ট্রেনে করে ঢাকা থেকে ফরিদপুর ফেরার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।
যখন যাত্রীরা নেমে জিজ্ঞেস করলো কি সমস্যা হয়েছে? তখন তারা জানালো ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর ভাঙ্গা অতিক্রম করে যাওয়ার পরে আমরা সামনে আগাতে পারবো। এসপি অফিস থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই বিষয়টা আমার কাছে সবসময়ই খারাপ লাগে। যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা ভোট ভিক্ষা করে ক্ষমতায় যায় তারাই পরে জনগণের সাথে অমানবিক আচরণ শুরু করে। যাই হোক এটা নতুন কিছু না। এই ধরনের ঘটনাতে আমরা অভ্যস্ত। ফেরার পথে একটা পর্যায়ে আমার মেয়ে জানালো তার ক্ষুধা লেগেছে। তখন আমি ট্রেনের ডাইনিং কারে গিয়ে খাবার খোঁজ করতে লাগলাম। সেখানে চিকেন বিরিয়ানি ছিলো আর ছিল নাস্তার একটা বক্স সেটাতে ছিলো এক পিস চিকেন ফ্রাই, একটা চিকেন কাটলেট, দুই স্লাইস ব্রেড আর সাথে একটা সস। আমি আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম সে কি চিকেন বিরিয়ানি খাবে নাকি চিকেন ফ্রাই খাবে? তখন সে জানালো সে চিকেন ফ্রাই খেতে আগ্রহী। তখন আমি তার জন্য নাস্তার একটি বক্স কিনে নিয়ে এলাম। সে বেশ মজা করেই খাবারটি খেলো।
পুরো রাস্তার জার্নিটা আমরা বেশ উপভোগ করেছিলাম। আমি তো বেশিরভাগ সময়েই ঘুরেফিরে বেরিয়ে ছিলাম। তবে এই ট্রেনের একটা বিষয় আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সেটা হচ্ছে ট্রেনে নামাজ পড়ার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সাথে অজু করার ব্যবস্থাও রয়েছে। যদিও নামাজ পড়ার জায়গাটা খুব একটা পরিষ্কার ছিলো না। তারপরেও যাত্রা পথে অনেক সময় নামাজ মিস হয়ে যায়। তাই নামাজ পড়ার জায়গাটা দেখে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লেগেছিলো। তবে ট্রেনটা বেশ নোংরা। অবশ্য এই নোংরা হওয়ার পেছনে ট্রেনের যাত্রীরাও কম দায়ী নয়। সেই সাথে কর্তৃপক্ষের তো দোষ রয়েছেই। কারণ আমি যতবারই কফি খেয়েছি কফির কাপটা ফেলার জন্য ওয়েস্টবিন খুঁজেছি। কিন্তু আমাদের বগিতে কোন ওয়েস্ট বিন খুঁজে পাইনি।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত সেদিন নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪০ মিনিট পরে আমরা ফরিদপুর পৌঁছেছিলাম। ঢাকা থেকে ফেরার জার্নিটা আমার এবং আমার পরিবারের সকলেরই বেশ পছন্দ হয়েছিলো। আমরা পরিকল্পনা করেছি এরপর থেকে আমরা ট্রেনে ঢাকা যাতায়াত করবো। কারণ ট্রেন জার্নিতে বিপদের সম্ভাবনা অনেক কম। বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে বাস হরহামেশা এক্সিডেন্ট করে। সেই সমস্ত এক্সিডেন্টে প্রচুর মানুষ ও মারা যায়। সেই তুলনায় ট্রেন এক্সিডেন্ট এর হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সেই সাথে মানুষ মারা যায়ও কম। যাই হোক ভালো একটা জার্নি শেষে আমরা খুশিমনে বাড়িতে ফিরে এলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই ভোট নেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিরা ঠিকই সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতে পারে, কিন্তু পাশ করার পর তারা ভিআইপি হয়ে যায়। আর ভিআইপিরা রাস্তায় চলাচল করলেই আমাদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। তাদের কার্যকলাপ দেখে মনে হয় দেশটা তাদেরই। আমরা কিছুই না দেশের। যাইহোক বাড়িতে ফেরার ট্রেন জার্নিটা আপনারা বেশ উপভোগ করেছেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এরপর থেকে অবশ্যই শোভন চেয়ারের সিট নিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করবেন। যাইহোক এতো চমৎকার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.