জেনারেল রাইটিং||অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকা মানুষেরা বাস্তবতা বুঝে না।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
source
অল্পতে সন্তুষ্ট ব্যক্তি হয়তো অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়। আর যারা অতিরিক্ত কিছুতেও খুশি হয়না দেখা যায় তাদের সকল চাহিদা, বিলাসিতা বা আবদার সবই পূরণ হয়।আসলে মানুষের রূপ চেনা বড় দায়। কিছু মানুষ যারা অনেক কষ্ট করে নিজের জীবনের সুখ বিলাসিতা ত্যাগ করে পরিবার বা অন্যজনের মুখে হাসি ফোটায় তারা পরবর্তীতে তুচ্ছ হয়ে দাঁড়ায়। এই যে ছোট থেকে বড় বা একটা পর্যায় থেকে যখন কারো দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয় তখন থেকেই দায়িত্ব নেয়া মানুষকে নিজের খুশিগুলো বিসর্জন দিতে হয়।ঐ যে দায়িত্বে থাকা মানুষদের আবদার পূরণ করতে করতে।
স্বাভাবিকভাবে যারা সবসময়ই অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকে তারা বোঝে না আসলে কষ্ট কি রকম হতে পারে। তারা তাদের নিজেদের প্রয়োজন বা আবদার দাবি করবে আর তা যেভাবেই হোক সেই মানুষটাকে পূরণ করতে হয়।তা না হলে খোঁটা শুনতে হয় বিভিন্ন রকম।অন্যের উপর নির্ভর করা মানুষ সবসময়ই তাদের শোষণ করে অদৃশ্যভাবে।তা বুঝতে হলে অবশ্যই আশেপাশে তাকাতে হবে আর নয়ত ব্যক্তিগত জীবনের সাথেও মিল খুঁজে পাওয়া যাবে।
সত্যি কথা হলো মানুষের চাহিদার শেষ নেই।একটা চাহিদা পূরণ হতেই আরেকটা চাহিদার তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগে।তবে বর্তমান সময়ে সকল চাহিদার জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। আর এ অর্থ ছাড়া কোন রকম চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়।কিন্তু বর্তমান বাজারে উর্ধ্বগতির কারণে অনেকের মৌলিক চাহিদাগুলো ও পূরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের বিলাসিতার প্রয়োজন পড়ে। আসলে সেই মানুষগুলো কোন পরিস্থিতিতেই নিজেকে মানিয়ে নেয়া শিখেনি। শুধুমাত্র শিখেছে কিভাবে নিজের সবকিছু আদায় করে নেয়া যায়। তারা কখন অন্যজনের কথা চিন্তা করে না। শুধুমাত্র চায় যেন সে পরিপূর্ণ থাকুক।
কিন্তু বিন্দুমাত্র বোধ বুদ্ধি নেই যে, পরিস্থিতি বুঝে সব কিছু পরিচালনা করবে। আসলে সবকিছু পরিস্থিতি মোতাবেক যদি পরিচালনা করা যায় তাহলে অতীত থেকে ভবিষ্যৎ সবকিছুই খুব সুন্দর ভাবে সম্পাদন করা যায়। কিন্তু যারা শুধুমাত্র নিজের চাহিদা পূরণ করার জন্যই সব সময় উঠে পড়ে লেগে থাকে তাদের দ্বারা কখনোই ভালো কিছু সম্ভব নয়। শুধুমাত্র তারা অন্যের জন্য বিশাল একটা দায়িত্ব হয়ে পড়বে। আর সেই দায়িত্ব পূরণ করতে দায়িত্ব নেয়া মানুষটাকে কাঠ খড় পোড়াতে হয়। অনেক সময় অনেক কিছুই বিসর্জন দিতে হয়,শুধুমাত্র দায়িত্ব পূরণ করতে।
আসলে আমাদের সমাজে এসব চিত্র অহরহ দেখা যায়। কেউ নিজের সর্বস্ব টা হারাচ্ছে আর কেউ নিজের বিলাসিতার চাহিদা পূরণ করছে।এভাবে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছুই বিলাসিতা।যেটা বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক বড় একটা বিপদ।চারিদিকে সবকিছু নিঃশ্বাসের গতিতে বাড়ছে।কিন্তু কিছু মানুষের বুদ্ধির বিকাশ হচ্ছে না।যত পায় তত চায় এমন মানুষ কখনোই অল্পতে সন্তুষ্ট নয়।আগে থেকেই পরিস্থিতি বিবেচনা করা শিখেনি বিধায় তাদের কোনো চিন্তা নেই। কিন্তু সেই কষ্ট পায় যে সবটা মুখ বুঝে সহ্য করে যায়।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
|---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
|---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
| ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
|---|---|
| ধরণ | জেনারেল রাইটিং |
| ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
| ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
| লোকেশন | ফেনী |
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
সত্যি আপু অন্যের উপর নির্বাশীল থাকা মানুষগুলো কখনো নিজের তা বুঝতে পারে না। বর্তমান সবাই চাই অন্যের মাথায় কাঠাল ভাঙের জন্য। আর যারা দ্বায়িত্ব পূরণ করে আসে তারা নিজের চাহিদা গুলোকে অনেক সময় বিসর্জন দেই। যাইহোক আপু অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শিক্ষা মূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু এখনকার মানুষ অন্যের উপর নির্ভরশীল বেশি করে। একটা সময় পর অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে হতে তারা কখনোই আর কোন কিছু করতে পারে না। একটা সময় অলস হয়ে যায়। অল্পতে সন্তুষ্ট ব্যক্তি হয়তো সবকিছু থেকে বঞ্চিত হয় কিন্তু তাদের মধ্যে প্রশান্ত থাকে। তারা যেটুকুই অর্জন করে সেটার মধ্যেই প্রশান্তি।দুনিয়ার মানুষ যতদিন বাঁঁচবে তাদের চাহিদা বাড়তেই থাকবে । আপু আমি নিজেও নিজের ভালো না বুঝে মানুষকে সাহায্য করে দেখেছি। মানুষ কখনোই সেটা মনে রাখে না উল্টে একদিন দিতে না পারলে বলবে। যে তুই আমাকে কি দিয়েছিস। মানুষ বড়ই স্বার্থপর আপু। যারা নিঃস্বার্থ বোঝে তারা কখনোই অন্যের কথা চিন্তা করে না। নিজের স্বার্থ পূরণ হয়ে গেলেই তাদের শান্তি। ঠিক বলেছেন অন্যের উপর নির্ভরশীল হলে তারা বোঝে না। কষ্ট কি জিনিস। তারা সবসময় সেটা সহজেই পেয়ে যায় বলে তারা বুঝতেই পারে না কষ্টটা। মানুষের চাহিদার শেষ নাই।যার যত আয় তার তত লাগে আপু। এখনকার দুনিয়ায়। প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবকিছুই বিলাসিতা আপু ঠিক। অনেক সুন্দর একটি বিষয় আলোচনা করেছেন
আপু মনের মত একটি পোস্ট করেছেন আপনি আজ। এই যন্ত্রণায় ভুগছি আজকাল আমি। আসলে মানুষের কান্ড জ্ঞান দিনে দিনে লোভ পাচ্ছে। কেউ যেন বুঝতে চায় না। সবাই চায় অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে। বেশ যন্ত্রণার বিষয় এগুলো। না পারি কইতে আর না পারি সইতে। সব মিলিয়ে দারুন ছিল আজকের পোস্টটি।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপনি যতো চায় তত পায়। অন্যের উপর নির্ভরশীলতা মানুষের একটা অভ্যাসে পরিণত হয়।চাইলেই পাওয়া যায় তাহলে চাইতে সমস্যা কোথায়।বর্তমান পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সত্যি অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয় নিজের জিবন থেকে।