"মজাদার ফুচকার আলু মাখা রেসিপি"
নমস্কার
মজাদার ফুচকার আলু মাখা রেসিপি:
বন্ধুরা, ফুচকা খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ বোধহয় খুবই কম রয়েছে।আর এই মজার ফুচকার কথা চলে আসলেই কিন্তু আলুমাখা ও লোভনীয় টক জলের কথা চলেই আসে।যদি আলু ঠিকভাবে মাখা করা না যায় তাহলে কিন্তু ফুচকা খেতে স্বাদের হয় না।আর তেঁতুল জলের কথা উঠলেই তো জিভে জল চলে আসে।আর এইসব কিছু সম্ভব হয় সিক্রেট মসলার জন্য, আর সেই সিক্রেট মসলা দিয়েই আজ আমি তৈরি করেছি পারফেক্ট আলুমাখা রেসিপি।তবে এই আলু মাখাতে কিন্তু তেল ব্যবহার করা হয় না।আমি যেহেতু ধনিয়া পাতার গন্ধ নিতে পারি না তাই এটি এড়িয়ে গিয়েছি, কিন্তু আপনারা চাইলে এটি অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন।আমার মাসীদের বাড়িতে ফুচকা তৈরি করা হয় তাই উপকরণ আমার জানা রয়েছে।তাছাড়া মাসী আমার জন্য এই ফুচকাগুলি দাদার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।এই জন্যই বাড়িতে নিজ হাতে আলু মাখার তোড়জোড় করলাম।আর এটি খেতে কিন্তু দারুণ স্বাদের হয়েছিল।তো চলুন শুরু করা যাক রেসিপিটি---
উপকরণসমূহ:
2.আলু -2 টি
3.তেঁতুল-3 টেবিল চামচ
4.ছোলা ও বাদাম - 4 টেবিল চামচ
5.কাঁচা মরিচ - 4 টি
6.লবণ- 1.5 টেবিল চামচ
7.লেবু-1টি
8.শুকনো মরিচ- 4 টি
9.জিরে গুঁড়া- 2 টেবিল চামচ
10.ধনিয়া-1টেবিল চামচ
11.এলাচ- 2 টি
12.লেবু পাতা-5 টি
13.জল
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে একটি কড়াইতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে আলু,কাঁচা মরিচ ও ছোলা-বাদাম সেদ্ধ করে নেব।
ধাপঃ 2
এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিলাম আলু ও অন্যান্য উপকরণগুলি।
ধাপঃ 3
এখন একটি পাত্রে সেদ্ধ উপকরণগুলো তুলে নিলাম।
ধাপঃ 4
এরপর একটি শুকনো কড়াইতে শুকনো মরিচ,জিরে,ধনিয়া ও এলাচ ভেজে নেব হালকা করে নেড়েচেড়ে।
ধাপঃ 5
এরপর ভাজা মসলা তুলে নিলাম একটি পাত্রে।
ধাপঃ 6
এখন শীল-পাটার সাহায্যে মসলাগুলি গুঁড়া করে নিলাম মিহি করে।
ধাপঃ 7
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার সিক্রেট মসলা,এখন একটি পাত্রে তুলে নিলাম।
ধাপঃ 8
এবারে তেঁতুল ও লেবুপাতা কুচি করে নিয়ে নিলাম একটি পাত্রে।আর তার মধ্যে পরিমাণ মতো জল ও লেবুর রস যুক্ত করলাম।
ধাপঃ 9
এখন তেঁতুলের কথ ভালোভাবে বের করে নিয়ে কিছুটা গুঁড়া মসলা যুক্ত করে নিলাম।
ধাপঃ 10
এরপর আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ম্যাশ করে নিলাম।
ধাপঃ 11
এরপর লেবু পাতা ও গুঁড়া মসলাসহ সকল উপকরণ আলু মাখাতে যুক্ত করলাম।
ধাপঃ 12
এখন হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম আলুগুলো।
ধাপঃ 13
সবশেষে আলু মাখা টেস্টি করতে সামান্য তেঁতুলের জল দিয়ে মেখে নিলাম পুনরায়।
ধাপঃ 14
তো আমার ফুচকার আলুমাখা রেডি করা হয়ে গেছে।এখন খাওয়ার পালা।
ধাপঃ 15
এবারে একটি করে ফুচকা নিয়ে হাতের সাহায্যে ফাটিয়ে নিলাম হালকা চাপ দিয়ে।
ধাপঃ 16
তারপর সেই ফুচকার মধ্যে অল্প পরিমাণ আলু মাখা দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 17
এখন তেঁতুল জলে ফুচকাটি ডুবিয়ে নিয়ে মুখে পুরে দিতে হবে,হি হি।☺️☺️
ধাপঃ 18
এবারে লেবুপাতা দিয়ে ফুচকাগুলি ডেকোরেশন করে নিলাম।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে এক প্লেট ফুচকা সাজিয়ে নিলাম।
পরিবেশন:
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "মজাদার ফুচকার আলু মাখা রেসিপি"। এটি খেতে দারুণ স্বাদের হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
ফুচকা খাবার টি একটি মেয়ের কাছে প্রিয় হলেও আমি ছেলে হয়েও এই খাবার টি খেতে অনেক পছন্দ করি। আজকে দেখছি আপনি মজাদার ফুচকার আলু মাখা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি ফুচকার রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।আপনি খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেসিপি টি তৈরি করেছেন।তবে, আলু মিশ্রণ দেয়ার কারণে একটু বেশি সুন্দর হয়েছে।
ভাইয়া, আপনার ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি জেনে বেশ লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
লোভনীয় খাবারের রেসিপি শেয়ার করেছেন। ফুচকা খেতে ভীষণ মজা লাগে। আজকে বেশ সুন্দর করে ফুচকার আলু মাখা রেসিপি পরিবেশন করেছেন। ভালো লাগলো আপনার রেসিপি দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ আপনাকেও ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
সিক্রেট মসলার সাথে মিশিয়ে দারুণভাবে এই ফুচকা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে দিদি। সাধারণত ফুচকা বাহিরে গিয়ে খাওয়া হয়। বাসায় তৈরি করলেও খেতে ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে দিদি। অনেক ভালো লেগেছে আমার।
আসলেই বাড়িতে তৈরি করা খাবার খেতে ভালো লাগে, ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
ফুচকা মাখা খেতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু আপনি মাসীর কাছ থেকে শিখে নিলেন ফুচকা মাখা কিভাবে করতে হয়। ফুচকা দেখলে তো আপু লোভ সামলাতে পারি না খেতে ইচ্ছে করে। আপনি বেশ মজার করে ফুচকা মাখা করলেন যেহেতু ধনেপাতা দেন নাই। ধনে পাতা পরিবর্তে আপনি লেবু পাতা ব্যবহার করেছেন দেখতেছি। এভাবে খেতে খুবই ভালো লাগবে।
হ্যাঁ আপু,খুবই ভালো লেগেছিল খেতে।তবে ধনেপাতা প্রেমিকদের লেবু পাতার পরিবর্তন করা উচিত, ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ দারুন ও লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার চমৎকার এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। এ জাতীয় রেসিপিগুলো আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল। মাঝেমধ্যে নিজের হাতে এমন কিছু তৈরি করে খেতে ভালো লাগে।
নিজ হাতে তৈরি করা জিনিষ খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আহারে আজকে আপনার এই পোস্টটি পড়তে পড়তে আমি কয়েকবার জিভের জলটা খেয়ে নিলাম। আসলে ফুচকা বাঙালির সবথেকে একটি প্রিয় খাবার এবং একটি আবেগের জিনিস। কেননা এমন কোন বাঙালি নেই যারা এই ফুচকা খেতে পছন্দ করে না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আসলে এই রেসিপিটা দেখে পরবর্তীতে আমি বাড়িতে করার চেষ্টা করব।
অবশ্যই চেষ্টা করবেন দাদা,আসলেই সকলের লোভনীয় ও প্রিয় খাবার এটি।ধন্যবাদ আপনার দারুণ মন্তব্যের জন্য।
আমি এমনিতেই ফুচকা খেতে খুবই পছন্দ করি। বাইরে কোথাও গেলে আগে ফুচকার খোঁজ করি। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার আজকের এই ফুচকা বিষয় করেছি সিপি তৈরি করা। আশা করি খুবই লোভনীয় আর সুস্বাদু ছিল।
আপনি ফুচকাপ্রেমী জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন আপু ফুচকার কথা শুনলে তো জিভে পানি চলে আসে আর টকের কথা কিবা বলবো। আর এই ফুচকার ভেতরে উপকরণ যদি ঠিকমতো না থাকে তাহলে খেতে ভালো লাগে না। আপনি আজকে একটি সিক্রেট রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে তো আমার লোভ লাগছে । আর ফুচকার সাথে একসাথে অনেক ধরনের টক দিলে সেটা খেতে কিন্তু খুব ভালো লাগে । আপনার রেসিপিটি কিন্তু ভালো লাগলো আপু ।
হ্যাঁ আপু,টকের পরিমাণ বেশি থাকলে ফুচকার স্বাদ হয় খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে।
রেসিপিটা মোটামুটি ফুচকার মতই হয়ে গেছিলো। শুধু ডিম দিলেই ফুচকা হয়ে যেতো। এই রেসিপি গুলো বাহির থেকে না খেয়ে ঘরে বানিয়ে খাওয়াই ভালো। কারন বাহিরের এসব খোলা খাবার স্বাস্থকর নয়। ধন্যবাদ।
আপু, এটা তো ফুচকা-ই।ফুচকাতে ডিম দেওয়ার গল্প আমাদের দেশে নেই,ওটা মনে হয় আপনাদের দেশে দেয়।তবে চটপটিতে কেউ কেউ ডিম দেয়,অনেকে আবার বলেন ফুচকাতে ডিম দিলে বিশ্রী খেতে হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।