লাইফস্টাইল পোস্ট || প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালন করার অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি(শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন রান্না করার যাবতীয় আইটেম গুলো বাবুর্চির কাছে দিয়েছি। মূলত খাবার আইটেম ছিলো বিরিয়ানি, চিকেন ফ্রাই,জর্দা পোলাও এবং বোরহানি। ডেকোরেটর এর লোকজন তিন রুমের মধ্যে সবকিছু সেটিং করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। একটু পর বোরহানি তৈরির টক দই চলে আসলো। আর বোরহানি তৈরির যাবতীয় সবকিছু বাবুর্চি কিনে এনেছিল। কারণ বাবুর্চির সাথে কন্ট্রাক্ট হয়েছে ৪০ কেজি টক দই এবং বোরহানি তৈরি করতে যাবতীয় কিছু বাবুর্চি আনবে। এর জন্য বাবুর্চিকে ৪ হাজার টাকা দিতে হবে। বাবুর্চি আমার সামনে বোরহানি তৈরি করলো। তারপর আমাকে টেস্ট করে দেখতে বললো কেমন হয়েছে। সত্যিই মুখে দেওয়ার পর বুঝলাম বোরহানি খেতে দারুণ হয়েছে।
তারপর আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে বরফ আনতে পাঠালাম একজনকে। কারণ বোরহানিতে বরফ দিতে হবে। যাইহোক আমার বাসার গ্যারেজে রান্নার কাজ আগাচ্ছে। মাঝে মধ্যে গিয়ে আমি দেখছিলাম রান্নার কাজ। এদিকে ডেকোরেটর এর লোকজন প্লেট, গ্লাস, চেয়ার সহ আরো যা যা এনেছে, সবকিছু আমাকে বুঝিয়ে দিল। যাতে করে অনুষ্ঠান শেষে তাদেরকে সবকিছু আমি বুঝিয়ে দিতে পারি। যেহেতু শুক্রবার ছিলো সেদিন, জুম্মার আযান দিয়ে দিল। আমি গোসল করে নিলাম। তারপর রেডি হয়ে মসজিদে চলে গেলাম নামাজ আদায় করতে। নামাজ আদায় করে বাসায় এসে দেখলাম সব রান্না হয়ে গিয়েছে। তারপর উপরের তলায় উঠে দেখলাম ডেকোরেটর এর লোকজন মানে খানসামারাও তাদের পোশাক পরে রেডি হয়ে গিয়েছে। তারা বললো যে সব রেডি।
লোকজন আসা শুরু করলেই খাবার সার্ভ করবো। আত্মীয় স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশীরাও ধীরে ধীরে বাসায় আসছে। বন্ধু বান্ধবদের ফোন করলাম আসার জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকজনের চাপ অনেক বাড়তে থাকলো। প্রথম বৈঠকে ৪২ জনকে বসিয়ে দিলাম খাবার খাওয়ানোর জন্য। খাওয়া দাওয়া চলছে। এদিকে আমার ব্যস্ততার শেষ নেই। কারণ সবদিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে। আমি নামাজ শেষ করে শেরওয়ানি পরারও সময় পাইনি। অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার ওয়াইফ গিয়েছিলাম শপিংয়ে। আমার ওয়াইফ শাড়ি ও অর্নামেন্টস কিনেছিল এবং আমি একটি শেরওয়ানি কিনেছিলাম। পার্লার এর দুইজন মহিলা নামাজের আগেই বাসায় এসেছে, আমার ওয়াইফকে সাজানোর জন্য। আর এদিকে আমি শেরওয়ানি পরার টাইম পাইনি।
যাইহোক ইতিমধ্যেই ক্যামেরাম্যান চলে এসেছে। ক্যামেরাম্যানকে বললাম আমার ওয়াইফ এর সাজগোজ শেষ হলে ফটোগ্রাফি করার জন্য। আর সবার খাওয়া দাওয়া শেষ হলে, তারপর রেডি হয়ে ছবি তুলবো আমি ও আমার ওয়াইফ একসাথে। ক্যামেরাম্যানকে বললাম খাওয়া দাওয়া করতে এবং আমার দেরি হলেও যেন অপেক্ষা করে। এদিকে খাওয়া দাওয়া শেষ করতে করতে প্রায় ৫টা বেজে গিয়েছিল। আমার ওয়াইফ এর ফটোগ্রাফি করা শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। ক্যামেরাম্যান অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। সবার খাওয়া দাওয়া শেষ হওয়ার পর, ডেকোরেটর এর সবকিছু বুঝিয়ে দিলাম এবং বাবুর্চিদেরকে খেতে বলে উপরে চলে আসলাম রেডি হতে। তারপর শেরওয়ানি পরলাম এবং প্রথমে আমি ও আমার ওয়াইফ রুমের মধ্যে ছবি তুললাম। তারপর আমার বাসার ছাদে গিয়ে অনেকগুলো ছবি তুললাম। ছবি তোলা শেষ হলে ফ্রেশ হলাম। আর এভাবেই সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান শেষ করলাম। সত্যি বলতে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। সফলভাবে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান শেষ করতে পেরে মনের মধ্যে দারুণ অনুভূতি হয়েছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৪.৮.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাংলাদেশে গিয়ে আমি প্রথমবার কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে বোরহানি খেয়েছিলাম। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। এটা অনেকটা অ্যাপিটাইজার হিসেবে কাজ করে। যাই হোক আপনার বিবাহ বার্ষিকী সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এটাই অনেক বড় ব্যাপার। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল। আর খাবার দাবার কিন্তু অনেক বেশি লোভনীয় ছিল ভাই।
হ্যাঁ ভাই বোরহানি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি হজম শক্তির জন্য খুব ভালো। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে বাড়িতে দেখছি দারুন আয়োজন করেছিলেন ভাইয়া। আপনাদের দুজনার সারাটা জীবন সুখের হোক মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই কামনাই করি।
হ্যাঁ ভাই আয়োজনটা ভালোভাবে করার চেষ্টা করেছি। যাইহোক আমাদেরকে শুভকামনা জানানোর জন্য এবং এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইরে ভাই বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছেন ভালো কথা কিন্তু একটু দাওয়াতওওওও দিলেন না! তবুও দোয়া করব যেন সুখে থাকেন শান্তিতে থাকেন প্রত্যেকটা দিন যেন হয় অতি আনন্দদায়ক। আর সর্বদা এটা দোয়া করব যেন সব সময় সুস্থ শরীরে দুজন জীবন অতিবাহিত করতে পারেন আপনজনদের মাঝে।
বাসার নির্মাণ কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম ভাই। তাই তেমন কাউকে বলার সুযোগ হয়নি। যাইহোক আমাদেরকে শুভকামনা জানানোর জন্য এবং এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।