ঢাকায় আমার ফুড ট্যুর (প্রথম পর্ব)।
তাই আমি যখনই ঢাকায় আসি তখন চেষ্টা করি আমার পছন্দের কিছু জায়গা থেকে খাওয়া-দাওয়া করতে। সেই সূত্র ধরেই গতকাল গিয়েছিলাম পুরান ঢাকার বিসমিল্লাহ কাবাব ঘরে। পুরান ঢাকার এই কাবাবের দোকানটা বেশ জনপ্রিয়। এর আগে আমি একবার বন্ধু রাসেল এবং ফেরদৌস এর সাথে গিয়ে সেখান থেকে কাবাব খেয়েছিলাম। প্রথমবার তাদের কাবাব খেয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। তখনই চিন্তা করেছিলাম এরপরে আবার কখনো পুরাতন ঢাকায় এলে বিসমিল্লাহ কাবাব হাউস থেকে পেট ভরে কাবাব খেতে হবে। এর আগেরবার যখন কাবাব খেয়েছিলাম তখন খুব একটা ভালোমতো খেতে পারিনি। কারণ কাবাব খাওয়ার আগে আমরা তিন বন্ধু মিলে হাজির বিরিয়ানি খেয়েছিলাম।
যাইহোক গতকাল বিকালের দিকে বের হয়ে গিয়েছিলাম শান্তিনগর। শান্তিনগরে আমার কাজ শেষ করে প্রথমে চিন্তা করেছিলাম পেশোয়ারাইন নামক একটি রেস্টুরেন্ট থেকে নেহারি খাবো। সেখানকার নেহারির খুব নাম ডাক শুনছি ইদানিং। সেই চিন্তা থেকেই কাজ শেষ হওয়ার সাথেই শান্তিনগর থেকে রওনা দিলাম ওয়ারির উদ্দেশ্যে। কারণ সেই রেস্টুরেন্টের অবস্থান ওয়ারির রাংঙ্কিন স্ট্রিটে। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে অবস্থা দেখলাম তাতে করে সেখানকার নেহারি খাওয়ার ইচ্ছা শেষ হয়ে গেলো। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মারফত আগে থেকে জেনেছিলাম এই রেস্টুরেন্টটা এখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু সেই জনপ্রিয়তা যে এই লেভেলের সেটা আমার চিন্তাতেও ছিলো না। সেখানে গিয়ে দেখি রেস্টুরেন্টের বাইরে প্রচুর লোকজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। কেউ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে কেউ আশেপাশের কোনো একটা দোকানের সামনে সিঁড়িতে বসে রয়েছে। মনে হচ্ছিল তারা রেস্টুরেন্টে খেতে আসেনি। সরকারি রিলিফ নিতে এসেছে।
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আমি সেখানকার সিস্টেমটা দেখার চেষ্টা করলাম। দেখলাম প্রথমেই তাদের রেস্টুরেন্ট এর ভেতরে গিয়ে আপনি কি খাবেন সেই অনুপাতে টাকা জমা দিতে হচ্ছে। তারপর তারা আপনার হাতে একটা টোকেন নাম্বার দেবে। ভেতর থেকে কোন টেবিল খালি হলে সেই টোকেনের সিরিয়াল অনুযায়ী বাইরে থেকে কাস্টমারকে ডেকে ভেতরে নেয়া হবে। বিষয়টা আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। যার ফলে আমি সেখানে বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে রওনা দিলাম পুরান ঢাকার বিসমিল্লাহ কাবাব এর উদ্দেশ্যে। রিকশা করে সেখানে যেতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গেলো। যদিও ওয়ারী থেকে পুরান ঢাকার দূরত্ব একেবারেই কম। কিন্তু রাস্তাঘাটে প্রচন্ড জ্যাম থাকার দরুন আমার বিসমিল্লাহ কাবাব পর্যন্ত পৌঁছাতে বেশ অনেকটা সময় লেগেছিলো (চলবে)।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
হ্যাঁ ভাই এর আগে আপনার দুই বন্ধুর সাথে বিসমিল্লাহ কাবাব হাউসে গিয়ে কাবাব খেয়েছিলেন এবং সেই পোস্টটি আমার পড়া হয়েছিল। যাইহোক পেশোয়ারাইন রেস্টুরেন্টে ভিড় দেখে তো অবাক হয়ে গেলাম। এতো ভিড় থাকলে আমার একেবারেই ভালো লাগে না। টাকা দিয়ে এতো কষ্ট করে খেতে রাজি না আমি। তার চেয়ে অন্য কোথাও গিয়ে খাওয়া ভালো। যাইহোক এতো ভিড় দেখে বিসমিল্লাহ কাবাব হাউসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বেশ ভালোই করেছেন ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে আমি যতদূর সম্ভব জানি যে পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি নাকি অনেক ফেমাস। আসলে আপনি যদি পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে থাকেন সেই কাজের বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি নিয়ে আমাদের মাঝে একটা পোস্ট করার চেষ্টা করবেন। তাহলে হয়তোবা আপনার পোষ্টের ভিতর আমরা সেই পুরন ঢাকার বিরিয়ানির স্বাদটা একটু পেতে পারি। যাইহোক পুরান ঢাকার সব খাবার নাকি অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা কাচ্চিটা আসলে পুরান ঢাকার স্টাইলে করা হয় না। পুরান ঢাকার বিরিয়ানিটা একটু ভিন্ন রকমের। যেমন আপনি যদি কখনো পুরান ঢাকার বিরিয়ানি খেতে চান। তাহলে পুরান ঢাকার সবচাইতে নামকরা বিরিয়ানি গুলোর ভেতরে একটি হচ্ছে হাজী বিরিয়ানি অপরটি হচ্ছে হানিফ বিরিয়ানি। এই বিরিয়ানি গুলো খেলে আপনার কাছে অনেকটা তেহারির মতো মনে হবে। খুবই অল্প মসলা দিয়ে এই বিরিয়ানি গুলো তৈরি করা হয়। তবে মসলা অল্প ব্যবহার করলেও এই বিরিয়ানি গুলো খেতে দারুন লাগে। আর আপনি ঠিকই শুনেছেন পুরান ঢাকার খাবারগুলো আসলেই মুখরোচক। আপনি বাংলাদেশে আসলে আপনাকে পুরান ঢাকার বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়াবো। অগ্রিম দাওয়াত রইলো। ও আরেকটা কথা। আমার পোস্টে চোখ রাখুন কালকেই কাচ্চি বিরিয়ানির রিভিউ পাবেন।
আমি নিজেও ভাই ফুড ব্লগারদের খাবারের রিভিউ ভিডিওগ্রাফি দেখে তারপর সেখানে খেতে যাই। তবে ভাই এই জায়গা গুলোতে আসলেই অনেক বেশি ভিড় হয়। অতিরিক্ত জনপ্রিয়তা পেয়ে যাওয়ার এই একটাই অসুবিধা। তবে আপনি যে শেষ পর্যন্ত ওখানে খেতে পারেন নি এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। তবে আশা করি পরবর্তীতে বিসমিল্লাহ কাবাব ঘরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন।
আজকাল ফুড ব্লগারদের ভিডিও দেখে সব ধরনের খাবার সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারণা চলে আসে । দেখলেন তো দাদা, আপনি যেখানে নেহারি খাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে গেলেন, সেখানে প্রচন্ড ভিড়ের কারণে খেতে তো পারলেনই না, তার পরিবর্তে আপনাকে বিসমিল্লাহ কাবাব ঘর পর্যন্ত আসতে হলো। কিন্তু দাদা ওই পেশোয়ারাইন রেস্টুরেন্টের একটা জিনিস আমার খারাপ লাগল। সেটা হলো, খাবার খাওয়ার আগে টাকা জমা দেওয়া। এটা কিন্তু খুবই বিরক্তিকর একটা ব্যাপার।