রেসিপি পোস্ট || 🍲মুগ ডাল দিয়ে খাসির মাংসের সুস্বাদু রেসিপি🍲
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝে মধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। তবে বেশিরভাগ সময় আমি চিংড়ি মাছ এবং ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করে থাকি। কারণ এই দুটি মাছ আমার খুব প্রিয়। যাইহোক প্রায় ৪/৫ বছর পর মুগ ডাল দিয়ে খাসির মাংস রান্না করলাম। কোরবানির ঈদের কয়েকদিন পর শখ করে একটি খাসি কিনেছিলাম খাওয়ার জন্য। কারণ খাসির মাংস আমার খুবই পছন্দ। খাসিটিতে মাত্র সাত কেজি গোশত হয়েছিল। তবে গোশত খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। খাসিটি জবাই করার পরপরই আমার আম্মু খাসির মাংসের রেজালা তৈরি করেছিল। আর আমি গতকালকে ফ্রিজ থেকে এক কেজি পরিমাণ খাসির মাংস বের করে মুগ ডাল দিয়ে রান্না করেছিলাম। কারণ এই রেসিপিটা আমার খুবই পছন্দ। রেসিপিটা খেতে সত্যিই খুব সুস্বাদু লেগেছিল। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
মুগ ডাল দিয়ে খাসির মাংসের সুস্বাদু রেসিপি
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
খাসির মাংস | ১ কেজি |
মুগ ডাল | ৩০০ গ্রাম |
পেঁয়াজ | ৩টা |
কাঁচামরিচ | ১টা |
তেজপাতা এবং গরম মসলা | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
জিরার গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
ধনিয়ার গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
আদা বাটা | পরিমাণ মতো |
রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রধান উপকরণ
🍲প্রথম ধাপ🍲
প্রথমেই মুগ ডাল গুলো অল্প আঁচে হালকা ভেজে নিলাম। তারপর ভেজে নেওয়া মুগ ডাল গুলো একটি বাটিতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলাম।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
তারপর আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি ও মরিচ দিয়ে দিলাম।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
পেঁয়াজ হালকা বাদামি কালার হওয়ার পর পরিমাণ মতো তেজপাতা,গরম মসলা, হলুদ মরিচের গুঁড়া, আদা রসুন বাটা, ধনিয়ার গুঁড়া, জিরার গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে দিলাম কষানোর জন্য।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
মসলা গুলো কষানো হয়ে গেলে আগে থেকে কেটে রাখা খাসির মাংস গুলো দিয়ে দিলাম কষানোর জন্য।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
খাসির মাংসগুলো কষানো হয়ে গেলে, ভিজিয়ে রাখা মুগ ডাল গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর খুব ভালো করে নেড়ে নিব।
🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲
তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব। যাতে করে মাংস গুলো খুব ভালো ভাবে সিদ্ধ হয়ে যায়।
🍲সপ্তম ধাপ🍲
১০/১২ মিনিট পর দেখলাম রান্না হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে কয়েকবার ঢাকনা খুলে দেখেছিলাম ঝোল শুঁকিয়েছে নাকি। কারণ এই রেসিপিতে ঝোল না থাকলে খেতে দারুণ লাগে।
🍲পরিবেশন🍲
তারপর রাতের খাবারের সময় বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৫.৭.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
বাহ তাহলে তো দারুন ব্যাপার সেপার আপনি শখ করে খাসি কিনলেন এবং সেই খাসির মাংস দিয়ে বেশ মজার করে মুখ ডাল দিয়ে রান্না করলেন। সত্যি বলতে কি রেসিপিটা এত লোভনীয় দেখাচ্ছে যে খেতে ইচ্ছে করতেছে। দারুন কালার কম্বিনেশন আর উপস্থাপনা সবকিছু অসাধারণ ছিল।
তাজা খাসির মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা আপু। রেসিপিটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছিল। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মনে খুবই প্রশ্ন জাগছে চার পাঁচ বছর পর কেন খাসির মাংস রান্না করলেন এর মাঝখানে কেন রান্না করেন নি খুবই জানতে ইচ্ছে করছে। মুগ ডাল দিয়ে খাসির মাংস রেসিপিটি দেখতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগছে। আমি যদিও খাসির মাংস খুবই কম খাই তারপর রেসিপিটি দেখে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। রান্না করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
যখন সাউথ কোরিয়াতে ছিলাম, তখন এই রেসিপিটা প্রায়ই তৈরি করে খেতাম। আমার আম্মু এবং ওয়াইফ খাসির মাংস অপছন্দ করে। শুধুমাত্র আমি এবং আব্বু খাসির মাংস খুব পছন্দ করি। আসলে যেকোনো রেসিপি বাসার সবাই না খেলে আমার ভালো লাগে না। তাই খাসির মাংসের রেসিপি বাসায় তৈরি করা হয় না বললেই চলে। আশা করি আপনি উত্তর পেয়েছেন। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আমি যখন ঢাকাতে থাকতাম তখন মুগ ডাল আর খাসির মাংস দিয়ে এরকম রান্না করতাম খেতে খুবই সুস্বাদু হতো। আপনার এই রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই রেসিপিটা ছোটবেলা থেকেই আমার খুব পছন্দ। আপনিও এই রেসিপিটা তৈরি করে খেতেন,জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
বহু বছর পর রেসিপিটি তৈরি করেছেন । দুপুরের খাবার হলে এটি আরো বেশি জমে যেত। রেসিপিটি লোভনীয় হয়েছে এবং আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের সাথে।
আপু দুপুরে সময় পাইনি রেসিপিটা তৈরি করতে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
চিংড়ি মাছ এবং ইলিশ মাছ আপনার পছন্দের জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। তবে আমরা মাঝে মাঝে নিজেদের পছন্দের খাবারের বাইরেও অন্য কোন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। মুগ ডাল দিয়ে খাসির মাংসের রেসিপি দারুন হয়েছে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে।
রেসিপিটা দেখে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আশা করি সামনেও এভাবেই সাপোর্ট করে যাবেন সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে।
ভাইয়া খাসির মাংসের সাথে মুগ ডাল রান্নার অসাধারণ ছিল। সত্যি আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।তবে আপনার মাংস তো দেখছি অনেক তারাতাড়ি সিদ্ধ হয়েছে । প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি এবং গোশত তাজা ছিলো। সেজন্য তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মুগ ডাল দিয়ে খাসির মাংসের সুস্বাদু রেসিপি। আসলে খিচুড়ি এবং মাংস দিয়ে যদি একসাথে রান্না করা যায় তাহলে আমার কাছে খেতে বেশ ভালোই লাগে। কিছুদিন আগে এই রেসিপি বাড়িতে তৈরি করে খেয়েছিলাম আসলে বেশ ভালই লেগেছিল আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
এই রেসিপিটা আমার খুব পছন্দ ভাই। এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি দারুণ লাগবে খেতে। এমন অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।