দুই বন্ধুর আইডিবি ভবন ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতা।
যেহেতু ফেরদৌস মিরপুর থাকবে তাই ওর ওখান থেকে আইডিবি ভবন বেশ কাছে হবে। কিন্তু আমি থাকবো বনশ্রীতে। আমার ওখান থেকে আইডিবি ভবনে যেতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তাই আমি চিন্তা করেছিলাম যে মেট্রো রেলের কারওয়াণ বাজার স্টেশন থেকে মেট্রোতে উঠে আমি আগারগাঁও আইডিবি ভবনে চলে যাবো। কিন্তু পরবর্তীতে শুনতে পারলাম কারওয়াণ বাজারের মেট্রো স্টেশনটা এখনো চালু হয়নি। যাই হোক পরদিন সকালে আমি মোটরসাইকেলে করে আইডিবি ভবনে চলে গেলাম। আমার অবশ্য সেখানে পৌঁছাতে বেশ খানিকটা দেরি হয়েছিলো। আমি পৌঁছানোর বেশ অনেকক্ষণ আগে ফেরদৌস সেখানে এসে অপেক্ষা করছিলো। আমি আইডিবি ভবনের সামনে পৌঁছে ফেরদৌসকে ফোন দিলে সে জানালো সে আইডিবি ভবনের ভেতরে বসে আছে। আইডিবি ভবনের নিচ তলায় আমি গেট দিয়ে ঢোকার পরেই ফেরদৌসকে দেখতে পেলাম।
আমি অনেকদিন যাবত একটি ল্যাপটপ কেনার পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই যেহেতু আইডিবি ভবনে এসেছি চিন্তা করলাম ল্যাপটপের একটু খোঁজখবর নিয়ে যায়। সেই চিন্তা করেই আমি আর ফেরদৌস কয়েকটি দোকানে গেলাম ল্যাপটপ দেখার জন্য। কিন্তু সেখানে ল্যাপটপ দেখতে গিয়ে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতি সম্মুখীন হলাম। কারণ আমি ল্যাপটপ কিনতে যাইনি। আমি গিয়েছিলাম দেখার জন্য। যদি কোনটা পছন্দ হয় তাহলে পরবর্তীতে সেটা কেনা যায় কিনা চিন্তা করে দেখবো। কিন্তু আইডিবি ভবনের কয়েকটি দোকানে ঢুকে একটা বাজে অভিজ্ঞতা হোলো। কারণ যেই দোকানেই ঢুকে ল্যাপটপ দেখতে যায় সেখানকার সেলসম্যান এমনভাবে আপ্রোচ করতে থাকে যে রীতিমতো লজ্জায় পড়তে হয়। তাদের ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছিল বঙ্গবাজারে হকার মার্কেটের সেলসম্যানদের মতো।
যাই হোক দু-তিনটি দোকান দেখার পরে ল্যাপটপ দেখা বাদ দিলাম। তারপরও আইডিবি ভবনে আরো কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করলাম। আইডিবি ভবনে গেলে বিভিন্ন রকমের প্রযুক্তি পণ্য দেখা যায়। বিভিন্ন রকমের নতুন প্রযুক্তি পণ্য সম্বন্ধে জানা যায়। এই কারণে আমার কাছে আইডিবি ভবন আমার বেশ ভালো লাগে। তারপর আমরা ঠিক করলাম এখন সামরিক জাদুঘর দেখতে যাবো। সামরিক জাদুঘরের দূরত্ব আইডিবি ভবন থেকে খুব একটা বেশি দূরে নয়। তবে আমি এর আগে যতবারই আইডিবি ভবনে এসেছি ততবারই সেখানকার চারতলার রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু না কিছু খেয়েছি। কিন্তু আমার আর ফেরদৌসের দুজনেরই পেট ভরা থাকার কারণে আর সেদিন সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত কোন কিছু না খেয়েই আমরা আইডিবি ভবন থেকে সামরিক জাদুঘরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আইডিবি ভবনে গিয়ে ল্যাপটপ দেখতে গিয়ে আপনাকে যে এমন একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, জেনে বেশ খারাপ লাগলো। হয়তো এখন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ক্রেতা কমে গিয়েছে, সে কারণেই সেলসম্যানদের টার্গেট বেশি। এ কারণেই হয়তো তারা এমন ব্যবহার করেছে।
বর্তমানে বেশিরভাগ সেলসম্যানরা এমনই,যখনই কোনো কিছু সম্পর্কে জানার জন্য যাওয়া হয়, তাদের এপ্রোচ দেখে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়। তবে এমন জায়গায় এটা মোটেই আশাজনক নয়। আইডিবি ভবনে ঘুরাঘুরি করতে আমারও খুব ভালো লাগে। নিত্য নতুন ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র আসে সেখানে, আর সেগুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে। যাইহোক আপনারা দু'জন আইডিবি ভবনে ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকাল ঢাকার সব জায়গাগুলোতে এমন একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়। কিছু দেখার কথা বললে এরা কেনার জন্য গিয়েছি এমনএকটা ভাব করে বসে।সত্যি ই এমন ব্যাপার বিব্রতকর লাগে।আপনি আর ফেরদৌস ভাইয়া এরপর সামরিক যাদুঘরের দিকে রওনা হয়ে গেলেন।আমি গিয়েছিলাম। আমার অনেক ভালো লেগেছিল।আশাকরি আপনার কাছেও ভালো লাগবে।