ঘুম
ঘুম
ঘুম মানব শরীরের জন্য খুবই জরুরি একটা জিনিস। সঠিক সময়ে ঘুমাতে পারা ও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারাটা সত্যি অনেক ভালো একটা ব্যাপার। রাত যখন নয়টা বাজে তখন চোখে প্রচুর ঘুম আসে। মনে হয় যেন এখন শুলেই ঘুমিয়ে যাবো। অল্প করে কিছু খেয়ে শুয়ে গেলাম ঘুমানোর উদ্দেশ্যে। প্রতিদিন অনেক দেরি করে ঘুমাই বলে দিনের বেলা বেশ ক্লান্ত লাগে ও দুর্বলতা অনুভব করি। তাই ভাবলাম আজ যেহেতু একটু তাড়াতাড়ি ঘুম পেয়েছে অল্প কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। না হয় আবার সারারাত ঘুমের আশায় আশায় জেগে থাকতে হবে। যে ভাবনা সেই কাজ করলাম। বিছনায় শুয়ার পর মোটামোটি ভাবে চোখ বন্ধ হয়ে গেলো। রাত যখন দশটা পয়তাল্লিশ ঠিক তখন মাথার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো। অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও ফোনটা রিসিভ করতে হয়। মাত্র ত্রিশ সেকেন্ড কথা বলার পর যখন আবারো চোখ বন্ধ করলাম কিন্তু তখন চোখে আর ঘুম আছে বলে মনে হলোনা।
ত্রিশ সেকেন্ডের ব্যবধানে ঘুম যেন হাওয়ায় মিলে গেলো। এরপর এপাশ থেকে ওপাশ, অনেক ভাবে ঘুমানোর চেষ্টা তবুও কোনো কাজ হলোনা। নিত্যদিনের মতো অভ্যাসে পরিণত হওয়া সেই রাত তিনটার পর চোখে ঘুম আসলো। কিন্তু এই ঘুম কি আসলেই একটা মানুষের জন্য উপকারী ? না, একটা মানুষের ঘুমের মূল সময় হলো রাত এগারোটা থেকে তার দুইটা বা তিনটা। এই সময় টুকো যদি ভালো ভাবে ঘুমানো যায় তাহলে মনে হবে আপনি অনেক সময় ধরে ঘুমিয়েছেন ও আপনার শারীরিক ও মানসিক শান্তির একটা অনুভূতি হতে থাকে।
বর্তমান সময়ে আমরা চাইলেও সঠিক সময়ে ঘুমাতে যেতে পারি না। কোনো না কোনো কিছু আমাদের বাধা সৃষ্টি করে থাকে ও ঘুমের মধ্যে বিগ্নতা ঘটায়। বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েক ভাবে এই ঘুম নিয়ে গবেষণা করে আর একটা গবেষণায় একটা মানুষকে ছয়দিন না ঘুমিয়ে রাখার কারণে সেই মানুষটা এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় যে সে সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়ানো শুরু করছে ও মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। সত্যি আমাদের জীবনে হাজার ব্যাস্ততা কিংবা হাজার কাজের মাঝেও ঘুমানোটা খুব বেশি জরুরি।
আমরা নিজেরাই এর প্রমান। কারণ আমরা যদি কোনো কারণে শুধু একটি রাত না ঘুমিয়ে থাকি তাহলে পরের দিন আমাদের শারীরিক অবস্থা, মানুষিক অবস্থা ও চেহেরার অবস্থা কি হয়ে যায় সেটা নিজেরাই বুঝতে পারি। আমাদের নিজেদের সুস্থ থাকার জন্য নিজের মনমানুষিকতা ভালো রাখার জন্য আমাদের তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে ও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হবে। পারি আর না পারি অন্তত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে প্রতিরাত প্রতিনিয়ত।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন ঘুম আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম নিয়ে লেখা আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে বর্তমানে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য আমরা কত রকমই কাজ করি, কত ভাবে না চেষ্টা করে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এসব করতে করতে অনেক সময় এই ঘুমও ঠিকমতো আমরা যেতে পারি না। তবে আমাদের অবশ্যই সময়মতো ঘুমাতে হবে তাহলে আমাদের পরবর্তী দিনটা ভালো কাটবে এটাই হচ্ছে মূল বিষয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে চমৎকার উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে শেয়ার করার জন্য।
চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবার উচিত রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করা এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা। যদিও বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ রাতে অনেক দেরীতে ঘুমায়। আমার তো রাত ১টার আগে ঘুম আসেই না। তবুও চেষ্টা করি কমপক্ষে ৬/৭ ঘন্টা একটানা ঘুমাতে। আমার ঘুম অনেক পাতলা, মোবাইলে নোটিফিকেশন আসলেই ঘুম ভেঙে যায়। তাই সবসময় মোবাইল সাইলেন্ট মুডে রেখে ঘুমাই। মোটকথা সুস্থ দেহের জন্য পরিমিত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার মত আমার রাতে ঘুম আসে না ঘুমাইতে ঘুমাইতে রাত তিনটা চারটা বেজে যায় । তখন ঘুম আসলে সকাল 11 টা বারোটায় ঘুম ভাঙে যেটা নিজের জন্য অনেক বড় একটি ক্ষতিকর দিক। এইভাবে চলতে থাকলে মানসিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বো। এটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার অনেক চেষ্টা করছি অনেক খারাপ লক্ষণ। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে সারা দিন দুর্বলতা অনুভব করি এটা থেকে সত্যি নিজেকে মুক্ত করতে হবে।
একদম ঠিক বলেছেন প্রতিনিয়ত রাত এগারোটার মধ্যেই ঘুমানো উচিত আর হ্যাঁ একদিন রাত্রে না ঘুমালে শরীরের উপরে কতটা প্রভাব পড়ে সেটা আমরা নিজেরাই বুঝতে পারি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঘুম শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।সময় মতো ঘুম আর ঘুম থেকে উঠা আমাদের সকলের জন্য ই দরকারী।কিন্তু আমরা এখন এতোটা নিজেদেরকে নানা কাজে ব্যস্ত রাখি যে ঘুমটা সময়মতো না হওয়াতে অনেক রাত নির্ঘুম থেকে মাঝরাতে ঘুমাচ্ছি।এতে কি হয়, এতে করে পরের দিনটা খুবই খারাপভাবে কাটে।তাই আমাদের ডিভাইস সব সাইলেন্ট মুডে রাখা উচিত।আমি তেমনটাই করি।সুন্দর একটি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু সত্যি কিন্তু ঘুম নিয়ে অনেক সুন্দর একটি ব্যাখা উপস্থাপন করেছেন। বিজ্ঞানের ভাষায় ও কিন্তু তাই বলে একটি মানুষের ঘুমের প্রকৃত সময় হলো রাত ১০.০০ হতে ভোর তিনটা পর্যন্ত।আর এই সময়ে যদি কোন মানুষ সঠিক ভাবে ঘুমাতে পারে তাহলে তার দেহ ও মন দুই বেশ ভালো হয়ে যায়। আপনার পোস্ট পড়ে আজ অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।তাই ঠিকভাবে না ঘুমালে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে,আপনার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়।অনেক সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপু,পড়ে ভালো লাগলো।তাই শত কাজের মাঝেও ঠিকভাবে ঘুমানো উচিত।ধন্যবাদ আপনাকে।