লাইফস্টাইল পোস্ট || পিকআপ গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি পিকআপ গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব) শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আগের পর্বে আপনারা পড়েছিলেন, উত্তরা বিআরটিএ তে গিয়ে গাড়ির নম্বর প্লেট লাগানোর জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলাম। তারপর হোটেল থেকে নাস্তা খেয়ে আমি আশেপাশে থাকা কয়েকটি নার্সারিতে ঘুরাঘুরি করলাম এবং কিছু ফটোগ্রাফিও করলাম। কারণ এক জায়গায় বসে থাকলে সময় কাটতে চায় না। আর অপেক্ষা জিনিসটা আমার কাছে খুব খারাপ লাগে। যাইহোক নার্সারিতে ঘুরাঘুরি করার পর উত্তরা দিয়া বাড়ির দিকে একটু হাঁটতে গেলাম। আমরা অনেক সকালে সেখানে পৌঁছে গিয়েছি বিধায় হাতে অনেক সময় ছিলো। কারণ অফিস কার্যক্রম শুরু হতে হতে ৯.৩০ টার উপরে বেজে যায়। যাইহোক আশেপাশে হাঁটাহাঁটি করে ৯টার পর আবারো উত্তরা বিআরটিএ তে গেলাম।
যাওয়ার পর খবর নিয়ে জানতে পারলাম আরো সময় লাগবে। তারপর লেবু চা খেলাম এবং অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর সিরিয়ালে থাকা গাড়ি গুলোর নম্বর প্লেট লাগানোর কার্যক্রম শুরু করলো। ধাপে ধাপে নম্বর প্লেট লাগানোর কাজ শেষ হলো। তারপর আমরা গাড়ি নিয়ে রওনা দিলাম যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গা প্রেস এর উদ্দেশ্যে। কারণ গাড়ির বডিতে ক্যারিয়েল লাগাতে হবে। একজনের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানতে পারি যে, যাত্রাবাড়ী ভাঙ্গা প্রেস এর দিকে থাকা গ্যারেজ গুলোতে দক্ষ কারিগর পাওয়া যায়। তারা পিছনের দিকে ক্যারিয়েল ফিটিং সহ সবকিছুর জন্য খুবই দক্ষ। যেহেতু এই পিকআপ দিয়ে আমাদের এলাকা থেকে তুলা বিভিন্ন জায়গায় ডেলিভারি করতে হবে, তাই পিকআপ এর বডিতে ক্যারিয়েল অবশ্যই লাগাতে হবে। যাইহোক কয়েকটি গ্যারেজ ঘুরে প্রথমে আইডিয়া নিলাম। তারপর একটি গ্যারেজে চুক্তি হলো যে সব ধরনের মালামাল আমি কিনে দিব এবং তাদের মজুরী ৯০০০ টাকা। তাদেরকে ২/৩ দিন সময় দিতে হবে।
আমি গ্যারেজের লোককে সাথে নিয়ে আশেপাশে থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ১৬০০০ টাকার মালামাল কিনে দিলাম। তার মানে মজুরীসহ মোট ২৫০০০ টাকা লাগবে। মালামাল কিনতে কিনতে প্রায় বিকেল হয়ে গিয়েছিল। তারপর আমি পাশের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করলাম। তারপর সেদিন কিছুক্ষণ সময় দিয়ে সন্ধ্যার পর বাসায় চলে গেলাম। এরপর দুইদিন মোটামুটি কয়েকঘন্টা সময় দিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে। তারপর দুইদিন পর সব কাজ শেষ হলে গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে রওনা দিলাম। তারপর গাড়ির জন্য একটি বাড়তি টায়ার এবং রিং কিনে নিলাম। কারণ বাড়তি একটি চাকা গাড়িতে রাখতে হয়। যাতে করে রাস্তায় কোনো সমস্যা হলে তাড়াতাড়ি মেরামত করা যায়। তারপর গাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় আরো অনেক কিছু কিনে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পরের দিন থেকে গাড়ি রাস্তায় চলা শুরু করলো। আর এখনো পর্যন্ত গাড়িটি খুব ভালোভাবেই চলছে। এই পর্যন্ত একবারের জন্যও মেরামত করার প্রয়োজন হয়নি। আপনারা দোয়া করবেন যেন আমার গাড়ি গুলো ঠিকমতো চলে এবং রাস্তায় যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১১.৭.২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.