কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের সাথে মজাদার একটা রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করছি এই রেসিপি টা সবার কাছে পরিচিত এবং পছন্দের। আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। বিশেষ করে এই গরমের মধ্যে এই কাঁচা আমের ভর্তা খেতে দারুন লাগে। আসলে এবার ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসার পর অনেক মজার মজার খাবার খাওয়া হয়েছে। গ্রামে আসলে টাটকা সব জিনিস পাওয়া যায়। এখন আমের দিন চলছে তাই এই গরমের মধ্যে আম ভর্তা খেতে দারুন লাগে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের আম ভর্তা রেসিপি:-
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ:-
১. কাঁচা আম।
২. কাঁচা মরিচ।
৩. শুকনা মরিচ গুঁড়া।
৪. লবণ।
৫. কাসুন্দি।
৬. চিনি।
৭. আম কাটার মেশিন।
৮. বাটি।
প্রস্তুত প্রণালী সমূহ:-
ধাপ:-০১
প্রথমে আমি গাছ থেকে কাঁচা আম গুলো পেড়ে নিলাম। আম গুলো কাঁচা মিঠা হওয়াই খুবই ভালো লাগে খেতে।
ধাপ:-০২
এরপর কাচা আম গুলো কে দা দিয়ে ভালো ভাবে ছুলিয়ে নিলাম।
ধাপ:-০৩
এরপর আছতে আছতে ছুলানো আম গুলোকে ভুজুরী করে নিলাম।
ধাপ:-০৪
আম গুলো ভুজুরী করে নেওয়ার পর প্রথমে কাচা মরিচ দিয়ে দিব।
ধাপ:-০৫
এরপর আমের মধ্যে রাঁধুনি কাসুন্দি দিয়ে দিলাম। এরপর ভালো ভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ:-০৬
এরপর হালকা শুকনো মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিব।
ধাপ:-০৭
এরপর আমের মধ্যে একটু চিনি দিয়ে দিব। কারণ টক ঝাল মিষ্টি করার কারণে এই চিনি দেওয়া।
ধাপ:-০৮
এরপর সবগুলো উপকরণ দেওয়ার পর ভালো ভাবে মিশিয়ে নিব। এইতো হয়ে গেল আজকের কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি। খুবই টেস্ট হয়েছিল। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পরবর্তী আবারো আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি। আপনার তৈরি কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি দেখে সত্যিই জিভে জল চলে এসেছে ভাই। এত সুন্দরভাবে পর্যায়ক্রমে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া এই রেসিপি দেখে জিহ্বা জল চলে আসা স্বাভাবিক। আমার তো আম ভর্তা দেখলে জিহ্বা দিয়ে পানি চলে আসে। সুন্দর ভাবে কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার আম মাখানো দেখে আমার জিভে জল এসে পরেছে।আমিও এই আম ভর্তা খুব পছন্দ করি।গ্রামে না গেলেও ঢাকায় বসেই এমন ভর্তা করে খাই।বেশ মজা লাগে খেতে।মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু আমারো ভিশন পছন্দের এই আম ভর্তা।এই জন্য বাড়িতে গিয়ে খুব খাওয়া হয়েছে মজা করে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামের সব টাটকা জিনিস পাওয়া যায় যা খেতে খুবই ভালো লাগে।এখন চার দিকে শুধু মাখাইদেখব। আম মাখা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার আম মাখা দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে।
জি আপু ঠিক বলেছেন গ্রামে গিয়ে যে কোন জিনিস খেতে দারুন মজা লাগে।আম মাখা মোটামুটি সবার পছন্দের তালিকায় আছে দেখছি।
আসলে গ্রামে আসলে টাটকা বিভিন্ন রকমের জিনিস পাওয়া যায়। ঈদের ছুটিতে এসে আপনি খুবই মজার মজার খাবার খেয়েছিলেন তাহলে। আম ভর্তা বানানো আমি মনে হয় কয়েকদিন আগেও খেয়েছিলাম। একসাথে অনেকবার খাওয়া হয়েছিল এই আমের ভর্তা। ঠিকই বলেছেন এখন আমের সৃজন চলছে আর এই গরমের সময় এরকম আমের ভর্তা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার আমের ভর্তা তৈরি দেখে ভালো লাগলো। বেশ মজা করে খেয়েছিলেন তাহলে দেখে বুঝতে পারছি।
জি আপু ঈদের মধ্যে বাড়িতে গিয়ে অনেক মজা করেছি। এখন ঢাকায় আসার পর ভিশন মিস্ করছি সবাইকে। গরমের মধ্যে আম ভর্তা খেতে দারুন লাগে।
কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে। এরকম রেসিপি কখনো তৈরি করা হয়নি। আর ভর্তা রেসিপি পরিবেশন থেকে শিখে নিলাম। পরবর্তী তৈরি করে দেখব কেমন মজা হয়।
জি ভাইয়া এইভাবে তৈরি করে একদিন খেয়ে দেখবেন আশা করি ভাল লাগবে।
যদিও আমি এমনিতে কেটে কেটেই খাই তবে আমার বাবা এভাবে খেতে পছন্দ করে।দাদি নিজে হাতে ওমন করে আম মেখে দিতো বাবাকে।
লোভনীয় রেসিপি ছিল। শুভ কামনা জানাই।
এইভাবে বেশি মজা লাগে আমার কাছে। এমনি খাইলে দাঁত ঠক হয়ে যায়।এই জন্য ভর্তা করে খাওয়া হয় বেশি।
কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আমি কখন এভাবে তৈরি করিনি।তাই আমার কাছে নতুন লেগেছে।
জি ভাইয়া এইভাবে তৈরি করে একদিন খেয়ে দেখবেন আশা করছি অনেক ভালো লাগবে।
আসলে ভাইয়া কাঁচা আমের ভর্তা অনেক মজা লাগে তবে আপনি যদি এই কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপির সাথে ধনেপাতা সংযুক্ত করতেন তাহলে খেতে আরও বেশি মজা লাগতো। সত্যি বলতে রেসিপি দেখেই জিহ্বায় যেন জল চলে আসছে।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন কিন্তু বাসায় অনেকেই ধনিয়া পাতা পছন্দ করে না এই জন্য দেওয়া হয়নি। আপনার সুন্দর মন্তব্য জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়টা কাঁচা আমের সিজন সব জায়গায় কাঁচামের এখন ছড়াছড়ি। আপনি বেশ মজার করে কাঁচা আমের ভর্তা তৈরি করেছেন দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না ভাইয়া। আপনার তৈরি করা ভর্তা দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে অনেক ধন্যবাদ।
জি আপু ঠিক বলেছেন এখন কাঁচা আমের সিজন চলছে চারদিকে এই জন্য আম খাওয়া সময়টা এই সময়। আমার কাছে আম খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
আমি গতকালকেও কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি খেয়েছিলাম। ঠিক এভাবে ভর্তা রেসিপি তৈরি করে। এভাবে কাঁচা আম দিয়ে ভর্তা রেসিপি তৈরি করলে খেতে কিন্তু খুবই ভালোই লাগে আর তা খুবই সুস্বাদু হয়। বর্তমানের এই সময়ে সব জায়গায় কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি খাওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকের গাছে এখন কাঁচা আম রয়েছে। আমাদের গাছ থেকে পেড়ে আমরা প্রত্যেকদিন আমের ভর্তা তৈরি করি। ভালোই লাগে খেতে।
সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। কাঁচা আমের ভর্তা আসলে অনেক সুস্বাদু একটা ভর্তা। আমিও নিজে গাছে উঠে আম পেরে নিজে ভর্তা করেছি। আসলে নিজে ভর্তা করলে খেতে একটু বেশি মজা লাগে।