দীর্ঘদিন পর হাজীগঞ্জ বাজারে যাওয়া ও ভাজাপোড়া খাওয়ার গল্প (শেষ পর্ব)।
যাইহোক গল্প করতে করতে এক সময় আমরা হাজীগঞ্জ বাজারে পৌঁছে গেলাম। তারপর ফেরদৌস আমাকে জিজ্ঞেস করলো আগে কি নদীর পাড়ের দিকে যাব কিনা? আমি সম্মতি জানালে দুজনে প্রথমে চলে গেলাম নদীর পাড়ে। তো সেখানে গিয়ে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম হাজীগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মার শাখাটির মৃত প্রায় অবস্থা হয়েছে। সেখানে নদীর সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে দেখতে পেলাম ধুধু চর। আমি আর ফেরদৌস সেখানে দাঁড়িয়ে আলোচনা করছিলাম যে আর হয়তো পদ্মার এই শাখাটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে না। আগামী কয়েক বছরের ভেতরে এই নদীটি পুরোপুরি মৃত হয়ে যাবে। সেখানে নদীর পাড়ে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে আমরা হাজীগঞ্জ বাজারের ভেতর প্রবেশ করলাম।
বাজারের ভেতর ঢোকার সময় আমি রাফসানকে ফোন দিয়ে সেখানে আসতে বললাম। রাফসান আমাকে বলল আমি আসছি। রাফসানের সাথে কথাবার্তা বলা শেষ হলে আমি আর ফেরদৌস হাজিগঞ্জ বাজারের ভেতরে অবস্থিত একটি ভাজা পোড়ার দোকান থেকে চপ, সিঙ্গারা, পেঁয়াজু, ছোলা ভুনা এগুলো খেতে লাগলাম। আমরা যখনই হাজীগঞ্জ বাজারে যাই তখন এই খাবারগুলো খেয়ে থাকি। হাজিগঞ্জ বাজারের ভাজাপোড়া গুলো খেতে বেশ ভালো লাগে। আমরা খাওয়া-দাওয়ার এক পর্যায়ে রাফসানের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। পরে বুঝতে পারলাম ও আসবেনা যার ফলে পরবর্তীতে আমরা আর ওর জন্য অপেক্ষা না করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। ভাজাপোড়া খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে ফেরদৌস বলল চলো আমরা সেই দোকান থেকে দই খেয়ে আসি। হাজিগঞ্জ বাজারের ভেতরে একটি দোকান রয়েছে। যেই দোকানের দই আমাদের কাছে বেশ পছন্দের। সাথে সাথে দুজন চলে গেলাম সেই দোকানে দই খাওয়ার জন্য। তবে সেখানে পৌঁছে আমি ফেরদৌসকে বললাম ছোট গ্লাসের দই নিও। কিন্তু দোকানদার জানালো তার কাছে ছোট গ্লাসের কোনো দই নেই।
তখন আমি ফেরদৌস কে বললাম তাহলে তুমি দই খাও। কারণ আমার পক্ষে এতোটা দই খাওয়া সম্ভব না। সেই দোকানে দুই ধরনের গ্লাসে দই পাওয়া যায়। একটা ছোট গ্লাস একটা বড় গ্লাস। একটা বড় গ্লাসে অনেকখানি দই থাকে। তখন আমার এতোটা দই খেতে ইচ্ছা করছিল না। আমি খাব না শুনে ফেরদৌসও দই খাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিলো। পরে আমরা সেখান থেকে আইসক্রিম খেলাম। আইসক্রিম খাওয়া শেষ হলে দুজন আবার রাফসানের এলাকার উদ্দেশ্যে ফিরতে লাগলাম। রাফসানের শোরুমে পৌঁছে দেখি ও সেখানে বসে ওর এলাকার বন্ধুদের সাথে মোবাইলে কোন একটা গেম খেলছে। আমরা সেখানে পৌঁছে ওর সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে তারপর দুজন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | হাজিগঞ্জ বাজার |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রাস্তার দুপাশে গাছ থাকলে দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগে। আর এতো চমৎকার রাস্তায় বাইক দিয়ে ঘুরতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করে, হাজীগঞ্জ বাজারে গিয়ে বেশ ভালোই ভাজাপোড়া খেয়েছেন আপনারা। মাঝেমধ্যে বিকেলে ভাজাপোড়া খেতে দারুণ লাগে। বিশেষ করে ছোলা ভুনা আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।