আমাদের জেনারেশন।
আজ - ১৬ই ভাদ্র |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া গতকাল থেকেই স্টিমিট সার্ভারে অনেকটাই সমস্যা করছে ঢুকাই যাচ্ছে না স্টিমিটে। তাই অনেকগুলো কাজ আমার পেন্ডিং-এ পড়ে আছে। তাছাড়া এটাও জানিনা যে এখনকার এই পোস্টটা কখন দিতে পারব । তবে যখন এই পোস্ট লিখছি তখন কিন্তু বেলা 11 টা বাজে। তাই শুভ সকালটা বলে আজকে শুরু করলাম।
আসলে প্রতিটা দিনই ভাবি যে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার এই অভ্যাসটি গড়ে তুলতে হবে কিন্তু সেই আগের মত আবার দেরি হয়ে যায়। আসলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে হলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হয়। কিন্তু এখন অভ্যাসটা এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে না। ২-১ দিন ধরে চেষ্টা করেছিলাম রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেতে এবং তাড়াতাড়ি সকালে ঘুম থেকে উঠতে। তবে কোন কাজই হয়নি। সেই গতানুগতিক নিয়মটা আসলে বারবার ফিরে আসে । আসলে কথায় আছে না অভ্যাস মানুষের দাস। ঠিক তাই, অভ্যাস আমাকে একদম দাস বানিয়ে রেখেছে। তাই এই অভ্যাস থেকে বেরোতে পারছি না। তবে আমি বলি, যারা সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর এই অবস্থা করে তুলেছেন তারা এটা ধরে রাখুন কেননা এটা জীবনে অনেক বড় একটি কাজে আসবে।
দিন দিন আমাদের জেনারেশনের মানুষের আয়ু আসলে কমতে শুরু করেছে। দেখুন না আগেকার মানুষ কত বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতো। কিন্তু এখনকার মানুষের আয়ু কতটা কমে গেছে। এখনকার এ জেনারেশনের মানুষের গড় আয়ু বলতে গেলে ৬০ বছরের নিচে। এখন আসলে ৬০-৭০ বছরের উর্ধ্বে মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তবে আগেকার মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যেত তারা ৮০, ৯০, ১০০ কিংবা তারও অধিক বয়স পর্যন্ত খুবই সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতো। আগেকার মানুষের ৩০-৪০ বছর পর্যন্ত তো তাদের কোন রোগ বলাই ছুঁতেই পারত না। আর বর্তমানে বয়স হাতে না হতে মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়।
আসলে আগেকার মানুষের এখনকার মানুষের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আগেকার মানুষ ছিল পরিশ্রমি এবং ভেজাল মুক্ত খাবার এবং প্রকৃতির খাটি উপাদান তারা ভোগ করতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা যা খাচ্ছি তা প্রত্যেকটি উপাদানেই ভেজাল এবং খুবই কম পরিশ্রমি ও অলস প্রকৃতির হাওয়ায় পূর্বের মানুষগুলোর তুলনায় আমাদের মধ্যে এতটা তফাৎ। আমি এখনো আমার নানাকে দেখলে বেশ অবাক হয় তিনি এই বয়সে আমাদের থেকে অনেক স্ট্রং এবং প্রখর স্মরণ শক্তি বিদ্যমান। এই অধিক বয়সে তিনি নিজের কাজ নিজে করেন। সত্যিই আগের মানুষগুলো আমাদের তুলনায় অনেক বেশি বুদ্ধিমান এবং স্ট্রং ছিলেন।
আসলে আমাদের এই জেনারেশনে মানুষের এত অসুখ-বিসুখ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের খাদ্য অভ্যাস, জীবনযাত্রার ধরন। এসব কিছু যদি আমরা একটা সুশৃংখল এর মধ্যে নিয়ে আসতে পারি তাহলে সুস্থভাবে অনেক দিন বেঁচে থাকা যায়। আসলে অনেকদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা চেয়ে সুস্থ ভাবে যতদিন আয়ু আছে অতদিন বেঁচে থাকে শ্রেয়। অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকাটা অনেকটাই কষ্টকর। যদিও কার আয়ু কতদিন আছে সেটা সৃষ্টিকর্তায় ভালো জানে তারপরও সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার কিছু অংশ হলেও আমাদের উপর রয়েছে। যাইহোক আমরা যদি সুস্থ এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে চাই তাহলে আমাদের জীবনে ধরনের প্রক্রিয়াটা নিয়মিত এবং সুশৃংখল পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
আজ এই পর্যন্তই, সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠতে হলে রাতে অবশ্যই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে। আমিও আজকে ঘুম থেকে বেলা ১১টার পর উঠেছি। যাইহোক দিন যতো অতিবাহিত হচ্ছে খাবারের মধ্যে ভেজাল ততোটা বাড়ছে। মানুষও আগের মতো ততোটা পরিশ্রমী না। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের গড় আয়ু দিনদিন কমছে। আমার দাদা ৯০ বছর বয়সে মারা গিয়েছে কয়েক বছর আগে। সুস্থভাবে দীর্ঘদিন বাঁচতে হলে অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস তথাপি জীবনযাত্রার ধরণ পরিবর্তন করতে হবে। যাইহোক এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া অনেক সুন্দর এবং সময়োপযোগী একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এটা একেবারেই সত্য যে, বর্তমান জেনারেশন খাবারের কারণে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই বর্তমান সময়ে আমাদের সকলের খাবার গ্রহণের সময় বিশেষভাবে সচেতন হওয়া উচিত। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য নিয়ম মেনে চলা খুবই প্রয়োজন। বর্তমানে আমাদের অনিয়মিত জীবনধারা এবং ভেজাল খাবারের জন্য বিভিন্ন রোগ হচ্ছে এবং আয়ু কমে যাচ্ছে। তবে এসব থেকে বাঁচতে হলে নিয়ম মেনে চলা এবং ভেজাল মুক্ত খাবার খাওয়া আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যাই হোক ভাইয়া, আপনি খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট তৈরি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনার নানা এখনো বেচেঁ আছে জেনে খুবই ভাল লাগলো। আমার দাদা দাদি আর নানা নেই। নানি আছে, পাচঁ তারিখ ওমরা করতে যাবে। তিনি এখনও চশমা ছাড়া কোরআন শরীফ পড়েন। আর আমাদের মাঝে কিছু মানুষ ১৫ বছর পর থেকেই চশমা ছাড়া দেখে না। মোবাইল টিপে টিপে ঘুমাতে ঘুমাতে ২/৩ বেজে যায়। চোখ যে আছে এটাই বেশি। ধন্যবাদ।
আসলেই অভ্যাসের দাস মানুষ।রাতে দেরিতে ঘুমাতে যাওয়ায় সকালে উঠতে না পারার কারণ। রুটিং চেইন্জ করতে চাইলেও কয়েকদিন পর আবার যা তাই হয়।ঠিকই বলেছেন এটা যে,আমাদের জেনারেশন এর মানুষদের এতো রোগের কারণ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ধরন।আগেকার মানুষগুলো তো সব অথেনটিক জিনিস খেয়েছে আবার তাদের সময় এতো ডিভাইস,ইন্টারনেট ও ছিলনা।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর এই স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে হলে আমাদের কে অবশ্যই বেশ তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করে তুলতে হবে। অন্যথায় আমাদের স্বাস্থ্য পড়ে যাবে ঝঁকিতে। বেশ সুন্দর কিছু কথা লিখেছন । মূল্যবান এই কথা গুলো কিন্তু আমাদের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়। আশা করি আপনার এই কথা গুলো আমাদের কাছে উপদেশ হিসাবে গ্রহনযোগ্য।