হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। অবশ্যই ভালো আছেন কারণ গতকাল রাতে এতো সুন্দর একটা অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন তারপর খারাপ থাকেন কি করে? আসলে আমার বাংলা ব্লগ সব দিক হতেই ভিন্ন, শুধু ভিন্ন বললে ভুল হবে বরং সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। এখানে যে মুহুর্তগুলো আমরা পার করি বা যে সময়গুলো আমরা ব্যয়, তা সব দিক হতেই সব সময় আরো বেশী রঙিন ও উজ্জ্বল হয়ে থাকে, একটা পরিবারের চেয়েও বেশী কিছু বলতে পারেন এই ক্ষেত্রে। এটাই আমার বাংলা ব্লগের শ্রেষ্ঠ অর্জন হিসেবে আমি বিবেচনা করি। তাইতো আমার বাংলা ব্লগ আমার হৃদয়ের স্পন্দন, আমার বাংলা ব্লগের আমাদের পাওয়ার হাউজ।
কিছু মুহুর্ত থাকে জীবনের সেরা
কিছু চেহারা থাকে হৃদয়ের আবেগ ঘেরা
কিছু চাওয়া থাকে স্নেহের পরশে ছোঁয়া
কিছু আবদার থাকে আর্শীবাদে ঢাকা
কিছু নাম, কিছু ডাক, কিছু মুখ
মমতার ছায়ায় স্পষ্ট, ভালোবাসার উষ্ণতায় শ্রেষ্ঠ
টিনটিন তুমি সকলের প্রিয়, যুগ যুগ জিও।
গতকালের বিশেষ হ্যাংআউটের সময়গুলো ছিলো সেই রকম কিছু মুহুর্ত। সত্যি বলতে গতকাল খুব তাড়াতাড়ি অফিস হতে বের হয়েছিলাম, উদ্দেশ্য দ্রুত বাড়ি ফিরতে হবে এবং টিনটিন বাবুর জন্য একটা কবিতা লিখতে হবে। এতো সুন্দর একটা আয়োজন আর সেখানে আমি কবিতা আবৃতি করবো না সেটা কি হয়? ভালোলাগা আর ভালোবাসার একটা অনুভূতিতো থাকতেই হবে, টিনটিন বাবুর জন্মদিন বলে কথা। সত্যি অন্য রকম একটা উত্তেজনা কাজ করতে ছিলো হৃদয়ের মাঝে। হ্যা, এটা শুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রে না বরং আমার বাংলা ব্লগের প্রতিটি ইউজারের ক্ষেত্রেই সেটা হয়েছে, সেটা বিশেষ হ্যাংআউটেই লক্ষ্য করেছি। সবাই যার যার অবস্থান হতে ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন, এটা ভালো দিক ছিলো।
আসলে মানুষ যা কিছুই করুক না কেন তার পিছনে যদি ভালোবাসা না থাকে, তার সাথে যদি আবেগ জড়িয়ে না থাকে তাহলে সেখানে যেমন আনন্দ থাকে না ঠিক তেমনি সেখানে সুখের অনুভূতিও ক্রিয়াশীল হয় না, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগের ইউজারদের মাঝে আমি এই বিষয়টির উপস্থিতি বেশ ভালো ভাবেই লক্ষ্য করেছি, তারা বিশেষ মুহুর্তগুলোকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করে রাখার আপ্রাণ চেস্টা করে এবং নিজের সেরা অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করে। আমরা সবাই সত্যি দারুণ ভাবে গতকালের বিশেষ হ্যাংআউটের মুহুর্তগুলো উপভোগ করেছি। বিশেষ করে শুভ ভাই এবং সেলিনা সাথি আপুর অনবদ্য উপস্থাপনা আয়োজনটিকে আরো বেশী গতিশীল করেছিলো।
আজকের এই চমৎকার অনুভূতির সাথে টিনটিনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য ছোট একটা কবিতা শেয়ার করবো, যদিও আমি খুব বেশী ভালো কবিতা লিখতে পারি না, তবে যতটা সম্ভব সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করি। আপনারা প্রশংসা করেন এবং অনুপ্রেরণা দেন তাই নিয়মিত লেখার চেষ্টা করি। চলুন তাহলে টিনটিন বাবুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কবিতাটি পড়ি-
তুমি চঞ্চল, তুমি নির্মল
তুমি দুষ্টুমিতে সেরা সাহসী
তুমি ভদ্র, তুমি সরল
তুমি সকলের নয়নের মনি।
তুমি প্রিয়, তুমি স্নেহের
তুমি ভালোবাসার স্বপ্নিল বিপ্লব
তুমি রুষ্ট, তুমি ক্রোধী
তুমি আর্দ্রতার ছোয়ায় রঙিন।
তুমি তাজ, তুমি অমূল্য
সকলের কাছে আদরের পাত্র
তুমি হিরো, তুমি প্রেমী
সকলের হৃদয়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তোমার হাসি, হৃদয়ের বীন
তোমার অস্থিরতা, বাড়ায় ভাবনা
তোমার কোমলতা, জাগ্রত ভালোবাসা
তোমার স্পর্শতা, বিস্মিত শীতলতা।
তোমার জন্মদিনে, সকলের বাড়ে ব্যস্ততা
তোমার আগমনে, সকলের মনে পূর্ণতা
তোমার চিৎকারে, সকলের মাঝে উদ্বিগ্নতা
তোমার হাসিতে, সকলের হৃদয়ে মুগ্ধতা।
হৃদয়ের আবেগ মেশানো অনুভূতি
কাব্যের অন্তরালে শুভেচ্ছার বানী
শুভ হোক তোমার জন্মদিনের মুহুর্তটি
আলোকিত থাকুক জীবনের দিনগুলি।
Image taken from HERE, Photography Credit @rme দাদা
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
কালকের এই বিশেষ হ্যাংআউটের প্রত্যেকটি মুহূর্ত সত্যিই অনেক দারুন কেটেছে ভাইয়া। আপনার কবিতা আবৃত্তি অসাধারণ হয়েছিল। আসলে আপনি যেমন ভালো কবিতা লিখেন তেমনি ভালো কবিতা আবৃত্তি করেন। যদি মনের মাঝে কারো প্রতি ভালোবাসা থাকে তাহলে সবকিছুই সম্ভব হয়। টিনটিনের প্রতি ভালোবাসা থেকে আপনি এত সুন্দর কবিতা লিখেছেন। আপনি আপনার ভালোবাসার জায়গা থেকে নিজের সেরাটি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
প্রথমেই টিনটিন বাবুকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা। ভাইয়া আপনি টিনটিন সোনামনির জন্মদিন উপলক্ষে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। টিনটিন বাবুর জন্য দোয়া রইল 🤲
আসলেই কাল আমরা সবাই অনেক উত্তেজিত আর খুশি ছিলাম।বাড়ির একমাত্র ছোট বাচ্চার জন্মদিন যেমন হয় ঠিক তেমন মনে হচ্ছিল।আপনাদের ধন্যবাদ আমাদেরও সেই আনন্দে অংশিদার বানানোর জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গতকালের দিনটি ছিল অনেক ভালো লাগার মতো একটি দিন, আমার বাংলা ব্লগ যে একটা পরিবার তা আবারও কাল খুব ভালো করে অনুভব করলাম, যাকে কোনদিন দেখিনি অথচ সেই টিনটিন সোনার জন্মদিন নিয়ে মনের ভিতরে কি যে এক উত্তেজনা কাজ করছিল তা বলার মতো না। টিনটিন সোনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ হ্যাংআউট শোনার পর থেকে আরও ভালো লাগিছিল, হ্যাংআউট মানেই আনন্দ উৎসবের মতো লাগে আমার কাছে।সবমিলিয়ে কালকের দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। টিনটিন সোনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া, আপনার কবিতা সবসময়ই খুব ভালো হয় আমার খুবই ভালো লাগে শুধু কবিতার ভাষা কম বুঝি বলেই মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখাই না 😔 সুন্দর কবিতা টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া। 🙏
টিনটিন বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে আপনি সুন্দর একটি কবিতা রচনা করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। কবিতাটা পড়তে বেশ ভালো লেগেছে আমার। বাবুকে নিয়ে এত সুন্দর অনুভূতি আপনার মনের মধ্যে যা ভুলবার নাই। বাচ্চাটি যদি একটু বড় ও জ্ঞান সম্পন্ন হত তাহলে অনেক উৎসাহ পেতো এই কবিতার মাধ্যমে।
ভাই আপনার তৈরি করা কবিতাটি কালকে আপনার গলায় শুনে অনেক ভালো লাগছিল । আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কবিতাটি কালকে আবৃত্তি করেছিলেন ভাইয়া। সেটা আবার আজকে আমাদের সাথে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া
কালকে আপনার কবিতা আবৃতি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আজকে আবারো কবিতাটি নিজে পড়লাম। খুবই সুন্দর লিখেছেন ভাই। টিনটিন বড় হয়ে এই কবিতাগুলো যখন পড়বে তখন খুবই খুশি হবে।
প্রথমে টিনটিন বাবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। আসলে ভাইয়া হ্যাংআউটে যখন আপনার কবিতাটি শুনলাম তখনই অনেক বেশি ভাল লেগেছিল। কবিতাটির মধ্যে বিদ্রোহী ভাব ছিলো। সত্যিই টিনটিন বাবুর জন্য এই কবিতাটি আশীর্বাদস্বরূপ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কবিতা টিনটিন বাবুর জন্মদিনের উপহার দেওয়ার জন্য।