একটু মিষ্টি অভিজ্ঞতার অনুভূতি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। যদিও এই সময়টায় ভালো থাকাটা বেশ কঠিন। কারন সিজন পরিবর্তন হওয়ার কারনে এখন প্রায় কমবেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। আমাদের অফিসের কয়েকজন কলিগ ইতিমধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। সারাদিন অফিস করেছেন সুস্থ্যভাবে কিন্তু হুট করে রাতে তাদের বেশ জ্বর এবং সর্দি হয়ে যায়, এটা সত্যি অনাকাংখিত এবং অপ্রত্যাশিত। তবে এটা যে শুধু মাত্র কিছু মানুষের হচ্ছে না তা কিন্তু ঠিক না বরং আশেপাশে পরিচিত অনেকের অসুস্থ্যতার খবর শুনছি। যেমন আজ সকালেই জানতে পারলাম আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন আরিফ ভাইও গতকাল রাত হতে অসুস্থ্য, তবে আশা করছি খুব দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। আরে ভাই জোয়ান মানুষতো, এনার্জির সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশী তাই অসুস্থ্যতা খুব বেশী কাবু করতে পারবে না, হি হি হি।
একটা হাসির কথা মনে পড়ে গেলো, আমার নানা খুব রসিক মানুষ ছিলেন বলতে পারেন আমার মতো, না আমার চেয়ে কয়েকগুন বেশী ছিলো। শুরুতে চাকুরী করতেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এ, মোটামোটি ভালো একটা র্যাংক এ ছিলেন। তো যেখানেই যেতেন বেশ রসিকতায় জমিয়ে রাখতেন। আমাদের মাঝে মাঝে নানা ধরনের ঘটনা শুনাতেন এবং খুব মজা করতেন। তো মাঝে মাঝে খাবার নিয়ে খুব বেশী অপারগতা প্রকাশ করলে বলতে এখনতো জোয়ান সময় লোহা খেয়ে যদি হজম করতে না পারো তাহলে কিসের জোয়ান? ব্যস আর কউ যাই লোহা খেতে না পারি খাবারতো খেতে পারবো? আসলেই জোয়ান কালে যদি একটু শক্তি সামর্থ্য দেখাতে না পারি তাহলে আর কবে দেখাবো? কিন্তু বাস্তবতা কি বলে? আমরা হয়ে গেছি উল্টোটা, মানে জোয়ান বয়সে এখন বেশী অসুস্থ্য থাকি। বাড়ীর বয়স্করা যতটা সামর্থ্য দেখাতে পারেন যে কোন কাজে আমরা বর্তমান প্রজন্মের জোয়ানরা তার অর্ধেকটাও দেখাতে পারি না, এটা কিন্তু অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
না না না চিন্তার কারন নেই এই বিষয়ে খুব বেশী কথা বলবো না, কারন তাহলে সেটা আবার আপনাদের গায়ে লেগে যাবে আর না হলে আমার মতো বুড়ো সেজে যাবেন, হা হা হা হা। আসলে আগের দিনের মানুষরা যেমন খেতেন ঠিক তেমন পরিশ্রমও করতেন, তাদের শারীরিক গঠন কিংবা শক্তি সামর্থ্য সবই ছিলো বেশ মজবুত এবং তারা সহজেই যে কোন কঠিন কাজ করতে পারতেন। কিন্তু আমরা? আমাদের কথা একটু চিন্তা করেন, আমরা কি খাচ্ছি, কতটুকু খাচ্ছি এবং সেটা আমাদের শারীরিক সামর্থ্য বৃদ্ধি করার জন্য কতটা কাজে লাগছে? এখানে কিন্তু ব্যবধানটা তৈরী হয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সাথে আমাদের দুর্বলতার মূল পার্থক্যটা এখান হতেই তৈরী হয়ে যাচ্ছে। আমরা দিন দিন দুর্বল ও রোগাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছি, বয়সের সাথে সাথে শারীরিক সক্ষমতা ঠিক ততোটা বাড়ছে না। সেদিন বাসে এক ভদ্র মহিলা আফসুস কলে বলছেন, তার দুই ছেলে খুবই রোগাটে হয়েছে, প্রায় সময়ই অসুস্থ্য থাকে এবং প্রচুর ঔষধ খেতে হয় তাদের। উনি বলতেছিলেন উনাদের সময় বড়জোড় নাপা জাতীয় অথবা ব্যথ্যানাশক ঔষুধ খেতেন এর বাহিরে কোন ঔষধই নাকি তাদের খাওয়া লাগে নাই।
থাক বাদ দেন, আজকে এই বিষয়ে আর বেশী কিছু বলতে চাচ্ছি না, পরে আবার সন্দেহ করা শুরু করে দিবেন ঐ মহিলা কেন আমার সাথে এতো কথা বলেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি, তার চেয়ে নিরাপদ দুরত্বে থাকাটাই ভালো হি হি হি। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে আমার ল্যাপটপ নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা, সেদিন কিন্তু ভালো একটা অভিজ্ঞতাও তৈরী হয়েছিলো যেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয় নাই। আজ কিন্তু সেটা শেয়ার করবো। দ্বিতীয় দিন যেহেতু খুব সকালে গিয়েছিলাম ল্যাপটপ দোকানে তাই দুপুরের খাবার খেতে হয়েছিলো বাহিরে। আর আমি বাহিরের খাবারের ব্যাপারে একটু বেশী সচেতন, এটা বোধহয় আপনারা জানেন। পাশেই নাম করা একটা শপিং মল ছিলো, পাশে মানে একদমই পাশে না। মাল্টিপ্ল্যান হতেও ত্রিশ টাকা রিক্সা ভাড়া। ইষ্টার্ণ প্লাজা, ঢাকা না এ্যালিফেন্ট রোডের নামকরা একটা শপিংমল। তো খাবারের জন্য সেখানে চলে গেলাম এবং তাদের উপরে বেশ সুন্দর একটা ফুড কর্ণার রয়েছে।
কিছুটা সময় সেখানে বসে বিশ্রাম নিলাম এবং তারপর অর্ডার নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম। আসলে বাহিরের খাবারের ব্যাপারে আমার মাঝে খুব বেশী খুঁতখুঁতে অনুভূতি কাজ করে। শেষ মেশ চিন্তা করে ফ্রাইড রাইস এবং মাশরুম সবজি অর্ডার করলাম আর সাথে ছিলো গ্রিনচিলি সস। সত্যি বলতে বেশ দারুণ একটা ডিস ছিলো, সার্ভ করার সাথে সাথে শেষ। আরে না পেটে ক্ষুদা বেশী ছিলো বলে না বরং স্বাদের কারনে মুহুর্তে শেষ করে ফেলেছি হি হি হি। মাঝে মাঝে স্বাদের খাবারগুলোর ব্যাপারে নিজেকেও ছোটখাটো খাদক মনে হয়, না না না আপনারা একদমই সেটা ভাববেন না, এখানে কিন্তু খাবারের পরিমান খুবই কম ছিলো, খাবারের ডিসটার ফটো দেখলেই বুঝতে পারবেন, তাছাড়া আমি একদমই কম খাবার খাই কারন ভুড়ি নিয়ে চিন্তা হয়তো হি হি হি। আজ তাহলে এখানেই রাখি, আশা করছি দৃশ্যগুলো আপনাদের ভালো লাগবে, যদিও খাবারের স্বাদটা আমি একাই নিয়েছি হি হি হি।
তারিখঃ অক্টোবর ২২, ২০২২ইং।
লোকেশনঃ এ্যালিফেন্ট রোড, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
লোহা খেয়ে লোহা হজম করতে না পারলে আমরা কিসের জোয়ান বলে দাবি করি 🙆♂️ । আমার নানাও একই কথা বলতো। কিন্তু ঘটনা তো পুরো উল্টো। জোয়ানরাই এখন দূর্বল বেশি! আগের যুগের মানুষজন অনেক স্ট্রং ছিলেন। কারণ একটাই খাবারের সাথে কায়িক পরিশ্রম! যায়হোক, একা একা সব সাবাড় করে ফেললেন 😁। ভুড়ি বাড়বে এসব খেলে। 😁
এটা সত্যি বর্তমান প্রজন্মের ছেলে পুলেরা কম বেশি সবাই রোগা, শীতের শুরুতে শরীরে একটু ধাক্কা দেই, আমারে ও তাই দিল মনে হই।
ব্যপারটা বেশ সন্দেহ জনক, আপনি বাসে যে ভদ্র মহিলার সাথে কথা শুনেছেন শুধু কি তার ছেলেমেয়ে সম্পর্কে শুনেছেন নাকি আরো কিছু, তাড়াতাড়ি বলে ফেলুন 😜😜আর ভাবি জানে ব্যপারটা।যাই হোক আপনাকে লোহা খাওয়া দাওয়াত দিলাম 😜😜।আসলেই চারপাশে মানুষ অসুখ, আমার ছেলেও কাল রাত থেকে জ্বর।এভাবে খাবারের ছবি দেওয়া ঠিক না,পেটে অসুখ হবে দেখিয়েন,এক নিমিষেই সব সাফ করে ফেলছে,আমাদের একটু দাওয়াত দিতেন।😜
ঠিক ভাই বর্তমান জোয়ান মানে বয়স অর্ধেকটা চলে গেছে ৷ আরিফ ভাইকে দিয়ে তো ভালো টপিক করলেন ৷ তবে কথাটা খারাপ না ৷ যেমন আমি আমার কথা বলি অনেক অলসতা আর শক্তি খাটাতে আরও অলস ৷
আর আগের মানুষ তো যে কোনো কাজ করতে কিছু মনেই করে না ৷ আর ভাই আগের খাওয়া আর বর্তমান খাওয়া ৷ যা হোক এই জোয়ান নিয়ে কথা না বলাই ভালো ৷
তবে এটা বলতে জোয়ান মানুষ সময় হলে সক্ষমতা কাকে বলে দেখিয়ে দেবে ৷
সেটা সময়ে হিহিহিহি ৷
আরিফ ভাইয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।আমার মনে হয় বর্তমান প্রজন্ম অনেকটা দুর্বল এইসব ভেজাল খাবার খেয়ে,যেগুলো আগে ছিল না।আপনার নানা ঠিকই বলতেন।তাছাড়া ভাইয়া ল্যাপটপ সারাই করতে গিয়ে তো দারুণ ভুরিভোজ করেছেন।মজার বিষয় হচ্ছে শেষের ছবিটি,ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সকালবেলায় এত লোভনীয় খাবারের ছবি শেয়ার করা খুবই অন্যায়। এজন্য কিন্তু আপনার নামে মামলা হতে পারে। এছাড়া জরিমানা স্বরূপ আমাদের কিছু টিপস দিতেও পারেন 🤪🤪। যাইহোক ভাইয়া ভালো মন্দের মাঝে আমাদের জীবন কাটছে। ল্যাপটপ ঠিক করতে গিয়ে যেমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তেমনি বেশ ভালো সময়ও কেটেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য সবাই কম বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আপনার কলিগ এবং আরিফ ভাইয়ার সুস্থতা কামনা করছি। আসলে আগেকার সময়কার মানুষের খাবারের চাহিদা যেমন বেশি ছিল তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি ছিল। আর এখন আমরা খাবার খেতেও যেমন বাজ বিচার করি তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে গেছে। একদিন লোহা খেয়ে লোহা হজম করে দেখিয়ে দিয়েন ভাইয়া।🤭🤭
বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য সবাই কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমিও আজ দুদিন যাবৎ অসুস্থ। একটা কথা কি ভাই,আগের মানুষ যা খেতো সব কিছু ছিল বিষমুক্ত এবং ভেজাল মুক্ত। তাদের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি ও গুণগত উপাদান থাকতো । যার ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি ছিল। বর্তমানে আমাদের সময়ে এর বিপরীত। আর বাসের ভিতর যে ভদ্রমহিলা যেসব কথাগুলো বলেছিল এই কথাগুলো কিন্তু একেবারেই ঠিক ভাই।আপনার কলিগ এবং আরিফ ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করছি।
কথায় বলে কাচাঁই না নোয়াইলে বাশঁ পাকলে করে তুসটাস। এজন্যই তো জোয়ান বয়সে সুস্থ থাকা জরুরী। কিন্তু দাদা আপনার চাইনিজ খাবারটা বেশি ছিল না।আপনি আবার কিভাবে অল্প খান-হাহাহা।