ভালোবাসার শেষ পরিনতি//পর্ব-৩

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


আসলে ভালোবাসা হৃদয়ের অনুভূতি আর হৃদয় থেকে যেন এই ভালোবাসার জন্ম হয়। তাই হাজারো বাঁধা, হাজারো কষ্টের মধ্যেও প্রিয় মানুষকে শক্ত করে ধরে রাখতে ইচ্ছা করে। তাকে নিয়ে যেন মনের ভিতরে সকল কল্পনা জাগে এবং তাকে নিয়েই হাজারো পথ পাড়ি দিতে ইচ্ছা করে। আর এই ভালোবাসার প্রিয় মানুষকে নিয়ে আপনাদের মাঝে একটি গল্প শেয়ার করতেছিলাম। আসলে বাস্তব ঘটনার অবলম্বনে এই গল্পটি। যার কারণে আপনাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছি আজকে তৃতীয় ও শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি আজকের গল্পটি পড়ে আপনারা এই ভালোবাসার।ভালোবাসার শেষ পরিণতি কি হয়েছিল, সেটা ভালোভাবে জানতে পারবেন। তো বন্ধুরা চলুন ভালবাসার শেষ পরিণতি গল্পটির শেষের পর্ব করা শুরু করা যাক।


sunset-7126126_1280.jpg

source

সোনিয়ার বাবাকে সেই গোয়েন্দা লোকটি এসে যখন বলে যে রতন আর সোনিয়া বিয়ে করেছে। তখন সোনিয়ার বাবা মাথা গরম হয়ে যায় শাজাহান মাস্টারের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে। আর শাহজাহান মাস্টার এত খারাপ ব্যবহার পেয়ে সে যেন একদম হতবাগ হয়ে যায়। হাজার বছরের মান সন্মান যেন এক নিমিষে শেষ করে দিল, এই সোনিয়ার বাবা। যার কারণে সে ভেঙে পড়ে এবং ছেলের প্রতি যে বিশ্বাস ছিল সেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। যার কারণে এবং সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর এদিকে সোনিয়ার বাবা রতনকে খোঁজার জন্য লোক সেট করে।তাদের কে বলে রতনকে ওকে যেখানে পাবি ধরে নিয়ে আসবি। ওর ব্যবস্থা আমি করবোই। সোনিয়ার বাবা আসলে খুবই খারাপ মেজাজে মানুষ ছিলো।


সোনিয়ার বাবা যে সকল কিছু জানতে পেরেছে, এই ঘটনাটি রতন আর সোনিয়া জানতে পারে। যার কারণে সোনিয়া ছুটে যায় রতনের কাছে রাজশাহীতে এবং সকল কিছু বলে, যে আমাদের এখনই কোন কিছু করতে হবে। না হলে আমরা অন্য জায়গায় পালিয়ে যায়। যদি আমাদের ধরে ফেলে তাহলে আমার বাবা খুবই খারাপ মানুষ তোমার অনেক ক্ষতি করবে। কারণ সে কারো ক্ষতি করতে একবারও ভাবেনা। বিশেষ করে সোনিয়ার বাবা এক ডাক্তারের সাথে সোনিয়ার বিয়ে ঠিক করেছে মসেই বিয়ে না দিতে পারলে সোনিয়ার বাবা শান্ত হবে না মযার কারণে সোনিয়ার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করতে পারে, আর সোনিয়া তখন রতনকে বলল রতন বাড়িতে খোঁজ নিয়ে দেখে তার বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে গেছে। এখন কি করবে ভালোবাসার মানুষকে ফেলে আসতে পারছে না।


রতন তার বন্ধুদের সকল ঘটনা বলে, যার কারণে তার বন্ধুরা মিলে রতন আর সোনিয়াকে ওদের গ্রামে নিয়ে যায়। শেরপুর একটি গ্রামের সেখানে থাকে ১০-১৫ দিন। এর ভিতর একদিন রতন ওর বাবাকে দেখার জন্য গ্রামে আসার কথা বলে, কিন্তু গ্রাম থেকে ওর বন্ধুরা বলে আসা যাবেনা। সোনিয়ার বাবা তোদেরকে ধরার জন্য থানায় মামলাও করেছে।এদিকে ১০-১৫ দিন যাওয়ার পরে সোনিয়ার সাথে ওর মায়ের কথা হয়। আর ওর বাবা এই কথা বলার বিষয়টি জানতে পারে। যার কারণে পুলিশকে বলে আর পুলিশ তখন লোকেশন দেখে গ্রামে চলে যায়। গ্রামে গিয়ে সোনিয়ার রতনকে হাতেনাতে ধরে ধরার পরে,সোনিয়ার বাবা পুলিশকে অনেক টাকা দিয়েছিলো, যার কারণে প্রথমেই রতনকে ধরে সোনিয়া সামনেই অনেক মার ধর করে।তারপর রতনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আর সোনিয়াকে ওর বাবা জোর করে নিয়ে শহরেরর ওর মামার বাসায় রেখে দেয়। সেখানেই সোনিয়াকে নানান ভাবে বুঝাতে থাকে। যে তুই যদি রতনকে ছেড়ে না দিস,তাহলে রতনকে একদম মেরে ফেলবো। তুই এখন কি করবি, সোনিয়া পুলিশকে গিয়েছে সকল ঘটনা বলবে সেইটা বলার সুযোগ পায়নি।


রতনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আর সোনিয়াকে তার ফ্যামিলির সবাই বুঝাতে থাকে তোর জন্য ছেলেটার জীবন শেষ হয়ে যাবে। তোর বাবা খুবই খারাপ আর এই মানুষটা রতনকে বাঁচতে দিবে না। তুই কি রতনের মৃত্যু দিকে নিয়ে যেতে চাও।যদি ভালবেসে থাকিস তাহলে রতনকে ছেড়ে দাও। রতনকে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে দাও।এভাব৷ জেলে পচে মরবে না হলে ছেলেটা কোনদিনও ওর ফ্যামিলির কাছে আসতে পারবে না। যার কারণে ফ্যামিলির সকলের কথা ভেবে এবং রতনের কথা ভেবে ওর বাবার কথাই রাজি হতে থাকে।


তারপর রতনকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে, এই বিষয়টি বিষয়টি রতনের মা-বাবা জানতে পারে। আর ওর পুলিশে ধরে নেওয়ার কথা শুনে ওর বাবা খুবই অসুস্থ হয়ে যায় যার। কারণে রতনের মা আর রতনের বোন খোঁজ করতে করতে সোনিয়ার কাছে চলে আসে এবং সোনিয়ার হাতজোড় করে বলে, মা তোমরাই পারো আমার ছেলের জীবনটা বাঁচাতে। তুমি যদি চাও তাহলে আমার ছেলেটা মুক্তি পাবে। তুমি তোমার বাবাকে বললেই মুক্তি দেবে, না হলে আমার ছেলেটার জীবন একদম শেষ হয়ে যাবে। সাথে আমাদের জীবনে শেষ হয়ে যাবে, আমাদের একমাত্র ছেলে যাকে নিয়ে আমরা অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম।


ফ্যামিলির সার্থে আর রতনের জীবনের কথা চিন্তা করে সোনিয়া ওর বাবার কথা রাজি হয়। যার কারণে ওর বাবাকে সকল কথা বলে, যে আমি আর রতনের সাথে কখনোই মিশবো না, কথা বলবো না, যোগাযোগ রাখবো না। আপনার কথাই শুনব। আপনি রতনকে মুক্তি দিন আগে, মুক্তি দেবেন তারপরে আপনি যাকে বিয়ে করতে বলবেন তাকে বিয়ে করবো। সোনিয়ার বাবা বলল ঠিক আছে, আমি তোমার কথায় রাজি কিন্তু আমার কথা অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে। তারপরে সোনিয়ার বাবা গিয়ে রতনকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। আর রতনের সাথে সোনিয়ার তারপরে আর কখনো যোগাযোগ হয়নি। আর রতন সকল ঘটনা ওর মা ও বোনের কাছে জানতে পারে। এভাবেই যেন একটা ভালবাসার শেষ পরিণতি পৃথক হয়ে যায়।প্রকৃত ভালোবাসা এভাবে যেন ফ্যামিলির কারণে হারিয়ে যায় আমাদের জীবন থেকে। আর এই হারানোর কষ্ট যেন কখনোই ভুলা যায় না। এভাবেই রতন আর সোনিয়ার ভালোবাসা শেষ পরিণতি হয়েছিল।🙏🤲🙏


আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 64400.67
ETH 3506.16
USDT 1.00
SBD 2.53