মাশরুমরূপী প্রকৃতির ছাতা || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন, আমি ব্যস্ততার সাথে আপোষ করে ভালো থাকার চেষ্টা করছি। তবে গত দুইদিন একটু বেশী পেরেশানিতে ছিলাম মোবাইল সিম নিয়ে, অবশেষে সেই ঝামেলাটা মিটে গেছে কিন্তু হৃদয়ে মাঝে কিছু তিক্ত অনুভূতি তৈরী করেছে, সেটা অবশ্যই আপনাদের সাথে পরবর্তীতে ভাগ করে নিবো। কারন আমি আবার মনে মাঝে কোন কথা জমিয়ে রাখতে পারি না, যতক্ষন পর্যন্ত না সেটা শেয়ার করবে, ততোক্ষন পর্যন্ত সেটা মনের ভিতর ছটফট করতে থাকবে। আর এই কারনেই আমি ভেতরে জমানো সকল ব্যাথা কিংবা অনুভূতি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার চেষ্টা করি। হয়তো মাঝে মাঝে সেগুলো আপনাদের নিকট ভালো লাগে, হয়তো মাঝে মাঝে সেগুলো আপনাদের নিকট অসহ্য লাগে। কেউ যেমন সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেন ঠিক তেমনি কেউ দেখেও এড়িয়ে যান অপছন্দের বিষয়টি জানানোর জন্য।
তবে আমি কিন্তু একদমই আমার মতো এবং চেষ্টা করি সর্বদা নিজের বৈশিষ্ট্যটা ধরে রাখার জন্য। হ্যা, আমার মাঝেও রাগ আছে, আমিও মানুষের সাথে অভিমান করি কিন্তু সেটা খুব বেশী সময়ের জন্য ধরে রাখি না। কারনটা আজ বলছি আপনাদের সাথে, আমি ভাগ্যকে খুব বেশী বিশ্বাস করি তার সাথে সাথে প্রকৃতির উপর অনেক বেশী ভরসা করি। কারন ভাগ্য এখন পর্যন্ত আমাকে ঠকায় নাই, আমি এটা বিশ্বাস করি আমার ভাগ্য কেউ নষ্ট করতে পারবে না, হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য আমার সমস্যাটা বাড়িয়ে দিবেন শুধুমাত্র। বলছিলাম ভাগ্যের সাথে সাথে প্রকৃতির উপরও ভরসা করি, কারন আমি দেখেছি সবাই কখনো তার নিজস্ব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় না। কারণ প্রকৃতি সর্বদা তার নিজস্ব নীতির উপর চলে এবং অটুট থাকে।
প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে ঠিক প্রতিশোধ নিয়ে নেয় আর এই কারনেই আমি নিজের অভিমান কিংবা রাগগুলোকে চাপা দিয়ে রাখি। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি কর্মের সঠিক ফলাফল অবশ্যই আসবে, যে ভালো কিছু করবে প্রকৃতি তার প্রতিদান ভালো কিছুর মাধ্যমেই ফেরত দিবে আর যে খারাপ কিছু করবে প্রকৃতি তার প্রতিদান নির্মমভাবে ফেরত দিবেন। সুতরাং প্রতিশোধের নেশা কিংবা হিংসার আগুন হৃদয়ের মাঝে পুষে রাখার কি দরকার? যার যার কাজের প্রতিদিন সে ঠিক পেয়ে যাবে প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মে। আর এই বিশ্বাসটা আমার মাঝে সেই ছোটবেলা হতেই রয়েছে। যাইহোক গত পর্বে প্রকৃতির ছাতা নামক কিছু মাশরুমরূপী ছত্রাকের দৃশ্য শেয়ার করেছিলাম আজ বাকি কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব।
এগুলোও এক ধরনের মাশরুম মানে মাশরুমরূপী ছত্রাক। তবে এগুলোর বেশী উপস্থিতি দেখা যায় গাছের ডালে কিংবা গোড়ার দিকে, যেখানে খুব বেশী ভেজা কিংবা স্যাঁতসেঁতে থাকে। অথবা কোন গাছ যদি কেটে ফেলা কিংবা ঝড়ের কারনে উপড়ে পড়ে, তাহলে কিছু দিন পর সেগুলোর কোন এক পাশে এই রকম ছোট ছোট মাশরুম দেখতে পাওয়া যায়। আমি এর আগেও এই ধরনের মাশরুমের ফটোগ্রাফি করেছিলাম, সেগুলো আরো একটু বড় সাইজের ছিলো। তবে সেদিন এই দৃশ্যগুলোর খুব বেশী ফটোগ্রাফি করতে পারি নাই কারন সামনে আম্মু ছিলো তার সাথে একটা ত্যাড়াও ছিলো।
এগুলোকে বলা হয় কমন মাশরুম কারন বৃষ্টির সময় আমাদের গ্রামীন অঞ্চলের চারপাশে প্রচুর পরিমানে এগুলো দেখা যায়। আপনি একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন, বাড়ীর পেছনের দিকে অথবা যেখানে খুব বেশী পরিমানে আগাছা থাকে কিংবা খড়ের স্তুব থাকে যেখানে। এগুলো কিন্তু খুব বেশী সময়ের জন্য থাকে না, এগুলোর উপর রোদ পড়লেই দ্রুত এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তবে মাশরুমরূপী ছত্রাকের মাঝে এগুলোকে সবচেয়ে বেশী নোংরা হিসেবে গন্য করা হয়।
তারপর দ্রুত হাঁটার সময় উপরের দৃশ্যগুলো আমার চোখে পড়ে, জানি এগুলো মাশরুম কিংবা ছত্রাক কোনটাই না কিন্তু ভিন্ন রকম কিছু দেখে আগ্রহটা বৃদ্ধি হয়ে যায় এবং দ্রুত ফটোগ্রাফি করে মামাকে জিজ্ঞেস করলাম এগুলোর ব্যাপারে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো মামার বাড়ানের ভিতর হলেও তিনি এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেন নাই। শুধু এতোটুকু বলেছেন যে এগুলো হয়তো কোন গাছের শিকড়, ছত্রাক বা অন্য কোন কারনে এগুলোর রং পাল্টে গিয়েছে। সে যাইহোক, আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম যদি আপনারা এগুলোর ব্যাপারে সঠিক কোন তথ্য শেয়ার করতে পারেন, সেই অপেক্ষায় রইলাম।
তারিখঃ অক্টোবর ১৪, ২০২২ইং।
লোকেশনঃ সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া আপনি আমাদেরকে আপন মনে করেন বলেই আপনার মনের কথাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। আসলে আপনার লেখাগুলো পড়তে ভালোই লাগে। যখন নিজের ভেতরের কথা গুলো অন্যের মাঝে শেয়ার করা হয় তখন ভেতরের কষ্টগুলো কমে যায়। যাইহোক ভাইয়া মাশরুমরূপী ছত্রাকের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। এই ফটোগ্রাফি করার সময় আপনার আম্মু ছিল এবং সাথে ত্যাড়া মানে আমাদের ভাবি ছিল বলেই ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। যাতে করে ভাবীর মুখে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মারতে পারেন আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতার বিষয়ে। সব ক্রেডিট কিন্তু ভাবীর। তবে যাই হোক শেষের দিকে শেয়ার করা ভিন্ন ধরনের ছত্রাকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে এগুলো দীর্ঘদিনের পড়ে থাকা গাছের শুকনো শিকলের উপর ছত্রাক জমেছে। তবে সঠিক ধারণা নেই।
সত্যি আমি জানি চারপাশের মানুষগুলো হয়তো আমাকে আপন ভাবে না, হয়তো কখনো কখনো আমার ভালোও প্রত্যাশা করে না কিন্তু কি জানেন? আমি কখনো সুষ্ঠু মস্কিকে তাদের খারাপ চিন্তা করি না। আসলে যার যার কর্মের প্রায়শ্চিত্ত সে সে করবে, সুতরাং সেটা নিয়ে নিজের মাথা ভারি করার কোন মানেই হয় না। আমি আমার মতো, বাকিরা একদমই তাদের মতো, এটা মেনে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
কথায় আছে না একজন মানুষ কখনো সবার কাছে ভালো হতে পারে না। আমরা যদি আমাদের চারপাশের মানুষগুলোর বাজে কথা নিয়ে মন খারাপ করে থাকি তাহলে কখনোই এগিয়ে যেতে পারবো না। পিছু লোকে কিছু কথা বলবেই। সবকিছুকে পেছনে ফেলে ভালো থাকার মাঝেই অনেক প্রশান্তি আছে এবং এটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
যথার্থ বলেছেন, ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো। ধন্যবাদ
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ভাইয়া সিমের সমস্যা সমাধান হয়েছে, এবার মিষ্টি খাওয়ান😜।যাই হোক আসলেই যার ভাগ্য যা আছে,সেটা কোন কোন ভাবে ফিরে আসবে।যার যার কর্মফল তার তার ভোগ করতে হবেই।আসলে এই ধরনের মাশরুম এক সময় অনেক দেখতাম, এখন কালের বিবর্তনে তেমন আর দেখা যায় না বাড়ির আশেপাশে।তবে শেষের ছবিটা আমার কাছেও নতুন লাগলো,এর আগে দেখিনি মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ
খালি মিষ্টি কেন? ধুর আগে চা হবে, নাস্তা হবে, বিরিয়ানি পোলাও হবে তারপর না হয় মিষ্টির পালা কি বলেন?
যে এক পিছ মিষ্টি খাওয়ায় না,সে আবার এত কিছুর নাম বলে🤪🤪।শরীর ঠিক আছে তো?😆😆
না মাথা ঠিক আছে, খাবেন যখন তখন অল্প খেয়ে কেন নিজের বদনাম করবেন, বেশী খেয়েই সুনাম রক্ষা করুন, হি হি হি।
ঠিক আছে,চলেন বেশি খেয়েই সুনাম রক্ষা করি।😜😜।খালি বলেন কোথায় খাওয়াবেন😂
মানুষ হিসেবে আমাদের সকলেরই রাগ অভিমান ভালোবাসা আছেই। মানুষের মধ্যে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো সবসময় নিহিত থাকে। তবে আপনি এগুলোর পাশাপাশি ভাগ্য এবং পরিবেশ এই দুটোকে বিশ্বাস করেন এটা জেনে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে আমাদের সকলের উচিত ভাগ্যকে বিশ্বাস করা তকদির কে বিশ্বাস করে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হবে। আর প্রকৃতির একটা নিজস্ব রূপ আছে সে কখনো কারো উপর অবিচার করে না। যাইহোক আপনার এর আগে মাশরুমের ফটোগ্রাফি এবং সেই সাথে কিছু কথা জেনেছিলাম যেগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আজ নতুন করে আবার কিছু মাশরুমের ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম যদিও একদম শেষের মাশরুমের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে এরকম মাশরুম এর আগে কখনোই দেখিনি। যেহেতু আপনার মামা সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি সেহেতু এ ব্যাপারে আর কিছু বলার নেই। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম ভাই তবে মাঝে মাঝে সেটা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন কিন্তু বিপদ বেড়ে যায়। ঠিক যেমন প্রকৃতি মাঝে মাঝে আগ্রাসী হয়ে উঠে এবং আমাদের বারোটা বাজিয়ে দেয়। এই রকম দৃশ্য আমিও আগে কখনো দেখি নাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমিও এটা বিশ্বাস করি ভাইয়া, যে কেউ ভালো কিংবা খারাপ কিছু করুক প্রকৃতি এটার প্রতিদান ঠিকই দিবে। আপনার এর আগের মাশরুমের ফটোগ্রাফি গুলোও দেখেছিলাম। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। তবে শেষের ফটোগ্রাফি গুলো এর আগে এরকম কিছু কখনো দেখিনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটাই প্রকৃতির ধর্ম আপু, আমার চারপাশে আমি এই রকম বহু ঘটনা দেখেছি এবং তার কারনেই নিজেকে নিজের মতো করে ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
ভাইয়া আপনি উপরের কথা গুলো একদমই ঠিক বলেছেন। আমি ও ঠিক তাই প্রকৃতি ও ভাগ্য কে বিশ্বাস করি। মাশরুমরূপী প্রকৃতির ছাতা গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নিচের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে গাছের শিকড় অনেক দিন পরে থাকার কারনে হয়তো এরকম হয়েছে।
গুড, কারন মানুষ বেঈমানী করে যে কোন স্বার্থের টানে কিন্তু প্রকৃতি কখনোই সেটা করে না, কারন সে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য মেনে চলে।
জেনে ভালো লাগলো যে আপনার মোবাইলের সিম নিয়ে ঝামেলাটা থেকে মুক্ত হতে পেরেছেন।।
আমিও আপনার মতই বুকের মাঝে কোন কথা জমিয়ে রাখতে পারি না সেটা হোক সুখের বা কষ্টের যদি কারো সাথে শেয়ার না করতে পারি মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো।।
অনেকদিন পরে আপনার সুন্দর ফটোগ্রাফি আবার আজ দেখতে পেলাম মাশরুমের খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছে খুবই খুবই ভালো লেগেছে।।
জ্বী সিম ঠিক হয়েছে কিন্তু সাথে ঐ যে কিছু তিক্ত অনুভূতি তৈরী হয়েছে, এখন সেগুলো না শেয়ার করা পর্যন্ত মনের শান্তি নেই, হি হি হি।
আমরা ও আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার গল্প শুনতে প্রস্তুত খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে আশা করছি তুলে ধরবেন আপনার সেই অভিজ্ঞতাগুলো যেখান থেকে আমরা কিছু নতুন শিক্ষা নিতে পারব।
ভাইয়া আমি এটা বিশ্বাস করি প্রকৃতি অবশ্যই কারো পক্ষ হয়ে চলে না। বাস্তব আর সত্যিটা কেই সব সময় তুলে ধরে। তবে সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। শিক্ষনীয় কিছু কথা বলেছেন ভাইয়া।
আজকে কিন্তু নতুন টাইপের মাশরুম দেখতে পেলাম।
তবে সব মিলিয়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া ।