রেসিপি পোস্ট || 🍲পেঁয়াজ এবং টমেটো দিয়ে চেউয়া মাছের ভুনা রেসিপি🍲
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝেমধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। যাইহোক গরমের সময় আমি ঝোল রেসিপি খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। তবে ওয়েদার হালকা ঠান্ডা থাকলে ভুনা জাতীয় রেসিপি খেতেও দারুণ লাগে। হালকা বৃষ্টি হওয়াতে ওয়েদার তুলনামূলকভাবে কিছুটা ঠান্ডা রয়েছে। তাই ভেবেছিলাম ভুনা জাতীয় রেসিপি তৈরি করবো। যাইহোক কয়েকদিন আগে বিভিন্ন ধরনের মাছের সাথে এক কেজি চেউয়া মাছ কিনেছিলাম। কেনার পর চেউয়া মাছ বাজার থেকে কেটে একেবারে পিস পিস করে এনেছিলাম।
কারণ আমার বাসার কেউ চেউয়া মাছ খেতে চায় না। তারা বলে চেউয়া মাছ নাকি সাপের মতো দেখা যায়😂। সেজন্য বাসার কেউ চেউয়া মাছ ধরেও না। তবে চেউয়া মাছ আমার খুব পছন্দ। পেঁয়াজ এবং টমেটো দিয়ে চেউয়া মাছ ভুনা করলে কিংবা বেগুন দিয়ে চেউয়া মাছ রান্না করলেও খেতে দারুণ লাগে। তবে আমি এবার পেঁয়াজ এবং টমেটো দিয়ে চেউয়া মাছের ভুনা রেসিপি তৈরি করেছি। ঝাল ঝাল করে রেসিপিটা তৈরি করেছি বলে খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। রেসিপির কালারটাও দারুণ এসেছিল। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
পেঁয়াজ এবং টমেটো দিয়ে চেউয়া মাছের ভুনা রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চেউয়া মাছ | ২০০/২৫০ গ্রাম |
টমেটো | ১ টা |
পেঁয়াজ | ২ টা |
কাঁচামরিচ | ৭/৮ টা |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
ধনিয়ার গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
আদা রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রধান উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালী নিম্নরূপ :
🍲প্রথম ধাপ🍲
প্রথমে ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করা চেউয়া মাছ গুলো ধুয়ে,অল্প পরিমাণে হলুদ মরিচের গুঁড়া এবং লবণ মাখিয়ে, ফ্রাই প্যানে সয়াবিন তেল ঢেলে মাছগুলো ভালোভাবে ভেজে নিলাম। তারপর আলাদা একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখলাম। এরপর পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে, কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
পেঁয়াজ হালকা বাদামি কালার হওয়ার পর পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া,ধনিয়ার গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর হালকা একটু নেড়ে আদা রসুন বাটা দিয়ে দিলাম। এরপর মসলাগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিবো।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
মসলাগুলো কষিয়ে কেটে রাখা টমেটো এবং কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর একটু নেড়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো ২/১ মিনিটের জন্য।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
২/১ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখলাম পানিতে হালকা বলক চলে এসেছে। তারপর ভেজে রাখা চেউয়া মাছ গুলো দিয়ে দিলাম এবং ৪/৫ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো। একটু পর ঢাকনা খুলে দেখলাম ঝোল অনেকটা শুঁকিয়ে গিয়েছে। তারপর কেটে রাখা ধনিয়াপাতা গুলো দিয়ে একটু নেড়ে নিবো।
🍲পরিবেশন🍲
ব্যাস এভাবেই রেসিপিটা তৈরি করে ফেললাম। তারপর ছোট একটি প্লেটে ঢেলে পরিবেশন করলাম। গরম গরম ভাতের সাথে রেসিপিটা খেতে সত্যিই খুব ইয়াম্মি লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২০.৫.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
চেউয়া মাছগুলো দেখতে সত্যি অনেকটা সাপের মত লাগছে। আমিও এই মাছ কখনো খাইনি। আমাদের এখানে এই মাছগুলো পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে যেকোন মাছ ভুনা করলে খেতে ভালো লাগে। যাইহোক যেহেতু আমাদের এদিকে পাওয়া যায় না তাই কখনো খাওয়ার সুযোগ হয়নি।
এই মাছ অনেক মেয়েরাই খেতে চায় না। তবে বেশিরভাগ ছেলেরা কিন্তু সবই খেতে পারে। যাইহোক প্রতিনিয়ত এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
X-promotion
পেঁয়াজ এবং টমেটো দিয়ে চেউয়া মাছের ভুনা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। অসাধারণ টমেটো দিয়ে তৈরি করার কারণে আরো বেশি ভালো লেগেছে রেসিপিটা।
হ্যাঁ ভাই টমেটো দেওয়ার কারণে রেসিপিটা খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার আজকের চেউয়া মাছের রেসিপি টা কিন্তু দারুন লেগেছে। আমি নিজেও এই মাছটা খেতে খুবই পছন্দ করি। তবে আপনার রান্নাটা দেখে মনে হচ্ছে একটু বেশি সুস্বাদু হয়েছে। এই মাছের মধ্যে টমেটো দিলে একটু বেশি মজা হয়। তাছাড়া আপনার রান্নার কালারটাও বেশ সুন্দর হয়েছে।
হ্যাঁ আপু রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
চেউয়া মাছের নাম শুনে আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করছে কারণ এই নাম আগে কখনও শুনেছি বলে মনে হয় না। তবে মাছের পিস দেখে মনে হচ্ছে আমরা একে হয়তো অন্য নামে ডাকি। যাই হোক ভাইয়া গরমে ভুনা রেসিপি থেকে ঝোল রেসিপি খাওয়াই সবচেয়ে বেশি ভালো। আপনি টমেটো দিয়ে চেউয়া মাছের খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই মাছকে আমরা চেউয়া মাছ বলে থাকি এবং এই মাছের শুদ্ধ নাম চেউয়া মাছ। গুগলে সার্চ দিলেই দেখতে পাবেন আপু। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
পেঁয়াজ ,টমেটো দিয়ে চেউয়া মাছের ভুনা রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে দারুন হয়েছিল।রেসিপির কালারটা খুব সুন্দর এসেছে।আপনি রান্নার প্রক্রিয়া বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু রেসিপির কালারটা আসলেই চমৎকার এসেছে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
চেউয়া মাছের রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে ভাইয়া এই মাছ গুলো দেখে অনেক মজার। তবে আমাদের এদিকে তেমন পাওয়া যায় না। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে তরকারিতে টমেটো দিলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানেও এই মাছ তেমন পাওয়া যায় না। অনেকদিন পর দেখেছি বলে সাথে সাথে কিনে নিয়েছিলাম। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মাছের নাম চিনতে পেলাম না আসলে এগুলো কি মাছ।যে মাছেই হোক না কেন খুব চমৎকার সুস্বাদু মাছ বোঝা যাচ্ছে রেসিপি দেখেই। রন্ধন-প্রাণী চমৎকারভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন রেসিপিটির।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপু গুগলে চেউয়া মাছ লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.