গল্প:) ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশা। (ষষ্ঠ পর্ব)
প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব |
---|---|
চতুর্থ পর্ব |
সাল: ৬৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।
শিবলিং শহর, তেজদীপ্ত দুপুর
হেথাং আর কার্লো জিংহনের রাজ দরবারের দিকে ছুটে চলেছে, উদ্দেশ্য একটাই লক্ষ স্বর্নমুদ্রার রত্ন পাথর বিক্রি করা। আসলে জিংহনের একটা শখ রয়েছে সে মূল্যবান রত্ন পাথর সংগ্রহ করতে ভীষণ পছন্দ করে। এমনকি বেশ বড় একটি গুপ্ত রত্নশালা রয়েছে তার। সবথেকে মজার ব্যাপার হলো তার পরনের পোশাক পুরোটাই রত্ন পাথরে খচিত। ঝলমলে পোশাক আর রত্ন খচিত সিংহাসন তার মর্যাদা বাড়িয়েছে। পুরো রাজদরবারে বিভিন্ন ঝলমলে আলোকবাতি রয়েছে যা রাজ দরবারের চাকচিক্য এবং আভিজাত্য বাড়িয়েছে।
হেথাং রাজ দরবারের ভেতরে ঢুকে সবকিছু দেখে একদমই টাস্কি খেয়ে যায়, এ কোথায় এলাম আমি। চারিদিকে এতো রত্নপাথর আর আভিজাত্য সত্যিই চোখ জুড়ানো দৃশ্য। কিন্তু চতুর হেথাং কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে সরাসরি জিংহনের সিংহাসনের দিকে এগিয়ে যায়। বিশাল সিংহাসনের সামনে গিয়ে কার্লো মাথা নিচু করে জিংহনকে সম্মান জানায় কিন্তু হেথাং ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। জিংহন সহ রাজ দরবারের সবাই হেথাংয়ের কান্ড দেখে একদমই অবাক হয়ে যায়। জিংহন অনেকটাই কৌতুহল নিয়ে কার্লোকে জিঙ্গেস করে, কে এই ভিনদেশী যুবক আর কি চায় সে এখানে। কার্লো বলে হুজুর আমার সম্মান গ্রহন করুন। এই যুবকের নাম হেথাং সে একজন রত্ন পাথর ব্যাবসায়ী। তার কাছে মূল্যবান রত্ন পাথর রয়েছে এবং এগুলো আপনার কাছে বিক্রি করতে চায়।
জিংহন অনেকটাই কৌতুহল নিয়ে হেথাংকে জিঙ্গেস করে যুবক কি এমন রত্ন পাথর রয়েছে তোমার কাছে, দেখাও দেখি?
হেথাং কোন কথা না বলে একটি বাক্স খুলে দেয়, সাথে সাথে পুরো রাজ দরবার আলোকিত হয়ে যায়। জিংহনের চোখ কপালে উঠে যায়। তার কাছে এতো দামী দামী রত্ন রয়েছে কিন্তু এগুলো একদমই আলাদা দেখতে আর কি চমৎকার আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাচ্ছে। পুরো রাজ দরবারে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়।
জিংহন বলে উঠে যুবক তুমি অতি চমৎকার এই রত্ন পাথর কোথায় পেয়েছো এবং এগুলোর দাম কত চাও? হেথাং এবার সরাসরি বলে ওঠে এগুলো কোথায় পেয়েছি সেটা মূখ্য বিষয় নয়, আমি এগুলো এক লক্ষ স্বর্নমুদ্রা বিক্রি করতে চাই। তাছাড়াও আপনার একটি প্রাসাদ আমি কিনতে চাই। হেথাংয়ের কথা শুনে সবাই আশ্চর্য হয়ে যায় এবং হা করে দেখতে থাকে কি ঘটতে চলেছে। জিংহন বুঝতে পারে এ কোন সাধারণ যুবক নয়, এরমধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা হয়তো সবকিছু ধ্বংস করে দেবে নয়তো সবদিক মালামাল করে দেবে।
জিংহন অনেকটাই নড়ে চড়ে বসেছে। ঠিক আছে হেথাং আপনাকে এক লক্ষ স্বর্নমুদ্রা দেয়া হবে এবং সাথে একটি প্রাসাদ দেয়া হবে উপহার স্বরুপ। তবে শর্ত হচ্ছে আপনাকে বলতে হবে এই রত্ন পাথরের রহস্য কি সেটা বলতে হবে। হেথাং বুঝতে পেরেছে তাকে বিপদে ফেলতে চাইছে রাজা জিংহন। হেথাং বুদ্ধি করে বলে, রাজা মশাই যদি আপনি সেটা জানতে চান তাহলে আপনাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কারন এই রহস্য যারা উদঘাটন করতে গেছে তারা আর বেঁচে থাকে না।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1791167371559960651?t=A7iqbR8vWdrOjzhgJbDlyQ&s=19
দেখতে দেখতে ষষ্ঠ পর্ব চলে এসেছে। প্রতিটি পর্ব পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যতই পড়ছি ততোই ভালো লাগছে। এই ধরনের গল্প গুলো পড়লে খুবই ভালো লাগে। কারণ টাকা পয়সা এবং অর্থ সম্পদের লোভ জাগে 😁। যাইহোক ধনকুবের হেথাং অতি চালাক। তার জন্য রাজা জিংহনের কাছে এক লক্ষ স্বর্নমুদ্রা বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু রাজা জিংহন রত্ন পাথরের রহস্য জানতে চাইলে তাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ধনকুবের হেথাং অতি বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়েছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আশাকরি ভালো কিছু হতে চলছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এই ধরনের গল্প শেয়ার করার জন্য।
ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশা গল্পটি প্রথম পর্ব থেকে পড়ে আসতেছি। এক কথায় অসাধারণ এবং ভিন্ন ভিন্ন রকম একটি গল্প। জিংহন এত চালাক হলে কি হবে হেথাং দেখছি কোনে অংশে কম না। উপরের কথা গুলো শুনে নিচ্ছই জিংহন ভয় পেয়েছেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।