জেনারেল রাইটিং: "নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন"
নমস্কার
প্রতিনিয়ত আমরা নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে থাকি।খুঁজে চলি নতুনের সন্ধানে আর এটা করার মাঝে আলাদা একটা পরিতৃপ্তি যেমন পাওয়া যায় তেমনি ভালো লাগে নতুন কিছু দেখতে বা জানতে।তেমনি একটি বিষয় শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে,তো চলুন শুরু করা যাক---
নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন:
একটি দেশে সেনাবাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম।সেনাবাহিনী দেশের জাতিকে রক্ষা করেন এবং দেশকে রক্ষা করেন।একজন সেনা নিজের জীবনের ঝুঁকির কথা না ভেবে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন দেশের রক্ষার জন্য।দেশরক্ষী এইসব সেনাদের প্রতি রইলো আমার অনেক অনেক সম্মান।
আসলে কিছু সেনা আবার টাকার কাছে বিক্রি হয়ে থাকেন এবং অসৎ কর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েন।যাইহোক তবুও সকল সেনাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।একজন সেনা এতটাই ব্যস্ত সময় পার করেন যে নিজের খেয়াল রাখার কথাই ভুলে যান, কখনো আবার নানান জায়গায় ছুটতে হয়।এছাড়া পরিবার-পরিজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হয়, এটা হয়তো অনেক অনেক কষ্টের বিষয় তাদের জন্য।
বন্ধুরা, আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা।তারপর আমার অনার্সের ফাইনাল সেমিস্টারের এক্সাম শুরু।তাই বেশ চাপ যাচ্ছে তারপরও চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে সময় কাটানোর এবং অনুভূতি শেয়ার করার।তো পরশুদিন আমি গিয়েছিলাম টিউশন পড়তে।সেটাও আমার বাড়ি থেকে 17 কিলোমিটার দূরে।যাইহোক টিউশন পড়ে যখন বাড়ি ফেরার জন্য আমি বর্ধমান ট্রেন স্টেশনে এসেছিলাম।তখন প্রায় এক ঘন্টা দেরি আমার ট্রেন আসার তাই একটি জায়গায় গিয়ে বসলাম।আমার ঠিক সামনেই দেখলাম এক সেনা পরিবারকে।
প্রথমত আমি বুঝতে পারিনি, তারপর একজন আর্মি বারবার ঘুরে ফিরে সেখানে আসছিলো তখন বুঝলুম।সেনার পুরো পরিবার নিয়ে কোথাও যাচ্ছেন বেড়াতে নাহলে নিজের ডিউটি পালন করতে হয়তো বা।সেনার স্ত্রী তখন ঘুমাচ্ছিলেন স্টেশনের বসার জায়গাতে।হয়তো অনেকটা পথ তারা পাড়ি দেবেন কিংবা পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
সেনার পরিবারটি মুসলিম বলেই মনে হলো।যাইহোক সেনার সঙ্গে থাকা একজন লোক ব্যাগ সারাই করা লোককে ডেকে নিয়ে আসলেন।তারপর তাদের কাছে বেশ পুরোনো লাগেজ এবং ব্যাগ ছিল।যেগুলোর অনেকগুলো চেইন কাটা ছিল তাই সারানোর জন্যই তাকে ডেকে নিয়ে আসা।সেই দৃশ্যই চুপি চুপি ছবি তুলে শেয়ার করলাম, কারন ট্রেন স্টেশনে ছবি তোলা নিষেধ।তারপর ব্যাগ সারাই করা লোকটি সুন্দর করে চেইনগুলি সারাই করতে লাগলেন।এরই মাঝে আমার ট্রেন চলে আসলো তাই আমি ট্রেনে উঠে পড়লাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
এই পোষ্টে অনেকেই বুঝতে পারছেন না, আমি ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছি!আমি মূলত এটা বোঝাতে চেয়েছি যে,,দায়িত্ব মানুষকে এতটাই ব্যস্ত করে তোলে যে,নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ যেমন-ব্যাগ সারানোর সময় কিংবা কথা-ই ভুলে যায় তারা।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP,
0.00 TRX
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
একটি দেশের জন্য সেনাবাহিনী অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তারা দেশের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়। ভালো-মন্দ মিলেই মানুষ। তবে পরিবারের জন্য তারা সময় দিতে পারেনা এটা ঠিক বলেছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্যও ধন্যবাদ আপু।
টিউশন পড়তে কেউ ১৭ কিলোমিটার দূরে যায়, এটা আমি আজকেই প্রথমবার শুনলাম। আমাকে যদি এত দূর গিয়ে টিউশন পড়তে হতো, তাহলে আমি কোনদিন পড়াশোনাই করতাম না। হা হা হা...🤭🤭 যাইহোক, আমাদের দেশ রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর গুরুত্ব অনেক বেশি এটা আমি জানি। তবে তোমার ঠিক কি ধরনের অভিজ্ঞতা হল, এটা আমি বুঝতে পারলাম না পোস্ট পড়ে বোন।
দাদা,আমি যে স্যারের কাছে পড়ি তিনি আমাদের কলেজেরই স্যার।যদিও কয়েক মাস আগে তিনি রিটায়ার্ড হয়ে গেছেন,আর 17 কিলোমিটার দূর মনে হলেও ট্রেনের পথ বলে তো দূর মনে হয় না।স্যারের বাড়ি প্রপার বর্ধমানেই।যাইহোক দাদা,আমি বুঝলুম তারা এতটাই ব্যস্ত থাকে যে নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যাগ সারানোর সময় কিংবা কথা-ই ভুলে যায়।☺️☺️
তাহলে ঠিক আছে বোন।
এই ব্যাপারটা তুমি সেদিন বুঝতে পেরেছিলে যা এখন আমি বুঝলাম বোন।
☺️😊
নষ্ট চেন সারবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার দিদি।আমি ভালো মতো বুঝতে পেলাম না যে চেইন সারাই কি ফ্রিতে করে নিলেন ক্ষনতা দেখিয়ে না কি টাকা দিয়ে করে নিলেন। ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দিদি ,সেটা তো আমি বলতে পারবো না।তবে তারা এতটাই ব্যস্ত থাকে যে নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যাগ সারানোর সময় কিংবা কথা-ই ভুলে যায় এটা বুঝলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।