ফটোগ্রাফি: কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি দিয়ে একটি অ্যালবাম

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

ফটোগ্রাফী ০১-: ঝিঙ্গা ফুলের ফটোগ্রাফি

উপরে আপনারা যে ফুলের ফটোগ্রাফী টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত ঝিঙ্গা ফুলের ফটোগ্রাফী।আপনারা হয়তো সকলেই এই ফুলের সাথে পরিচিত।এই ফুল চিনে না এমন মানুষ বাংলাদেশের মধ্যে খুবই কম খুঁজে পাওয়া যাবে। বিশেষ করে গ্ৰামের মানুষেরা এই ফুলের সাথে ব্যাপক পরিচিত। গ্ৰামের আনাচে কানাচে এই ফুল দেখতে পাওয়া যায়। গ্ৰামের অনেক মানুষ তাদের বাড়ির আশেপাশে পড়ে থাকা জায়গা গুলোর মধ্যে এই সবজি চাষ করে থাকেন। তবে ফল দেয়ার পূর্ব মুহূর্তে এই ফুল টি বের হয়।আর এই হলুদ রঙের জন্য দেখতে একটু বেশি সুন্দর লাগে।দুর থেকে দেখতে বেশ দারুন লাগে আমার কাছে।আমি এই ফুলের ফটোগ্রাফী টি আমাদের গ্ৰাম থেকে সংগ্রহ করেছি।

ফটোগ্রাফী ০২- বিকাল বেলার সূর্যের ফটোগ্রাফি

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফী টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত বিকাল বেলার সূর্যের ফটোগ্রাফী। আসলে আমার কাছে সূর্যের ফটোগ্রাফী করতে একটু বেশি ভালো লাগে। আমি সব সময় আমার ফটোগ্রাফী পোস্টের মাধ্যমে সূর্যের ফটোগ্রাফী শেয়ার করার চেষ্টা করি। আসলে বিকাল বেলা সূর্যের সৌন্দর্য অনেক টা বৃদ্ধি পায়।আর তখন সূর্যের দৃশ্য টি দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গ্ৰামের সবুজ প্রকৃতির মধ্য‌ দিয়ে এই সুন্দর সূর্যের দৃশ্য দেখতে বেশ ভালো লাগে।আপনারা দেখতে পারছেন, সবুজ প্রকৃতির উপর দিয়ে আমি এই সুন্দর সূর্যের ফটোগ্রাফী টি ধারন করেছি। আপনাদের কাছে এই ফটোগ্রাফী টি কেমন লেগেছে, তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

ফটোগ্রাফী ০৩-: ভুট্টা ফুলের ফটোগ্রাফি

আপনারা হয়তো সকলেই ভুট্টার ফুল কে চিনে‌ থাকেন। বিশেষ করে যারা গ্ৰামের মধ্যে বসবাস করেন তারা হয়তো এই ফুল সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছেন।আর যারা শহরের মধ্যে বসবাস করেন, তাঁরাও হয়তো কিছুটা এই ফুল সম্পর্কে জানেন। আসলে এই ভুট্টার ফুল টি দেখতে কিছুটা মাথার চুলের মতো। আমার কাছে এই ভুট্টার ফুল গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।আমি মাঠের মধ্যে ঘুরতে গেলেই এই ভুট্টার ফুল গুলো ছিঁড়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করি।এই ফুল গুলো হাতের মধ্যে নিয়ে খেলা করতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। যখন ভুট্টা টি পরিপক্ক হয়ে যায়, তখন এই ফুল গুলো ভুট্টা থেকে পড়ে যায়।আমি এই ফুলের ফটোগ্রাফী টি আমাদের ভুট্টা ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করেছি।

ফটোগ্রাফী ০৪-: হনুমানের ফটোগ্রাফি

উপরে আপনারা যে প্রাণীটির ফটোগ্রাফি দেখতে পারছেন, এটি মূলত হনুমানের ফটোগ্রাফি । আপনারা হয়তো সকলেই এই হনুমানের সাথে পরিচিতি। তবে এই প্রাণীটি বন জঙ্গল এবং বিভিন্ন চিড়িয়াখানার মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। বেশ কিছুদিন আগে আমি কলেজ যাওয়ার পথে এই প্রাণীটি দেখেছিলাম। মানুষ এই প্রাণীটি কে দেখতে পেয়ে সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন। আসলে হঠাৎ করে কোন অপরিচিত প্রাণী কে দেখলে মানুষ জড়ো হবেই, এটাই স্বাভাবিক।আমি বেশ কয়েকবার এই প্রাণীটি কে চিড়িয়াখানায় দেখেছিলাম, তবে সেদিন খোলা মাঠে গাছের উপর দেখে বেশ ভালো লাগছিলো।সে গাছের ডালের মধ্যে সুন্দর ভাবে বসে ছিল।

ফটোগ্রাফী ০৫-: ফুলকুড়ি ফুলের ফটোগ্রাফি

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফী টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত ফুলকুড়ি ফুলের ফটোগ্রাফী।গ্ৰামের প্রত্যেকটি মানুষ এই ফুলের সাথে পরিচিত। আপনারা যারা গ্ৰামের মধ্যে বসবাস করেন তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই ফুলের সাথে পরিচিত।আর যারা শহরের মধ্যে বসবাস করে থাকেন তারা হয়তো এই ফুল কে চিনেন না।এই ফুল টি বন জঙ্গলের মধ্যে অযত্নে বেড়ে উঠে। তবে এই ফুল টি সাদা রঙের হ ওয়ার কারণে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। বিশেষ করে এই ফুল বিভিন্ন ধরনের পড়ে থাকা জমির মধ্যে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। মাঠের মধ্যে ঘুরতে গেলেই এই ফুলের সাথে দেখা হয় আমার। আমরা যদি এই ফুল গুলো কে একটু যত্ন সহকারে লালন পালন করতাম তাহলে, আরো বেশি সুন্দর লাগতো।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।