ্রণটি দিয়ে, সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।যখন মিশ্রণটি আঠালো হয়ে এসেছে ,তখন নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার একটি কড়াই এ পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চুলায় বাসিয়ে দিয়েছি। এবং পানিতে সামান্য লবন দিয়ে দিয়েছি। পানি যখন ফুটে উঠবে তখন চালের গুড়া দিয়েছি। এবং ঢাকনা দিয়ে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য। এবার সিদ্ধ করা চালের কাইটি একটি প্লেটে ঢেলে নিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে ডলে মসৃন একটি ডো তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার সেই ডো থেকে অল্প করে লেচি কেটে নিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিয়েছি। সেই বল হাতের সাহয্যে বাটির মতো করে বানিয়ে নিয়েছি। সেই বাটির ভিতরে অল্প অল্প করে পাক দেয়া নারিকেল দিয়ে ফাঁকা অংশটি বন্ধ করে দিয়েছি। এভাবে সবগুলো পিঠা বানিয়ে নিয়েছি।,/div>
ধাপ-৫
এবার একটি হাড়িতে ১ কেজি দুধ ঢেলে নিয়ে চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি। দুধ যখন কিছুটা ঘন হয়ে আসবে তখন এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে দিয়েছি। এবং ৩ টেঃ চামচ চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার একটি বাটিতে সামান্য দুধ নিয়ে নিয়েছি। সেই দুধে গুড় দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
দুধ যখন ফুটে উঠবে তখন আগে বানিয়ে রাখা পিঠা গুলো দিয়ে দিয়েছি । এবং ভালভাবে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-৮
<div class='text-justify">এবার দুধে গুলানো গুড়গুলো পূর্বে সিদ্ধ করা পিঠায় ঢেলে দিয়ে চুলা নিভিয়ে দিয়েছি। এবং দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। তা নাহলে দুধ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই গুড় দেয়ার পর আর দুধ জ্বাল দেয়া যাবে না।পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।
আশাকরি প্রতিযোগিতা-৪৯ এর জন্য তৈরি রেসিপি ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। এই শীতে নিজেকে সুস্থ্য রাখতে নিজের প্রতি যত্ন নিন। এবং পরিবারের বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note 5A |
তারিখ | ১৩ডিসেম্বর২০২৩ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দুধপুলি পিঠা তৈরির অসাধারণ একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ ধরনের দুধপলি পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। দুধপুলি পিঠা তৈরির প্রতিটি ধাপের ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া একটি ঐতিহ্যবাহি পিঠা।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অভিনন্দন জানাই৷ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে একদমই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন৷ এই রেসিপি দেখে এখনই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷ এটি একেবারে সুস্বাদু ও লোভনীয় মনে হচ্ছে৷
ধন্যবাদ ভাইয়া।
মছাদার দুধ পুলি পিঠা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এই রেসিপিটি পরিবেশনে অসাধারণ হয়েছে। এই রকম রেসিপি সত্যি খেতে খুবই মজা। শীতের মজাদার পিঠা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া এ ধরনের পিঠা খেতে বেশ মজা।ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে আজকে আপনি আমাদের বাংলা ব্লক কর্তৃক আয়োজিত সুন্দর এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার অংশগ্রহণ খুবই সুন্দর হয়েছে বেশ চমৎকারভাবে আপনি এ মিষ্টি রেসিপি তৈরি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আপনার এই রেসিপি ছিল অতিশয় লোভনীয় আমার কাছে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রথম সপ্তাহে যদিও অংশগ্রহণ করতে পারেননি, তবে এই সপ্তাহে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন দেখে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। দুধপুলি পিঠার রেসিপি দেখে আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। এরকম রেসিপি তৈরি করলে কিন্তু সেগুলো খুবই ভালো লাগে গরম গরম খেতে। মনে হচ্ছে অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। ধন্যবাদ মজাদার এবং ইউনিক পিঠা তৈরির রেসিপি নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
আমার আবার এ পিঠা ঠান্ডা খেতে ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
গত সপ্তাহে যদি রেসিপি কনটেস্ট শেষ হয়ে যেত, তাহলে আপনার তৈরি করা মজাদার রেসিপিটা আমরা মিস করতাম। এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন। আর আপনার তৈরি করা পিঠার রেসিপি কিন্তু সত্যি অনেক ইউনিক ছিল। দুধ পুলি পিঠা কখনো আমার খাওয়া হয়নি। যার কারণে এই পিঠার রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে। তবে আপনার উপস্থাপনা দেখে পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি শিখে নিতে পেরে ভালো লাগলো।
এই পিঠাটা খেতে অনেক মজা।ধন্যবাদ আপু।