দীর্ঘদিন পর হাজীগঞ্জ বাজারে যাওয়া ও ভাজাপোড়া খাওয়ার গল্প (প্রথম পর্ব)।
তবে কিছুদূর যাওয়ার পরই আসরের নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার সেখানে আমি একটি মসজিদ দেখতে পেয়ে ফেরদৌসকে মোটরসাইকেল থামাতে বললাম। সেই জায়গাটার নাম ছিল ভুইয়াবাড়ী ঘাট। আর সেই মসজিদের পাশেই ছিল পদ্মা নদীর একটি ঘাট। যার পাশে একটি ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে। আমি যখন মসজিদে নামাজ পড়তে ঢুকলাম তখন ফেরদৌস গিয়ে সেই নদীর ঘাটে বসে আমার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। আমি নামাজ পড়ে বের হয়ে আশেপাশে তাকিয়ে ফেরদৌসকে দেখতে না পেয়ে সেই নদীর ঘাটে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম ফেরদৌস বসে চা খাচ্ছে। আগে আমরা একসময় এই ভূঁইয়া বাড়ির ঘাট নামক জায়গাটাতে এসে আড্ডা দিতাম। কিন্তু দীর্ঘদিন হলো আর সেখানে যাওয়া হয় না। অনেকদিন পর সেখানে গিয়ে আমি একটু আশেপাশের পরিবেশ দেখছিলাম। খেয়াল করে দেখলাম নদী প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে। যদিও বছরের এই সময়টাতে নদীতে পানি থাকে একেবারেই কম। কিন্তু এবার খেয়াল করে দেখলাম নদী ভরে চর পড়েছে। অনেকদিন আগে সেখানে একটা ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিলো। মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো। এবার খেয়াল করে দেখলাম ব্রিজের কাজ বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে।
আমি আর ফেরদৌস সেখানে আলাপ করতে লাগলাম যে এখানে ব্রিজ হয়ে গেলে নদীটা শেষ হয়ে যাবে। কারণ ব্রিজের পিলারের কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। যদিও পদ্মা নদীর এই চ্যানেলটাতে চর পড়ে নদী প্রায় শেষের দিকে। আর এই সমস্ত কারণে নদীতে চর পড়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যাচ্ছে। যাই হোক সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা আবার রাফসানের এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। দুই বন্ধু ধীরেসুস্থে গল্প করতে করতে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে আমি ফেরদৌসকে বললাম রোজা শুরুর আগে আমরা একবার নদীতে গোসল করবো। কারণ রোজার ভিতর তো আর নদীতে গোসল করা সম্ভব হবে না। তখন ফেরদৌস বলল রোজার আগে মনে হয় পুরোপুরি গরম পড়বে না। আর গরম না পড়লে নদীতে গোসল করে মজা নেই। আমি তখন ফেরদৌসকে বললাম রোজা আসার আগে অবশ্যই গরম পড়ে যাবে। যাইহোক দুই বন্ধু এইভাবে গল্প করতে করতে রাফসানের শোরুমের সামনে পৌঁছালাম।
সেখানে পৌঁছে দেখি রাফসান শোরুমে নেই। ফেরদৌস আমাকে বললো রাফসানকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করতে সে কোথায় আছে? আমি রাফসানকে ফোন দিলে রাফসান প্রথমে বলল বাড়িতে আছি। কিন্তু আমার কিছুটা সন্দেহ হওয়ায় আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম কোন বাড়িতে? নিজের বাড়ি না শশুর বাড়িতে? বুঝতে পারলাম আমরা ওকে নিয়ে মজা করবো এজন্য ও শ্বশুরবাড়ির কথা বলতে চাচ্ছে না। যাইহোক ওর সাথে কথাবার্তা বলা শেষ হলে আমি আর ফেরদৌস মিলে ঠিক করলাম আমরা হাজীগঞ্জ বাজারে যাবো। অনেকদিন হোলো সেখানে যাওয়া হয় না। অবশ্য রাফসানের শ্বশুরবাড়িও হাজিগঞ্জ বাজারের কাছাকাছি। তাই চিন্তা করলাম সেখানে গিয়ে রাফসানকে ফোন দিয়ে দেখব ও বের হয় কিনা? (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ্! ভূঁইয়া বাড়ির ঘাট নামক জায়গাটি আসলেই খুব সুন্দর। এমন জায়গায় বসে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। এটা ঠিক যে,গরম না পরলে নদীতে গোসল করে মজা নেই। তবে রোজার আগে তেমন গরম পরবে না। রাফসান ভাই তাহলে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দারুণ সময় কাটাচ্ছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।