বাবুকে নিয়ে হসপিটালে ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।মনটা একদম ভালো নেই।তবুও সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
চারিদিকেই যেন এখন বাচ্চাদের অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়েছে।এদিকে আমার ছেলেটাও খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বছরের শেষ থেকেই ওর অসুস্থতা শুরু। ২৯ তারিখ রাত ৩টায় উঠে ও কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল। এত পরিমাণ কান্নাকাটি করেছে যে ওকে আর ঘুম পাড়ানো যাচ্ছিল না।তবুও প্রায় ১ঘন্টা যাবৎ ওকে বিভিন্নভাবে পরে আমার ছোট বোন ওকে নিয়ে অনেক্ষণ হাটাহাটি করেছে।তাও ওর কোনো থামা নেই। এভাবে প্রায় সকাল ১০টা পর্যন্ত তাকে নিয়ে এদিক সেদিক হাটাহাটি করেছি। তারপর ১১টায় ওকে ঘুম পাড়াতে পারলাম।তারপর প্রায় ২টায় ঘুম ভাঙে। তখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল।
তারপর ৩১ তারিখ একদম ভোরে ঘুমের মধ্যেই একটা সাউন্ড পেলাম।মানে ও যে প্যাম্পাসের মধ্যে পাতলা টয়লেট করে পেলেছে সেটা আওয়াজ শুনেই বুঝতে পারলাম।তখন চেক করে দেখি আসলেই তো, এমন কেন হলো হঠাৎ করে।তারপর থেকে ২/৩ বার শুধুমাত্র পানির মত তরল বের হয়েছে। তৎক্ষণাৎ তার জন্য ঔষুধ আর রাইস স্যালাইন,ওর-স্যালাইন নিয়ে এসেছিল।তাকে রাইস স্যালাইন দিতেই সে বমি করে ফেলে দিয়েছে, আর মুখেও তুলেনি।
তারপর ওর-স্যালাইন খাওয়াতে চেয়েছি তাও সে খায় না।এভাবে সেদিন গেল, তেমন বেশি লুজ মোশন হয়নি। তারপর দিনও দেখলাম ২/৩ বার হলো, ওষুধ চলছে। ভাবলাম ২/১দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ১তারিখ থেকে ওর খাওয়া দাওয়া বন্ধ হিয়ে গেল।পাউরুটি, কেক দেখলে ও খাওয়ার জন্য অনেক বায়না করতো।কিন্তু সেদিন বাসায় যে কেক তৈরি করেছিলাম সেটা ওকে খাওয়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার কোনো ইন্টারেস্টই ছিল না খাওয়ার।পুডিং দিতে চেয়েছি সে তাও খাবে না।মানে যে খাবারগুলো ওকে খাওয়াই না, সেই খাবারগুলো দিতে চেয়েছি কিন্তু সেগুলো আর খাবে না।মানে ওর খাবার টোটালি অফ হয়ে গেছে।
তারপরদিন দুপুরবেলা ডাক্তারের কাছে নিয়ে এলাম।মূলত আমরা নিভৃতকে যে ডাক্তার দেখাই তাকেই দেখাবো বলে দুপুরের দিকে এসেছি।যাইহোক আমরা হসপিটালে এসে শুনি যে ডাক্তার আসার পথে কোনো ইমারজেন্সিতে আবার চলে গিয়েছে, সেদিন আর আসবে না।দূর্ভাগ্যবসত সেদিন অন্য ডাক্তার দেখাতে হয়েছে। পাশের অন্য একটা হসপিটালে একজন ডাক্তারকে দেখাই। কিন্তু আমার তখন কেন জানি মনে হচ্ছিলো ঐ ডাক্তার রোগীর প্রতি দায়িত্ব পালন করতে অনিচ্ছুক। তাকে দেখানোর পর বাড়িতে চলে গেলাম ওষুধ নিয়ে।
বাড়িতে গিয়ে ওকে হালকা পাতলা খাইয়ানোর চেষ্টা করেছিলাম।কিন্তু ও কিছুতেই খাবে না।এবার হলো হিতে বিপরীত।সে ওষুধ খেলেই বমি করে সব ফেলে দেয়। ফিডিং এর পর বমি করে সব ফেলে দেয়। সাথে লুজ মোশন বারবার হচ্ছে। কোনোটাই বন্ধ হচ্ছিলো না। বরং বমির কারণে সে অনেক দূর্বল হয়ে গিয়েছে। এভাবে সেই রাত কোনোমতে পার করলাম।কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়তেই থাকলো। সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরদিনই আবার পুরানো ডাক্তার দেখাবো।
আজ এতটুকুই, বাকিটা আগামীতে শেয়ার করব। এখনো হসপিটালে ভর্তি, সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফস্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাবুর তো অনেকটাই অসুস্থ। বর্তমানে ঠান্ডার সমস্যার কারণে বাচ্চাদের এমন অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে। আপনারা দেরি না করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছেন জেনে ভালো লাগলো।তবে বাবু কিছুই খাচ্ছে না ও ঔষধ খেলে ঔষধই বমি করে দিচ্ছে এটা খুব খারাপ লক্ষ্যণ।আপনারা ভালো ঢাক্তার দেখান দরকার হলে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন আপু।কারণ বাচ্চাদের সহ্য ক্ষমতা অনেক কম।
৪দিন হসপিটালে ছিলাম আপু।তার ২দিন পর আবারো অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল।
এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন আমিও আমার বাচ্চাকে নিয়ে হয়েছিলাম। বাচ্চা সারাদিন সারারাত কান্না করছিল কোন সময় ঘুমাতো না। খুবই সমস্যার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছিলাম ডাক্তার বলল মাঝে মাঝে বাচ্চার এমন কান্নাকাটি করে সমস্যা নেই কিছু সময় পর ঠিক হয়ে যাবে। আপনার বাচ্চার জন্য দোয়া করি আপনার বাচ্চা যেন খুব দ্রুত সুস্থতা লাভ করে।
বাচ্চাদের অসুস্থতা মানেই বাবা মায়ের কষ্ট।কারণ বাচ্চার জন্য তারাই সব সহ্য করে,অন্য কেউ না।
জ্বি আপু একদম ঠিক কথা বলেছেন।
বাচ্চার কিছু হলে মায়ের মনে স্বস্তি থাকে না।লুজ মোশন আবার বমি।বাচ্চা তো দুর্বল হয়ে যাওয়ার ই কথা।যে ডাক্তার দেখান উনি সেদিন ইমারজেন্সিতে গিয়েছিল।তাই অন্য ডাক্তার দেখাতে হলো। কিন্তু তাতে সুস্থতা মেলেনি।অন্য ডাক্তার দেখাবেন।দ্রুত দেখান আপু।বাবুর সুস্থতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপু।বাবু আগে থেকে এখন সুস্থ আছে।
সোহেল মাহমুদকে দেখানোটা আসলে ইমারজেন্সি ছিল, না হলে তাকে দেখাতামই না। আর সে যদি প্রথম দিন থেকে বমির ওষুধ দিত, তাহলে হয়তো এতদূর ঘড়াতো না। অবশেষে পুরনো ডাক্তারের কাছে আবার নিতেই হলো। আর পুরনো ডাক্তারটি নিভৃতের জন্য একদম পারফেক্ট ছিলো।
বাবুর মনে হয় ঠান্ডা লেগে গিয়েছিল আপু। আর সেই থেকে এই অবস্থা। আমার এখানেও আশেপাশের সব বাচ্চাকে অসুস্থ হতে দেখছি। যদিও এখনো আমার বাবু সুস্থ আছে জানিনা কখন কি হয়। তবে আপনার বাবুর এই অবস্থা দেখে আরো সাবধান হয়ে গেলাম। দোয়া করি যেন বাবু তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।