৫ম পর্বঃ লিপা

---

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

শুভ সকাল 🌼🦋। সকালের শুরুটা হোক সুন্দরভাবে এই প্রত্যশায় করছি! যাক, গল্পের পঞ্চম পর্বে চলে এলাম। আশা করি এ পর্বটিও আপনারা উপভোগ করবেন!

_{copyright free image from pixabay}

৪র্থ পর্বের পর থেকে

কি যে বলিস তুই! ও, নীল রঙের জামাতে আমাকে দেখতে চেয়েছে তাই পড়লাম!(শিলা)
এই কথা তাহলে! সত্যি, তোকে মানিয়েছে রে!
কিছুক্ষণ পরেই অভির মেসেজ! "তুমি কোথায়? আমি কখন থেকে দাড়িঁয়ে আছি! "
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অভি দাড়িঁয়ে আছে! লিপা আর শিলা সেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে! লিপা নরমাল ড্রেস পরেছে! খুব সাদাসিধে একটা মেয়ে! আকাশের মতো ধূসর রঙেই লিপাকে মানায়! অন্যসব মেয়েদের থেকে লিপা আলাদা। শহরের কালচার সম্পর্কে লিপা অবগত আছে। কিন্তু সে সবসময় নরমাল পোশাক পরেই বাহিরে বের হয়! এ নিয়ে লিপার কোনো আক্ষেপ নেই।

দুজনে চলে যায় ক্যাম্পাসের ভিতরে! অভিকে তখন ফোন দেয় শিলা!
-তুমি কোথায়?
-ক্যাম্পাসের ভিতরে কৃষ্ণচূড়া গাছটার কাছে!
-আমরা দাড়িঁয়ে আছি ক্যাম্পাসের সামনে।
-আচ্ছা, দাড়াঁও আসছি!

অভি প্রথমবার শিলার সাথে দেখা করছে! হাতে একগুচ্ছ গোলাপ ফুল! লাল, হলুদ, গোলাপী, খয়েরী রঙের! মেয়েদের এই একটা জিনিস খুব পছন্দের! ফুল। ফুলের মতোই যে কোমল তাদের হৃদয়! এই কোমল হৃদয়ে ভালোবাসা খুব সুন্দর করে পোষে রাখতে জানে। ফুল পেলে শিলা খুশি হবে!

দূর থেকেই অভি দেখতে পায় শিলাকে! তার কথা মতোই নীল রঙের জামা পরে এসেছে! সাথে আরেকটি মেয়ে! লিপা। অভি কাছে গিয়েই
শিলাকে বলে, "কেমন আছো? "
-ভালো! পরিচয় করিয়ে দেয়! আমার বান্ধবী লিপা! আমরা দুজন একসাথেই পড়াশোনা করছি!
-হেলো! কেমন আছেন আপনি? (অভি)
-জি, ভালো! আপনি ভালো আছেন তো!
-হুমম, আপনার ফ্রেন্ডকে দেখে মনটাই ভালো হয়ে গেল!
-চলো, আমরা গিয়ে কোথাও বসি! (শিলা)
-হ্যা, চলো!

শিলা আর অভি পাশাপাশি হাটঁছে! লিপা তাদের পিছু পিছু আস্তে আস্তে হেটেঁ আগাচ্ছে! তাদের দূজনকে মানিয়েছে! লিপারও স্বপ্ন জাগে তার প্রিয় মানুষটির হাত ধরে হাটাঁর! পাশাপাশি হাটঁবে অনেকটা পথ! লিপা ব্যাগ থেকে ফোন বের করে! ফোন করে লুকিয়ে লুকিয়ে পিছন দিক থেকেই ছবি তুলতে থাকে লিপা! ছবিগুলো শিলাকে পরে দেখাবে! হাটঁতে হাটঁতে অনেকটা পথ এগিয়ে চলে যায় শিলা আর অভি! তাদের প্রথম দেখা! কতো কথা জমে আছে দুজনের! একসাথে কথা বলাই ভালো! লিপা ভাবতে ভাবতে এক জায়গায় গিয়ে বসে পড়ে! ক্যাম্পাসের মাঝ মাঠে! ক্যাম্পাস আজ নীরব মনে হচ্ছে! অনেকেই হয়তো এখনো আসেনি! লিপা আনমনে বসে আছে! তাদের দুজনের কথা শেষ হলে একসাথে বাসায় যাবে।

হঠাৎ শিলা পিছন ফিরে তাকায়! তাকাতেই দেখে লিপা নেই! কোথায় গেল তাহলে!
-আশেপাশেই আছে হয়তো! (অভি)
-হুমম। দাড়াঁও ওকে ফোন দেই! (লিপাকে ফোন দেয় শিলা)। কই তুই?
-আমি বসে আছি ক্যাম্পাসের মাঝে বসার জন্য যে দেয়াল মতো আছে ঐখানে!
-এদিকে এসে পড়! কিছু খাবো এখন!
-তোরা খেয়ে নে! আমি বাসায় গিয়ে খাবো!
-ঠিক আছে! সেখানেই বসে থাকিস! বেশিক্ষণ লাগবে না।

শিলার ফুচকা খুব পছন্দ! বলতে গেল মেয়েদের ফেভরিট ফুডের মধ্যে ফুচকা একটি! অভি তা জানে! দুজনে মিলে ৪০ টাকার ফুচকা নেই! অভি ঝাল খেতে পারে না! শিলা ঠিকই ঝাল খেতে পারে! একটা ঝাল বেশি আরেকটায় ঝাল কম! দোকানদারকে বলে বলে দেয়! শিলা ঝাল দেয়া ফুচকাটা নিল! অভির বেশি ঝাল খেলেই মাথায় ধরে যায়। দুজনে মিলে ফুচকা খেয়ে নিল!

লিপাকে হঠাৎ করেই শাওন মেসেজ দেয়!
-কি করেন?
-কিছু না! আপনি?
-ক্যাম্পাসে এসেছিলাম! কিন্তু আপনি আসেননি তাই চলে গেলাম!
-ও তাই! আমি না আসলে আপনি চলে যাবেন কেন??
-আপনার সাথে দেখা করতে ইচ্ছে করছিল!
-এতো ইচ্ছে করতে নেই! দূরত্ব রাখা ভালো!
-দূরত্ব কি ভালোবাসা বাড়ায়?
-জানিনা!
-কি জানেন?
-কিছুই জানি না!
-দূরত্বটা যখন বাড়াতে চেয়েছেন, তাহলে আপনাকে আমি লুকিয়ে ঠিকই দেখে নিবো!
-হাহা! খুব দরকার আমাকে দেখার! দেখলে কি হবে?
-হুমম! হৃদয়ের তীব্র ইচ্ছে আপনাকে একবার দেখার!
-বুঝেছি!

চলবে.....

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}