এই ঝামেলার ভেতরে ঢাকা থেকে ফরিদপুর ফেরার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।
এর ভেতরে একদিন হঠাৎ করে একটা বিকল্প রাস্তার কথা মাথায় এলো। আমি যখন চাকরি করতাম তখন একবার সেই রাস্তা দিয়ে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় এসেছিলাম। আমি মনে মনে পরিকল্পনা করলাম যদি সম্ভব হয় তাহলে আমি একা একা সেই বিকল্প রাস্তা দিয়ে ফরিদপুর চলে যাবো। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে তখন এসে আবার আম্মাকে নিয়ে যাবো। এই পরিকল্পনা মাথায় আসতেই আমি ফরিদপুরে আমার এক পরিচিত লোককে ফোন দিয়ে সে বিকল্প রাস্তার কথা ভালোভাবে জিজ্ঞেস করলাম। কারণ আমি সেই রাস্তা দিয়ে ঢাকায় এসেছিলাম দীর্ঘদিন আগে। এখন সেখানকার কি অবস্থা সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়ার জন্য আমার এক প্রাক্তন কলিগকে ফোন দিয়েছিলাম।
শুনেছিলাম সে নাকি ওই রাস্তা দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করে। তাকে ফোন দিতেই সে আমাকে বলল ভাই আপনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আমি আমার পরিচিত লোকদেরকে ফোন দিয়ে রাস্তা ঘাটের অবস্থা সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি। পরবর্তীতে সে আমাকে ফোন দিয়ে জানালো সেই বিকল্প রাস্তা দিয়ে আসতে কোন সমস্যা নেই। আমি খুব সহজেই সেই রাস্তা দিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরে চলে আসতে পারবো। তবে সেই রাস্তা দিয়ে আসার জন্য আমাকে হয় কদমতলী না হয় মোহাম্মদপুর পর্যন্ত যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে মৈনট ঘাট পর্যন্ত যেতে হবে। সেখান থেকে ট্রলার অথবা স্পিডবোটে করে নদী পার হলেই আমি ফরিদপুরের সীমানায় প্রবেশ করবো।
পরবর্তীতে সেখান থেকে অটোরিক্সা নিয়ে খুব সহজেই ফরিদপুর শহরে চলে যাওয়া যায়। যাই হোক তার সাথে কথাবার্তা হওয়ার পরে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পরদিন ফরিদপুর চলে যাবো। আমি আমার সিদ্ধান্তের কথা আমার মা এবং বোন দুলাভাইকে জানালাম। তারা অবশ্য আমাকে আরো একটু অপেক্ষা করতে বললো। তারা বলছিলো যদি রাস্তাঘাটে হঠাৎ করে কোন বিপদ হয় তখন কি হবে? আমি তখন তাদেরকে বুঝিয়ে বললাম এই রাস্তাটা নিরাপদ। আর আমি সাথে কোনো বড়ো লাগেজ নেবো না। ছোট একটা ব্যাগ নিয়ে আমি ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। যাই হোক পরদিন যথারীতি আমি সকালবেলায় আপুর বাসা থেকে গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। গুলিস্তান পর্যন্ত পৌঁছে দেখি সেখানে গোলাপ শাহের মাজারে যাওয়ার আগের রাস্তাটা আর্মি বন্ধ করে রেখেছে। সেখানকার অবস্থা দেখে আমি কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম। পরবর্তীতে আমি এক আর্মি সদস্যকে জিজ্ঞেস করলাম যে সামনে কোনো সমস্যা আছে নাকি? সে আমাকে বললো না ভয় পাওয়ার কিছু নেই।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দেশের পরিস্থিতি এত খারাপ ছিল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে সমস্যা হয়েছিল। ভাগ্যিস আপনি বিকল্প রাস্তা খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু কতটুকু আসতে পারলেন সেটা তো বুঝতে পারি নাই। পরবর্তী পর্বে আশা করি জানতে পারবো।
মৈনট ঘাটকে তো মিনি কক্সবাজার বলা হয়ে থাকে। বেশ কয়েকমাস আগে মৈনট ঘাটে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম, তবে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। যাইহোক বিকল্প রাস্তা দিয়ে ফরিদপুর যাওয়ার আইডিয়াটা দারুণ ছিলো ভাই। যেহেতু অনেক দিন সুমা আপু এবং আপনার মেয়েকে দেখতে পাননি,তাই তাদেরকে দেখার জন্য অস্থির হওয়াটা স্বাভাবিক। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
আপনার সাহস আছে বলতে হয় দাদা। সেটা না হলে বিকল্প রাস্তা খুঁজে এই পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে আপনি ফরিদপুর আসার চেষ্টা করতেন না। তবে এরকম আসলে আমার সাথে একবার হয়েছিল, যখন করোনা চলছিল সারা বিশ্ব জুড়ে তখন। আপনার শেয়ার করা বিকল্প রাস্তা কিন্তু বেশ শান্তশিষ্ট মনে হচ্ছে। যাইহোক, দেখা যাক পরবর্তী পর্বে আর কি জানা যায় এই নিয়ে, কোন বাধার সম্মুখীন আপনি হয়েছিলেন নাকি ভালোভাবে পৌঁছাতে পেরেছিলেন গন্তব্যে।
আপনি এমন একটা সময়ে দেশে পৌঁছে ছিলেন তখন সত্যি ই দেশের যাতায়াত পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল।আপনি বিকল্প রাস্তার কথা বললেন ফরিদপুর যেতে।সেই মৈনট ঘাট আমরা পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম।আপনি সেই পথ ধরে যাওয়ার জন্য বের হলেন।এরপর আর্মি বলল ভয় নেই।কিন্তু তারপরে আসলে কি করেছিলেন?? পরবর্তী পর্বে আশাকরি জানতে পারবো।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া আপনাকে।