বারাসাত বইমেলা ২০২৩
| হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
|---|
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
গতকাল গিয়েছিলাম বইমেলাতে। এই বইমেলাটা আমাদের বারাসাতে হয়েছে, তবে এইবার প্রথম শুরু হয়েছে। আগে বইমেলা কলকাতার দিকে হতো এবং সেটা বহু বছরের পুরানো যা অনেকদিন ধরে ধরে হয়ে আসছে। তবে নিজেদের শহরে কাছাকাছি যদি কোনো বইমেলা হয় তাহলে কত ভালো লাগে। আর সত্যি বলতে আমাদের বারাসাতে বইমেলা হচ্ছে এটা জানতামই না, কারণ কোনোদিন যা হয়নি তা বুঝবো কি করে যে এখন এই সময়ে বইমেলা শুরু হয়েছে। আর কিছুদিন বাড়ির দিকে একটু কাজের চাপ বেড়ে গেছে, ফলে বাইরের দিকে বেরোনো একদমই হচ্ছে না। আর বাইরের দিকে একটু ঘোরাঘুরি না করলে কোথায় কি হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে জানাও যায় না। আর এই করে করে আগে অনেকগুলো মেলা মিস হয়ে গেছে।
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
বারাসাতে এই প্রথম বইমেলা আর এটাও মিস হয়ে যেত কারণ গতকালই ছিল শেষ দিন। ১৭ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে অথচ এতোদিনেও টের পাইনি, ওইযে বললাম বাইরে না গেলে কোথায় কি হচ্ছে না হচ্ছে বোঝা যায় না। গত পরশুদিন আমাকে এক বন্ধু বললো যে আমাদের বারাসাতে বইমেলা হচ্ছে, আমি শুনেও একটু অবাক হয়েছিলাম যে বারাসাতে তো বইমেলা হয়না, তারপর জায়গার না শুনতেই বললো বারাসাতের গভঃ কলেজ এর পাশে মাঠে হচ্ছে। আমি শুনেছি ওইটা কিন্তু পরে আবার ভেবেছি বারাসাত হসপিটালের ওইদিকে। কিছুদিনও একটু টেনশন এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যে শুনছি একটা ভাবছিও একটা। যাইহোক গতকাল শেষ তাই ওকে বললাম ঠিক আছে চল দেখি শেষদিন ঘুরে আসি দেখি কোথায় কি করেছে।
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
যাইহোক হেঁটে হেঁটে চলে গেলাম কলেজের মাঠে, মোটামুটি সবকিছু সাজিয়েছে ভালোই। তবে এই প্রথমবার, ফলে সবকিছু অতো ভালোভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি। বুক স্টলগুলো বেশি একটা বসেনি, তবুও জায়গার মাপকাঠিতে মোটামুটি বসিয়েছে বিভিন্ন ধরণের বুক স্টল। আস্তে আস্তে সবকিছু বড়ো করবে কমিটির লোকজন এটাই মনে হয়, কারণ শুরুতে কোনোকিছু বড়ো আয়োজন সম্ভব না । এইটা সম্পূর্ণ বারাসাত পৌরসভা এবং বইমেলার নতুন কমিটির উদ্যোগে শুরু হয়েছে। বারাসাতের এই বইমেলা সম্পর্কে এখনো অনেকে জানে না, তবুও লোকজনের কমতি নেই। ভালোই লোকজন এসেছিলো শেষদিন যেটা দেখলাম। আমি বইমেলাতে গিয়েছি কি আর বই কিনতে বা পড়তে, আমি গিয়েছি ঘুরতে আর খেতে হা হা।
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
বই পড়ার বেশি ধৌর্য আমার বেশি নেই, তাই বইটই তেমন আর কেনা হয়না। যাইহোক, বই কিনি আর না কিনি মাঠের মধ্যে বুক স্টলগুলোতে এক পাক করে ঘুরে এসেছি। বইও তেমন একটা উঠায়নি দেখলাম, স্টলগুলো ছোট ছোট আছে। সবজায়গায় ঘোরাঘুরির পরে গেলাম একটু খাদ্যখাবারের জায়গায় আর এগরোল এইসব দেখে তো আর ফিরে আসা যায়না, তাই একটা অর্ডার দিয়ে খেয়ে নিলাম, ভালোই বানিয়েছিলো এগরোলটা। ভেবেছিলাম এগরোলটা খেয়ে বেরিয়ে যাবো, কিন্তু তখন ঘোষণা করলো যে এক্ষুনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। তাই ভাবলাম খানিক্ষন দেখে যাই আসলাম যখন আর আজকে শেষও হয়ে যাবে। সা রে গা মা পা এর অনন্য চক্রবর্তী এসেছিলো কালকে গান পরিবেশন করতে।
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
![]() |
|---|
Photo by @winkles
মেয়েটা অল্প বয়েসে অনেক নাম, খ্যাতি অর্জন করেছে। সে এসেই গান শুরু করে দিলো, কিন্তু প্রতিটা গান এতো ভালো গাইছিলো যে না শুনে আর আসতে ইচ্ছা হচ্ছিলো না। বাংলা, হিন্দি, আসামি সবধরণের গানই ভালো গেয়েছে আর দর্শকদের সাপোর্টও পেয়েছে ভালোই। সন্ধ্যা ৭ টার থেকে রাত ৯ টা অব্দি না শুনে আর আসতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম কয়েকটা গানের ভিডিও করবো কিন্তু ঠিকঠাক প্লেসে না দাঁড়ানোর ফলে করতে পারিনি, আর সামনে সবাই গানের সাথে সাথে এতো লাফালাফি শুরু করেছে যে ফোন বের করে ভিডিও করার মতো না, আর এতো লোকজন হয়েছিল যে সামনে হাত উঁচু করে দিলেও ফোন ছিনতাই হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকবে। আমি মোটামুটি শেষপর্যন্ত অনন্যার গান শুনেছিলাম, বাবুল সুপ্রিয়ও পরে এসেছিলো কিন্তু ওনার গান আর শুনিনি, শুধু আমি না অনেকেই চলে এসেছিলো অনন্যার গান শেষ হওয়ার পরে। সর্বমোট বারাসাত বইমেলাটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য জমজমাট ছিল সন্ধ্যার থেকে।
All photos what3words location: https://w3w.co/yell.storybook.wishing
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
| ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
|---|---|
| লোকেশন | বারাসাত |
| তারিখ | ২৩.০১.২০২৩ |
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |






















বারাসাতে বই মেলাতে গিয়ে অনেক সুন্দর সমূহ উপভোগ করেছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে দাদা আপনি বইমেলার খবর জানতেন না। হঠাৎ করে আজকে আপনার বন্ধুর ফোন পেয়ে জানকে পারলেন। আর অবাক হয়ে গেছেন। আসলে বাইরে বের না হলে বোঝা যায় না কোথায় কি হচ্ছে। তাই আপনি শেষের দিন উপস্থিত হলেন।১৭ তারিখ থেকে বই মেলা শুরু হয়েছিল। বন্ধুর ফোনের কারণে আপনি উপস্থিত হতে পেরেছিলেন এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো।
দাদা নিজের বাসার পাশে বই মেলা হলে সত্যিই অনেক ভাল লাগে। আপনি তো বই মেলাতে ঘুরে ঘুরে বই না কিনে এগরোল খেয়েছেন হা হা হা। তবে লাষ্টে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটা ভালই উপভোগ করেছেন।ফোন ছিনতাই হওয়ার ভয়ে আমরা সেই অনুষ্ঠানের বিডিও দেখতে পারলাম না। সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত অনন্য চক্রবর্তীর গান শুনলেন। তার মানে অনন্য চক্রবর্তী আপনার প্রিয় একজন গায়েকা। সব মিলিয়ে ভালই বই মেলা উপভোগ করলেন। ধন্যবাদ দাদা।
বারাসাত বইমেলার দৃশ্যপট দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক লোক সমবেত হয়েছে যারা বই পড়তে পছন্দ করে তারাই এই ধরনের মেলায় বেশি আগ্রহ পোষণ করে। দাদা আপনার মত আমিও তেমন একটা বই পড়া হয় না সেজন্য বইও কিনাও হয় না তেমন একটা। অনন্য চক্রবর্তী গান পরিবেশন করেছে তার গান আমি শুনেছি ভালই লাগে আমার কাছে। যাই হোক অনেক দিন পর সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন।
তনুজা বৌদির পোস্টে আমি পড়েছিলাম বারাসাতের মেলা সম্পর্কে। সেখানে উনি বলেছিলেন বারাসাতে আগে কখনো বই মেলা হয়নি। আজকে আবার আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তবে সম্পূর্ণভাবে আপনি খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। বইমেলায় আপনি ঘুরতে গিয়েছেন বই না কিনলেও। যাক ভাগ্য ভালো যে শেষের দিনে হলেও যেতে পেরেছেন। নিজেদের এলাকায় বইমেলা হলে সেখানে না গেলে খারাপ লাগারই কথা। আর আমাদের অঞ্চলে আগে অনেক মেলা হতো কিন্তু এখন মেলাগুলো উঠে গিয়েছে।
তবে এই ব্যাপারটা শুনে বেশ মজা পেলাম দাদা,হাহা।
এই প্রথম বারাসাতে বই মেলা হলো, আর আপনি কাজের ব্যস্ততায় তাও জানলেন না। কি এমন ব্যস্ততা আপনার যে ১৭ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বই মেলার কথা মিস করে ফেলছিলেন। তাও আবার মেলার শেষ দিনে মেলায় গেলেন। মেলায় গিয়ে কোন বই কিনলেন না, কিন্তু খাওয়া দাওয়া তো ঠিক ই খেলেন। আবার গানের অনুষ্ঠান ও দেখলেন। কিন্তু ভিডিও টা করতে পারলেনা। আহারে দুঃখ।
দাদা আমরা বাঙালিরা বই কেনার চেয়ে বইমেলায় ঘুরতে বেশি পছন্দ করি🤭। তাইতো বইমেলায় প্রচন্ড রকমের ভিড় হয়। যেহেতু আপনার শহরে প্রথমবারের মতো বইমেলা হচ্ছে তাই তো ভিড়ের পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে। আসলে প্রথমবার হিসেবে বেশ ভালই আয়োজন করেছে। ধীরে ধীরে অবশ্যই আরো বড় পরিসরে বইমেলা হবে। বইমেলার পাশাপাশি যেহেতু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে তাই ভিড়ের পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে । সা রে গা মা পা এর কণ্ঠশিল্পীরা সত্যি অনেক সুন্দর গান করে। ভিডিওগ্রাফি দেখতে পারলে ভালো লাগতো। তবে যাই হোক সেখানে যেহেতু ভিডিও করা ঝামেলা ছিল তাই না করাতে ভালোই হয়েছে। এমনকি ফোন হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। কখন কোথায় পড়ে যেত খুঁজে পাওয়া যেত না। সবমিলিয়ে দারুন সময় কেটেছেন বুঝতে পারছি দাদা। আর বাহিরে না গেলে বাহিরে কখন কোন মেলা হচ্ছে বোঝাই যায় না।
বইমেলা মানুষের সামনে তুলে আনে জ্ঞানের ভান্ডার। যেখান থেকে অনেক শিক্ষার্থীর সহ সর্বশ্রেণীর মানুষ নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারে। একমাত্র বই মানুষকে পৌঁছে দিতে পারে অসীম জ্ঞানের ভান্ডারে। আপনি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন নতুন বছরের বইমেলা থেকে। বইমেলাকে কেন্দ্র করেঅনেক মানুষের ভিড়ে অনেক কিছুর সমাগম লক্ষণীয়।
বই মেলার পাশাপাশি যদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় তবে তো মানুষ বই কেনার চাইতে অনুষ্ঠান দেখায় বেশি ভীড় করবে। আপনার শহরে এই প্রথম বই মেলা হচ্ছে। আসলে এই শীতের সময় নানান ধরনের মেলা হয়। আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। আমাদের এখানে ও বই মেলা ফেব্রুয়ারী মাস জুড়ে হয়। আগের মত বই পড়ার সময় না পেলেও বই কেনা আমার মিস হয় না। আপনি গান শুনেছিলেন ৭-৯ টা পর্যন্ত।খুব সুন্দর সময় কেটেছে আপনার। আসলে গান ভাল গাইছে শুনলে, না শুনে আর আসতে ইচ্ছে হয় না।আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
কাল বৌদির পোস্টেও মেলা সম্পর্কে জানতে পারলাম।লোকেরা এত কষ্ট করে বই এর স্ট্রল দিলো আর আপনি বই না কিনে ফিরত আসছেন,আপনারে জরিমানা করা উচিত ছিলো🤣🤣।সত্যি কথা বলতে কি আমারো বই পড়তে ভালো লাগে না।যাই হোক গান শুনার জন্য ঠিকঠাক জায়গায় দাঁড়াতে পারেননি,একটা বুদ্ধি করলেই হতো।জোরে জোরে চিল্লিয়ে বলতেন সাপ সাপ দেখতেন সবাই চেপে আপনাকে জায়গায় দিত,তারপর ঠিকঠাক ভিডিও করতে পারতেন। হা হা।দাদা এত বেশি খেলে তারপর আমরা আপনার জন্য বৌদি পাব না😉।হা হা।ধন্যবাদ
ভাগ্যিস দাদা শেষ দিন খবর পেয়েছিলেন তা না হলে তো শেষ হয়ে যাওয়ার পর খবর পেলে আরও বেশি আফসোস লাগতো শেষ দিন হওয়ার কারণেই মনে হয় এত ভিড় হয়েছিল। তাছাড়া কি নিয়ে এত দুশ্চিন্তা করছেন যে শুনছেন একটা আর ভাবছেন অন্যটা? বই পড়াতে দাদার ধৈর্য না থাকলে কি হবে রান্নাতে কিন্তু ব্যাপক ধৈর্য আছে দাদার। তা অবশ্য ঠিক বলেছেন মেলায় গিয়েছেন আর কিছু না খেলে কি চলে। অনন্যা চক্রবর্তীর গান এত পছন্দ হয়ে গিয়েছিল যে দুই ঘন্টা গান না শুনলে ফেরত আসলেন না। যাইহোক পরের জনের গান শোনা শুরু না করে ভালো করেছেন ।ওনার গান পছন্দ হয়ে গেল তো আরো দুই ঘন্টা চলে যেত। যাই হোক বই না কিনলে কি হবে মেলায় বেশ ভালো ঘোরাঘুরি করেছেন দেখলাম। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।