দীর্ঘদিন পর পরিবার নিয়ে ঢাকা যাওয়া।
যেহেতু পরিবার নিয়ে আসবো তাই আগে থেকে সবকিছু ঠিকঠাক করে রাখতে হচ্ছিলো। কমিউনিটিতে আমি যে কাজগুলো করি সেই কাজগুলো সব গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলাম। যাতে করে আমি ঢাকা গেলেও কাজের কোন সমস্যা না হয়। যদিও এবার ইচ্ছা ছিলো ট্রেনে করে ঢাকা যাওয়ার জন্য। তবে সেই ইচ্ছাটা পূরণ হয়নি। কারণ আমি গতকাল ঢাকায় এসেছি। গতকাল পর্যন্ত ফরিদপুর থেকে ঢাকা আসার জন্য দিনের বেলায় কোন ট্রেন ছিল না। দুটো ট্রেন ছিল দুটোই রাতে। যেহেতু পরিবার নিয়ে এসেছি তাই রাতে ঢাকায় রওনা দিতে সাহস পাইনি। তবে আর একটা দিন পরে অর্থাৎ আজকে যদি আমি ঢাকা আসতাম তাহলে ট্রেনে আসতে পারতাম। অবশ্য সেটারও কোন নিশ্চয়তা ছিলো না। কারণ ট্রেনে ফরিদপুরের জন্য সিট বরাদ্দ থাকে খুবই অল্প। যার ফলে সে টিকেটগুলো খুব দ্রুত সময়ে শেষ হয়ে যায়। যাইহোক যেহেতু পরিবার নিয়ে ঢাকা আসবো তাই আগের দিনই বাসের টিকেট কেটে রেখেছিলাম।
তবে বাসের টিকিট কাটা হলেও একটা দুশ্চিন্তা মনের ভেতর কাজ করছিলো। কারণ সারা দেশে অবরোধ এবং হরতাল চলছিল। মাঝে মাঝে শুনতে পাই কে বা কারা যেন বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই দুশ্চিন্তাটা মাথার ভিতর কাজ করছিল। তারপরেও সাহস করে গতকাল সকাল ৯:৩০ এর বাসে ঢাকা রওনা দিয়ে দিলাম। পদ্মা সেতুর হওয়ার পর থেকে আমাদের ফরিদপুর থেকে ঢাকা আসতে সময় লাগে মাত্র দু ঘন্টা। আমি পরিবার নিয়ে সাড়ে নটার আগেই কাউন্টারে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য একটা মাত্রই ভালো বাস সার্ভিস রয়েছে যেটার নাম গোল্ডেন লাইন পরিবহন। আমি নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুক্ষণ আগেই সেই কাউন্টারে গিয়ে পৌঁছে ছিলাম। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর শুনতে পেলাম বাস ছাড়তে কিছুটা দেরি হতে পারে। যেহেতু হরতাল চলছে তাই জাত্রির সংখ্যা খুবই কম। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে বিষয়টা মেনে নিলাম। যাইহোক শেষ পর্যন্ত আমরা ৯:৪০ মিনিটে বাসে উঠলাম। পাঁচ মিনিট পরে বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। পথেন মধ্যে শুধু একটা জায়গায় কিছুক্ষণ দেরি হয়েছিল নির্বাচনী র্যালির কারণে। বাদবাকি পুরোটা পথ মোটামুটি ঠিকই ছিলো।
আমরা দু'ঘণ্টার ভেতরেই ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। ঢাকায় পৌঁছানোর পর আরেক চিন্তা মাথার ভেতর কাজ করছিলো যে ঢাকার পরিস্থিতি কেমন হবে? কারণ হরতালে সাধারণত থাকার পরিস্থিতি খারাপ থাকে। তবে এদিন দেখলাম হরতালটা আমাদের জন্য হিতে বিপরীত হয়েছে। কারণ হরতালের কারণে রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া ছিল বেশ কম। যার ফলে আমরা সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম খুব সহজে। হরতাল থাকার কারণে ঢাকা শহরটা কিছুটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো। যার ফলে আজকে পর্যন্ত আমার কাছে ঢাকা শহর খুব একটা খারাপ লাগেনি। যে কয়েকটা কাজ নিয়ে ঢাকা এসেছিলাম তার একটা কাজ গতকালকে সন্ধ্যার দিকে সেরে ফেলেছি। বাকি কাজগুলো আরো দু-তিন দিনের ভেতর আশা করি শেষ করতে পারবো। আশা আছে পাঁচ ছয় দিনের ভেতরে বাড়ি ফিরে যাবো। বাকিটা মহান রাব্বুল আলামিন যেটা ভাগ্যে রেখেছেন সেটাই হবে। পরবর্তীতে ঢাকা অবস্থান কালে আমার কর্মকাণ্ড নিয়ে আরো কিছু পোস্ট করার ইচ্ছা আছে। আর যেহেতু ঢাকায় এসেছি সেহেতু বিভিন্ন জায়গায় খাওয়া-দাওয়া ও করা হবে। আশা করি সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারবো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দীর্ঘদিন পর আপনার পরিবার নিয়ে ঢাকায় গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। যদিও বা ঢাকার পরিবেশটা আপনার ভালো লাগে না তবে দুই-তিন দিন ঘোরাঘুরির জন্য ভালো লাগে। আর সেই ভালোলাগার কারণটা ঢাকাতে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। আসলে ভজন প্রিয় মানুষদের জন্য এটা তো ভালোলাগারি কথা। যাইহোক প্রথমে ট্রেনে আসার চিন্তা করলেও ট্রেন না পেয়ে শেষে বাসে করে আসতে হলো আপনাদের যদিও বা হরতাল অবরোধের কারণে বেশ চিন্তার মধ্যে ছিলেন। আসলে দেশের যে পরিস্থিতি তাই চিন্তা তো হওয়ারই কথা। তবে শেষ দিকে এই হরতালের জন্যই ঢাকার যানজটের পরিবেশটা ফাঁকা পেয়েছেন , আর তার জন্যই ঢাকার এই পরিবেশটা আপনার কাছে ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক পরবর্তীতে আপনার ঢাকার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের উপর পোস্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।
দীর্ঘদিন পর পরিবার নিয়ে ঢাকায় এলেন ব্যক্তিগত কিছু কাজের জন্য।খুব সুন্দরভাবেই ঢাকায় পৌঁছে গেলেন।অবরোধ থাকাতে ভয়ে ভয়ে এলেও রাস্তায় জ্যাম কম ছিল।তাই পৌঁছে গেলেন খুব সহজেই।কাজের কারনে হয়তো পাঁচ থেকে ছয়দিন ঢাকায় থাকবেন।আর এই কয়দিনের কর্মকান্ড আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।জানতে পারবো আপনার ঢাকায় বেড়ানোর অনুভূতি গুলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
ঢাকা শহর অনেক মানুষ অপছন্দ করলেও, ঢাকা শহরের বিভিন্ন ধরনের খাবার খুবই পছন্দ করে। যাইহোক আপনারা হরতাল অবরোধের মধ্যে ঢাকায় ঠিকমতো পৌঁছাতে পেরেছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। অবরোধের কারণে ঢাকার রাস্তা ঘাট মোটামুটি ফাঁকা থাকে। আশা করি দ্রুত আপনার কাজ শেষ করে বাড়িতে চলে যেতে পারবেন। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
ঢাকায় থাকলেও কিন্তু আমার ঢাকার কোলাহল বেশী ভালো লাগে না। আপনিও তো দেখছি দীর্ঘদিন পর ঢাকায় আসলেন। তাও আবার পরিবার নিয়ে। এটা অবশ্য বেশ ভালো করেছেন যে পরিবার নিয়ে রাতের ট্রেনে ঢাকায় আসেন নি। তাতে বিপদও হতে পারতো। সব মিলিয়ে বেশ ভালো ভাবেই তাহলে ঢাকায় পৌছে গিয়েছেন। অপেক্ষায় রইলাম আপনার আগামী পোস্ট গুলো পড়ার।
দেশের যে অবস্থা এখন ঢাকার শহরে বাসে চলাচল করা বেশ শঙ্কার। যে দুইটা এক্সপ্রেস ঢাকা যাচ্ছে বেনাপোল এবং সুন্দরবন দুইটাই রাতে এটা একটা সমস্যা বটে আপনাদের জন্য। তবে মেইল এবং মধুমতি দিনের বেলায় যাচ্ছে গতকাল থেকে। ঢাকার পরিবেশ যানবাহনের যানজট কোলাহল আমার কাছেও ভালো লাগে না। কিন্তু দরকার হলে যেতেই হবে কিছু করার থাকে না। আশাকরি ভালো করে ঘোরাঘুরি করে আবার ফিরে আসতে পারবেন।