"চলছে রেশন দেওয়ার কাজ"
নমস্কার
চলছে রেশন দেওয়ার কাজ:
অনেকের কাছেই রেশন শব্দটি নতুন বা অজানা থাকতে পারে।তাদের জন্য বলছি--রেশন হচ্ছে দুষ্প্রাপ্য সম্পদ।যা একটি নির্দিষ্ট দিনে বা একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিতরণ করা সম্পদের অনুমোদিত অংশ।
রেশন তোলা হয় রেশন কার্ডের মাধ্যমে।এতে ধনী-গরিব সকল শ্রেণীর মানুষ যুক্ত রয়েছে।তবে অনেক মানুষ ইচ্ছেকৃতভাবে এটা তোলেন না,কেউ বা তাদের বাড়ির কাজের মানুষের মাধ্যমে রেশন তোলেন নিজে না গিয়ে।
করোনার সময় অনেক পরিমানে রেশন দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু আমরা যেহেতু জায়গা পরিবর্তন করেছিলাম তাই কার্ড ট্রান্সফার করা হয়নি।সেই কারণে বহুদিন রেশন তোলাও হয় নি।কিন্তু কয়েক দিন আগে আমরা নতুন জায়গায় কার্ড ট্রান্সফার করে নিয়েছি।রেশন কার্ডের ভিন্নতা অনুযায়ী মাসে একদিন রেশন দেওয়া হয়।যেমন-কাউকে শুধু চাউল বা চাউলের সঙ্গে গম,আটা, চিনি এভাবে করে দেওয়া হয়।কার্ডের ভিন্নতা অনুযায়ী রেশনের পরিমাণ বা খাদ্য এর পরিমাণ নির্ধারন করা হয়।আমরা আমাদের কার্ডে শুধুমাত্র চাউল পাই।তো আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম,আমার দাদা ও বাবা বাইরের যাবতীয় কাজ করে থাকেন।কিন্তু দাদা বাড়ি না থাকায় বাবার সঙ্গে আমাকে যেতে হচ্ছে।তো পরশুদিন গিয়ে আমরা ফেরত এসেছিলাম সরকারি ছুটি থাকায়।
সবকিছু একটি নির্দিষ্ট সময় এবং নিয়ম অনুযায়ী হয়ে থাকে।তেমনি রেশন নেওয়ার জন্য আগে থেকেই লাইন দিতে হয়।গতদিন এইজন্য বাবা আগে গিয়ে লাইনে ব্যাগ রেখেছিল।আমি কিছুটা পরে গিয়েছিলাম 8 টা থেকে রেশন দেবে বলে।আমার জীবনে এই প্রথমবার রেশন তুলতে যাওয়া।এখানে মূলত কার্ড দেখার পর আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তুলতে হয়।আমি কিছুটা পর গিয়ে দেখলাম,কিছু সংখ্যক মানুষ এসেছে যারা ভ্যানে করে বস্তায় করে রেশন নিয়ে এসেছেন।তারপর তারা সেই সমস্ত বস্তা পিঠে করে নীচে পেপারের উপর সাজিয়ে রাখছে।এই সমস্ত বস্তার ভিতরে চাউল,আটা এবং চিনি রয়েছে।এরা সবাই রেশন দেওয়ার কাজে নিযুক্ত তাই সকালের ভাত কিংবা জলখাবার খেয়ে নিলেন সরকারি খরচে।তারপর রেশন পরিমাপ করা মেশিন নামিয়ে রাখছেন তারা।
তারপর যিনি রেশন ডিলার তিনিই তখন আসেন নি।বাধ্য হয়ে তাই 40 মিনিট মতো দাঁড়িয়ে রইলাম।তারপর 9 টার পর আসলেন রেশন ডিলার এবং তার ছেলে।দুইজনেই এই কাজে নিযুক্ত।অনেকেই তাদের ব্যাগ এইভাবে একের পর এক সাজিয়ে রেখে বাড়ি চলে গিয়েছেন।যখনই রেশন দেওয়ার জন্য অন্যদিকে লাইন দিতে বললেন কিভাবে জানি মানুষের ভিড় লেগে গেল।মানুষ লাইনের মধ্যে অন্যজনকে ঢুকিয়ে নিলেন আর যারা পরে আসলেন তারা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লো।অথচ আমরা আগে গিয়ে পিছনে তখন বাবা একজনকে বললে আমাদের জায়গা দিলেন কিছুটা মাঝে দাঁড়াতে।
যেহেতু এটা আমার নতুন অভিজ্ঞতা।তাই বেশ সময় লেগে গেল,কারন আমার বাম হাতের আঙুলের ছাপ দুইবার দিতে হলো।প্রথমবার হওয়ার জন্য ভালোভাবে দেখে রেশন ডিলারের ছেলে সেটা আপডেট করে নিতে একটু দেরি হয়ে গেল। তারপর আমাদের রেশন কার্ড রেশন ডিলারের কাছে নিয়ে গেলে উনি সিগনেচার করে দিলেন।এরপর অবশেষে আমাদের রেশন পরিমাপ করে দিলে আমরা সেটা নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
আমাদের দেশেও বিভিন্ন সময় রেশন প্রদান করা হয়। তবে, বিশেষ করে দুই ঈদ এবং বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি মূলক সময়ে। তবে আপনাদের দেশের তুলনায় আমাদের দেশের রেশন প্রদানের কিছু পার্থক্য রয়েছে। আমাদের দেশে শুধু মাত্র গরীব মানুষদের কে রেশন কার্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু আপনাদের দেশে ধনী গরীব সকলেই এই রেশন পাওয়ার যোগ্য। এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
একদম ঠিক বলেছেন, দেশ হিসেবে এটার পার্থক্য রয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
রেশন শব্দটার সাথে আমি কিছুটা পরিচিত। তবে আমাদের এখানকার নিয়ম আর আপনাদের এখানকার নিয়মের মধ্যে হয়তোবা পার্থক্য থাকতে পারে। আমাদের এখানে মূলত আমার আব্বু সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন, তার জন্য সেই হিসেবে রেশন পেতো। যদিও এখন সেটা নেই, কারণ আব্বু রিটায়ার্ড হয়ে গেছে। তবে আপনি এই প্রথমবার আপনার বাবার সাথে রেশন আনতে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। অনেকে তো এই বিষয়টাকে আবার তুচ্ছ করে দেখে। কিন্তু এটা আসলে আমাদের গর্বের বিষয়। বাবাকে কোন কিছুতে হেল্প করলে সেটা কখনোই ছোট হয় না। তবে প্রথম দিন গিয়ে দেখছি ফিরে আসলেন। অনেকটা ঝামেলা পোহাতে হলেও শেষ পর্যন্ত রেশন নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন শুনে ভালো লাগলো।
সত্যিই আপু,বাবার কোনো কাজে সাহায্য করতে পারলে মন থেকে ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
রেশন কি সেটা আমি কিছুটা ধারণা করতে পারছি। তবে আমাদের এদিকে এরকম কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে যারা সরকারি চাকরিজীবী তাদেরকে মনে হয় রেশন দেওয়া হয়। আপনি আপনার বাবার সাথে প্রথমবারের মতো রেশন আনতে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। যদিও দেখছি একদিন গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। তবে এর নিয়ম কানুন দেখছি অনেক বেশি কঠিন। লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত আনতে হয়। আপনার আজকে এরকম একটা নতুন পোস্ট দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু,বেশ নিয়ম-কানুন।তবে এটা সব দেশে কম-বেশি দেওয়া হয়।আমাদের দেশে ধনী-গরিব সকলকে দেওয়া হয়।আপনাদের দেশে শুধুমাত্র গরিবদের দেওয়া হয় বলেই জানতাম।
প্রথমবার রেশন তুলতে যাওয়া হিসেবে কিন্তু তোমার যথেষ্ট ভোগান্তি হয়েছে বোন। আমি অবশ্য কখনো রেশন তুলতে যাইনি। তবে তোমাদের ওই দিকে রেশনে চাল দিলেও আমাদের এদিকে কিন্তু গমও দেয়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত কেরোসিন তেলও দিত। যাইহোক, অনেক কষ্ট হলেও শেষ পর্যন্ত রেশন তুলে বাড়ি আসতে পেরেছো, এটাই অনেক।
দাদা,আমাদের কার্ডে আগে গম দিতো কিন্তু এদিকে আনার পর আর দেয় না।আর কেরোসিন তেল মাঝে মাঝেই তোলা হয়।