২ পয়েন্টের জন্য রাজস্থান প্লে-অফে যাওয়া থেকে এখনো আটকে আছে
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল পাঞ্জাব আর রাজস্থানের মধ্যে একটি ম্যাচ ছিল আর এই ম্যাচটা যতটা গুরুত্বপূর্ন পাঞ্জাবের জন্য না, ততটা আবার গুরুত্ব রাজস্থানের জন্য। কারণ রাজস্থান কোয়ালিফাইয়ের জন্য লাগাতার ৪ ম্যাচ হেরে আটকে আছে। এখন সামনে কলকাতার সাথে আর একটি ম্যাচ আছে। এখন তাদের সামনে দুটো রাস্তা খোলা আছে কোয়ালিফাইয়ের জন্য, এক কলকাতাকে হারাতে হবে আর নাহলে হায়দ্রাবাদ এর যে দুটি ম্যাচ আছে তার মধ্যে থেকে তারা একটি ম্যাচ হেরে যাক। কিন্তু এই দুটি পজিশনই খুবই খারাপ, কারণ কেউ তো আর ইচ্ছা করে হারবে না, ফলে একটা কঠিন পরিস্থিতির সামনে পড়ে গিয়েছে রাজস্থান। যে রাজস্থান প্রথম থেকে এতো ভালো খেলে আসলো সেই রাজস্থান শেষে এসে ডুবতে বসেছে।
আসলে গতকাল যে ম্যাচটা ছিল এটা গুয়াহাটির এমন পিচে খেলা হয়েছে যে, এক প্রকার উভয়ের জন্য কঠিন ছিল। কারণ এই পিচে স্লো উইকেট, খুবই স্লো রান ওঠে। এখানে বোলিং বা ব্যাটিং বলতে গেলে একদম ৫০-৫০, আর সেটাই হয়েছিল। রাজস্থান টসে জিতেছিল আর আগেই ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তবে সিদ্ধান্ত যে ভুল নিয়েছিল তা কিন্তু না, সিদ্ধান্ত ঠিকই ছিল এই পিচে। কারণ এই স্লো পিচে যদি রান মোটামুটি ১৫০ বা তার কাছাকাছিও করা যায়, তাহলে কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য একটা রান রেটের চাপ থেকেই যায়, কারণ ওখানে জরুরি রান রেটটা যদি একটু প্রয়োজনের তুলনায় বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে কিন্তু হিউজ একটা প্রেসার তৈরি হয়ে যায় রান চেজে।
তবে রাজস্থানের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি, কারণ প্রথমেই উইকেট চলে গেলো ৩ টা পর পর পাওয়ার প্লে ওভারে। রান রেট প্রায় ৫ কি সাড়ে ৫ এর মতো চলছিল আর এতে উইকেটও পড়ে যাচ্ছিলো, অর্থাৎ তাদের একদমই সুবিধার ছিল না বিষয়টা। খুবই ধীরগতিতে লাস্ট ১৪ ওভার পর্যন্ত রান উঠেছিল আর এতে মনে হচ্ছিলো ২০ ওভারের আগেই অলআউট হয়ে যাবে। তবে ওদের অশ্বিন আর পরাগ নামের দুইজন একটু ডুবে যাওয়ার থেকে বাঁচায়, অশ্বিন এসে মোটামুটি একটু ভালোই খেলে যায় বাউন্ডারি মেরে আর পরাগও সেই সাথে ভালো খেলে যায়। তবে এই রানটা আরো হতে পারতো, মানে ১৫০ ক্রস করতে পারতো। কিন্তু লাস্ট ওভারে ঠিক যখন তার খুবই প্রয়োজন ছিল, তখনি আউট হলো, তাও আবার ফুলটস বলে।
সেট ব্যাটসম্যান ওই মুহূর্তে আউট হয়ে যাওয়া মানে আর কিছুই করার থাকে না ওইসময় মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়া ছাড়া। রানটা বলতে গেলে লাস্ট ওভারে আর হয়ইনি। তবে রাজস্থান কিন্তু পাঞ্জাবকেও ধরা দিয়েছিলো ভালোই। প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে নিয়েছিল, আর ওদের অবস্থাও বলতে গেলে পাওয়ার প্লে সহ আগে কয়েক ওভারে বাজে ছিল। জরুরি রান রেট ১০ এর উপরেই করে দিয়েছিলো, ফলে চাপটাও ছিল। আর তার উপর ৪ উইকেট তো পড়েই গিয়েছিলো। ওদের স্যাম করণ আর জিতেশ, রুশ কয়েকজন একটু ভালো খেলে দেওয়ায় চাপটা অনেক রিকোভারি করে ফেলে।
তবে বিশেষ করে পাঞ্জাবের এই ম্যাচটা জেতানোর পিছনে স্যাম করণ এরই হাত আছে, ও একাই ম্যাচটা বের করে নিয়ে যায়। রাজস্থান প্রথমে এক্ষেত্রে শুরুটা ভালো করলেও শেষে গিয়ে খারাপ করে ফেলেছে। তা নাহলে এই ম্যাচটা রাজস্থানেরই জেতার কথা ছিল। যাইহোক, এখন লাস্ট একটা ম্যাচ আছে, ওটাই অনেক কিছু নির্ভর করছে আর নাহলে হায়দ্রাবাদ এর একটি ম্যাচ হারার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছে তাদের। এখন মানে প্লে অফের দৌড় চলছে খুব কয়েকটা টিমের মধ্যে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রাজস্থান যেভাবে শুরু করেছিল সেই পটেনশিয়াল টা মোটেই ধরে রাখতে পারেনি। এটাই খারাপ লাগছে। তাদের পরবর্তী দুইটা ম্যাচই হার্ড টিমের সঙ্গে। যাদের সাথে ম্যাচ জেতা কষ্টকর হয়ে যাবে অল্প রান হলেও ম্যাচটা সহজ হয়নি। স্যাম কোরান অসাধারণ একটা ইনিংস খেলে পাঞ্জাবকে জয় এনে দেয়।
রাজস্থানের প্লেয়াররা প্রথম দিকে কিছুটা ভালো খেললেও শেষের দিকে এসে খুব একটা ভালো খেলেনি। আর তাদের পারফরমেন্স মোটেও ভালো ছিল না। শেষে ফুলটস বলে আউট হয়েছে এটা জেনে আরো খারাপ লাগলো দাদা। যদিও খেলা দেখা হয় না। তবে আপনার এই পোস্ট পড়ে স্পোর্টস সম্পর্কে বেশ ধারণা পাই। আর অনেক ভালো লাগে।
এই ম্যাচটি রাজস্থানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ ছিলো। রাজস্থান এই ম্যাচটি জিততে পারলে খুব ভালো হতো। তবে রাজস্থান আরও একটু ভালো ব্যাট করলে হয়তোবা এই ম্যাচটি জিততে পারতো। যাইহোক এই ম্যাচ হারলেও,রাজস্থান প্লে-অফে চলে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩ দল প্লে-অফে চলে গিয়েছে। চতুর্থ দল হিসেবে চেন্নাই প্লে-অফে গেলে খুব খুশি হবো। দেখা যাক বেঙ্গালুরুর সাথে জিতে চেন্নাই প্লে-অফে যেতে পারে কিনা। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ এতো চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।