আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

সচেতনতা ও অসচেতনতা দুটোই মানুষের উপর নির্ভর করে।

সচেতনতা ও অসচেতনতা দুটোই মানুষের উপর নির্ভর করে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তবিক ঘটনা শেয়ার করতে যাচ্ছি। যেটি গত দুদিন আগে আমার সামনেই ঘটে গিয়েছে।আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো অসচেতনতার কারণে একটি মানুষের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে যাওয়ার একটি বাস্তবিক গল্প। চলুন বন্ধুরা বেশি ভূমিকায় না গিয়ে সরাসরি গল্পে ফিরে যাই।

এইতো গত দুই দিন আগে Uk এর জন্য মেডিকেল করতে ঢাকায় গিয়েছিলাম ট্রেনে করে।হুট করে যাব তাই অনলাইনে টিকেট কাটতে গিয়ে ফেনী থেকে কোন টিকেটে পেলাম না।কারণ সবগুলো বুকিং ছিল।আর ট্রেনের টিকিট কাটতে হলে পাঁচ দিন আগে কাটতে হয় তাহলে যথাযথভাবে সিট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরপর চট্টগ্রাম থেকে যে ট্রেনগুলো ছাড়তেছে সেখান থেকে অনলাইনে টিকেট কেটে নিলাম।

মানে আমরা উঠবো ফেনী থেকে কিন্তু ট্রেনের টিকেট কেটে নিলাম চট্টগ্রাম থেকে। এতে করে আমাকে চট্টগ্রাম থেকে ফেনী আসার যে ভাড়া সেটা, আবার ফেনী থেকে ঢাকা যাওয়ার ভাড়া। দুটোরই ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে।যাই হোক যথারীতি ট্রেনও এসেছিলো ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। তখন আমরা ট্রেনে উঠে গেলাম।

ট্রেনে আমাদের চেয়ার ছিল শোভন চেয়ার। আর আমাদের সামনেও একটি শোভন চেয়ার ছিল।সামনের সিটে দুটো লোক বসা ছিল। একজন মোবাইল ফোনে কথা বলতে ছিল। আরেকজন বসে আছে। কিছুক্ষণ তাকে অবজার্ভ করে বুঝতে পারলাম সে হয়তো তার কোন গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছে। কারণ তার কথাবার্তা ঐরকমই বোঝা যাচ্ছিল।

যাইহোক সে তার পার্সোনাল বিষয়ে কথা বলছিল। তাই আমার আর তাকে কিছু বলা হলো না। যখন সে ফোন কাটলো তখন তাকে বললাম ভাই আপনি আপনার ফোনটা যেভাবে ট্রেনের জানালার পাশে রেখে কথা বলছেন যে কেউ আপনার ফোনটি কেড়ে নিয়ে যেতে পারে। সেই লোকটি আমার কথা শুনে একটু হেসে চুপ করে কিছু না বলে বসে রইল।

যাই হোক ভাবলাম সে হয়তো বিষয়টি বুঝতে পেরেছে এবং সে সতর্ক হয়ে যাবে।কিন্তু না সে সতর্ক হলো না। সে পুনরায় আরেকটি কলে এনগেজ হয়ে গেল।আর যথারীতি কথা বলতে লাগলো।যাক তৎক্ষণাৎ চিন্তা করলাম তাকে আর কিছু না বলাই শ্রেয়।এদিকে ট্রেনও চলছে ট্রেনের গতিতে। চারদিকে সবুজের সমারহ আর ট্রেনের জানালা দিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখছি। আর আমিও ভিতর থেকে পয়েন্ট টু জুম দিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করছি।

ফটোগ্রাফি করার ঠিক ওই সময়ে নিভৃত অনেক ডিস্টার্ব করছিলো আমাকে। তার জন্য ফটোগ্রাফি ও করতে পারিনি ঠিকমত। ট্রেনে আসার পথে খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়েছিল। কি আর করার ওই যে বললাম বাচ্চার জন্য ফটোগ্রাফি করতে পারলাম না। এই ফাঁকে ট্রেনটি আরেকটি স্টেশন এসে পৌঁছে যায় ।আর সেই স্টেশনে ট্রেনটি থামল কিন্তু সেই লোকটার ফোনে কথা বলা থামল না।যাই হোক বাকিটা আগামি পর্বে।

তো বন্ধুরা আজকে এতোটুকুই আশা করি সামনে আরও ভিন্ন কিছু নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।