ফুড ফটোগ্রাফি
নমস্কার
ফুড ফটোগ্রাফি:
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ফুড ফটোগ্রাফি নিয়ে।যদিও একটি মাত্র রেসিপি ছাড়া বাকি সমস্ত রেসিপি আমি এখনো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করিনি।তো পরবর্তীতে কখনো ধাপে ধাপে ছবি তুলে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে রেসিপি প্রস্তুত করে উপস্থাপন করবো।আশা করি রেসিপিগুলি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো চলুন শুরু করা যাক---
আলোকচিত্র: 1
পাতি কাঁকড়ার ঝুরঝুরে ঘিলু ভাজি
পাতি কাঁকড়ার ঘিলুর তৈরি রেসিপি আমার খুবই প্রিয়।আসলে কলকাতা থেকে বর্ধমানে আসার পর এই প্রথম পাতি কাঁকড়া খেলুম।যদিও আগে প্রায় সময় খাওয়া হতো।কিন্তু বর্ধমানে পাতি কাঁকড়া পাওয়া না যাওয়াতে 5 বছর খাওয়া হয়নি।যাইহোক পাতি কাঁকড়ার এই টুকটুকে লাল ঝুরঝুরে ঘিলু ভাজি দিয়ে একথালা ভাত নিমিষেই খাওয়া যায়।এতটাই দুর্দান্ত স্বাদ যে,একবার খেলে বারবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ জাগে।
আলোকচিত্র: 2
ওলের ডাটা দিয়ে ডিমলে পুটি মাছের ঝোল
পুঁটি মাছ আমার খুবই প্রিয়।কারন এটি বেশ উপকারী।আর আমাদের প্রিয় বড় দাদারও পুটি মাছ খুবই প্রিয়।আমাদের ক্ষেতের ওলের ডাটা ও পুকুরের জ্যান্ত পুটি মাছ দিয়ে এই ঝোল রেসিপিটি করা হয়েছিলো।গরমের দিনে এমন ঝোল রেসিপি খেতে অনেক ভালো লাগে।আর এই সময়ে প্রত্যেকটি পুঁটি মাছের পেটেই ডিম থাকে বলে খেতে বেশ মজার লাগে।
আলোকচিত্র: 3
পাতি কাঁকড়ার পিঠা
ছোটবেলা থেকেই পাতি কাঁকড়ার প্রত্যেকটি রেসিপি আমার অত্যন্ত প্রিয়।যদিও আমার হালকা এলার্জির সমস্যা রয়েছে তবুও আমি কাঁকড়া খাওয়া ছাড়ি না।পূর্বে গ্রামের বাড়িতে বস্তায় বস্তায় কাঁকড়া ধরে এনে মাটির ইয়া বড় চারিতে রাখা হতো দেখতাম।আর বর্তমানে সেই কাঁকড়া চড়া দামে কিনে খেতে হচ্ছে।যাইহোক এই কাঁকড়ার পিঠাগুলি কোনোরকম বেসন ছাড়াই তৈরি করা।বিভিন্ন মসলা সমন্বয়ে কাঁকড়ার শাস ও ঘিলু দিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে।আর বেসন ছাড়া তৈরি করাতে পিঠার প্রকৃত স্বাদটি পাওয়া যায়, যেটা মুখে লেগে থাকার মতোই।
আলোকচিত্র: 4
আলু ও ডাটা দিয়ে রুই মাছের ঝোল
রুই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাছ।যেটা আমাদের বাড়ির ডাটা দিয়ে রান্না করা হয়েছিল আলুর সমন্বয়ে।আর গরমের সময় ডাটা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি উপকার পাওয়া যায়।এই রেসিপিটি খেতে অনেক স্বাদের হয়েছিল।আর এটি আমি টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরে প্রকৃতির মাঝে বসে বসে খেয়েছিলাম।দুপুরে নিজ বাড়ির গাছের ছায়ায় বসে খাওয়ার মজাটাই আলাদা।
আলোকচিত্র: 5
চিংড়ি ভূতি বাটা দিয়ে আম ভাজি
কয়েকদিন আগে এই রেসিপিটি আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম।আসলে চিংড়ি মাছের ভূতিগুলি ভাজি করার পর কেমন খচখচে খেতে লাগে।তাই কাঁচা অবস্থায় মিহি করে বেঁটে কাঁচা আমের সঙ্গে ভাজি করেছি।গরমের দিনে হালকা টক জাতীয় এই রেসিপিটি খেলেই যেন মনে হয় খাবারে পরিপূর্ণতা পেয়েছে।এছাড়া মুখের রুচিও ফিরে আসে।
আলোকচিত্র: 6
ভর্তা ও ভাজিতে থালি সাজানো
এখানে ভাতের থালিটি সাজানো হয়েছে দুই প্রকার ভর্তা ও এক প্রকার ভাজি রেসিপি দিয়ে।আলু ভর্তা, পটল ভর্তা ও ভেন্ডি ভাজি দিয়ে।যেগুলো খেতে দারুণ টেস্টি ছিল।এটিও আমি প্রকৃতির মাঝে বসে খেয়েই উপভোগ করেছিলাম।
আলোকচিত্র: 7
পাকা বিচিকলার ছড়া
সবশেষে শেয়ার করেছি পাকা বিচিকলার ছড়া।এগুলো আমাদের বাড়ির গাছের।অনেকেই আবার একে ডয়রা কলা নামে চিনে থাকেন।এই কলার ভিতরে প্রচুর পরিমাণে বিচি থাকে বলে এর নাম বিচিকলা।এটি কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায় আর খুবই উপকারীও বটে।তবে মিষ্টি এই পাকা বিচিকলা বিচিসহ খেলে কৃমির উপকার পাওয়া যায়।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
জিভে জল আনা ছবি সব। বাড়ির ঘরেলা খাবার দেখলে খুব লোভ হয়৷ দারুণ সব রান্না। কতদিন খাই না৷ কাঁকড়ার পিঠে টা অভিনব৷
হ্যাঁ দিদি,এগুলো সবই আমাদের বাড়ি তৈরি রেসিপি।তাই অনেক স্বাদের আর এই কাঁকড়ার রেসিপিগুলি আপনার কাছে নতুন মনে হলেও আমাদের কাছে কিন্তু বেশ পুরোনো।যাইহোক ধন্যবাদ এবং স্বাগতম আপনাকে দিদি।💐
খাবারের ফটোগ্রাফিগুলো দেখলেই লোভ লেগে যায়। আপনার আজকের সবগুলো খাবার নিজের তৈরি জেনে ভালো লাগলো। কাকড়া কখনো খাওয়া হয়নি। কাকড়ার ঘিলু ভুনা দেখতে লোভনীয় লাগছে। তাছাড়া চিংড়ির ভুতি কি বুঝতে পারলাম না। কিন্তু বরা যেহেতু খেতেতো নিশ্চয়ই মজাদার হয়েছিলই। ভালো লাগলো আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
হ্যাঁ আপু,এগুলো সবই আমার নিজের তৈরি তবে সময়ের অভাবে সম্পূর্ণ রেসিপিগুলি তুলতে পারিনি তাই একটি করে ছবি সংগ্রহ করে রেখেছিলাম।আর এটি কিন্তু ঠিক কাঁকড়ার ঘিলুর ভুনা নয়,ঝুরঝুরে ভাজি।আর চিংড়ির ভূতি হলো বড় চিংড়ি মাছের মাথার দিকের চোখের অংশ আপু।আপু লিংক দিলাম নীচে,,ধন্যবাদ আপনাকে।
https://steemit.com/hive-129948/@green015/daffa56d2e8ef
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে আপনার করা ফুড ফটোগ্রাফি গুলো। অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে প্রতিটি ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আমাদের মাঝে মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটি খাবারের ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল দেখেই লোভ লেগে গেল।খাবার গুলো দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ভালো লাগলো আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আসলেই অনেক সুস্বাদু ছিল আপু,ধন্যবাদ আপনাকে ও।
আপু আপনি আজকে বেশ কয়েকটি মুখরোচক খাবারের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আমার কাছে চিংড়ি ভূতি বাটা দিয়ে আম ভাজি রেসিপির ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে।এই রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে একটি ইউনিক রেসিপি।
হ্যাঁ ভাইয়া, রেসিপিটি নিজ প্রচেষ্টায় ইউনিকভাবে তুলে ধরে শেয়ার করেছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় কোনো সাপোর্ট পায়নি।যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আজকে এত মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো দিদি। পাতি কাঁকড়ার দুইটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। যদিও এগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে, তবে দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল। এরকম মজাদার এবং লোভনীয় রেসিপিগুলো দেখলে সত্যি অনেক লোভ লেগে যায়। পাতি কাঁকড়ার পিঠা দেখে আমার তো অনেক বেশি খেতে ইচ্ছে করতেছে দিদি। যাই হোক ধন্যবাদ খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু,কাঁকড়ার রেসিপি মানেই দুর্দান্ত স্বাদের।সুযোগ হলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আজকে তো আপনি খুব মজার মজার কিছু ফুড ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। তবে কাঁকড়ার ঘিলুর ফটোগ্রাফিটি দেখে আমার বেশি ভালো লাগলো।এই ধরনের ফটোগ্রাফি দেখলে নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে। চমৎকার মজার ফুড ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিভিন্ন ধরনের ফুট ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বেশ কয়েকটা নতুন খাবারের সাথে পরিচিত হলাম। খুবই লোভনীয় লাগছে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি। বিশেষ করে কাঁকড়ার ঝুরঝুরে ঘিলু ভাজির ফটোগ্রাফি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দিদি এত লোভনীয় সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনি নতুন খাবারের সঙ্গে পরিচিত হতে পারলেন এতেই আমার ফটোগ্রাফি করা সার্থক, ধন্যবাদ আপু।