আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 76

in #photography2 months ago
আসসালামুআলাইকুম

'হ্যাঁ, ঠিক। মেয়েটা যখন তোর বান্ধবী ছিল তখন সে অভিনয় করত না। অভিনয় করছে যখন তখন তুই তাকে বান্ধবী বলে ভাববি কি না সেটা তোর একার ব্যাপার নয়। আমার সঙ্গে পড়ত, বন্ধু ছিল, স্কুলের এমন ছেলে এখন স্মাগলিং করে। আমি যদি তার বন্ধুত্ব রাখি তা হলে তোরা কি খুশী হবি?' দাদা দরজার দিকে এগোল।
'এ তুমি কী বলছ দাদা?'
'কেন?'
'দুটো ব্যাপার এক হল?'
'শোন, সিনেমা-সিরিয়ালের লাইন যে ভাল নয় তা সবাই জানে। কোনও মেয়ের পক্ষে সেখানে সৎভাবে থাকা অসম্ভব। এই যে শুটিং করতে তারা আউটডোরে যায়, সেখানে গিয়ে কী করে তুই জানিস? আরও বড় সুযোগ দেওয়ার লোভ দেখায় প্রডিউসার-ডিরেক্টররা, আর মেয়েগুলো সেই টোপ গেলে। এ সব কথা তো বাচ্চারাও জানে।' দাদা বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। মেজাজ খারাপ হয়ে গেল তিতিরের। মনে হচ্ছিল বউদির সঙ্গে দাদার কোনও পার্থক্য নেই। দু'জনেই উনবিংশ শতাব্দীর ধারণা নিয়ে বসে আছে। অথচ দাদা এরকম ছিল না আগে।

1725166588754.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

খাওয়ার টেবিলে গিয়ে তিতির বলল, 'মা, আমাকে অল্প দিতে বলো।'
বাবা জিজ্ঞাসা করল 'কী হয়েছে রে?'
দাদা হাসল, 'ওর বন্ধুর সমালোচনা করেছি বলে রাগ হয়েছে।'
তিতির বলল, 'না দাদা। তুমি সমালোচনা করোনি। স্রেফ নিন্দে করেছ। যাকে চেনো না তার কুৎসা গেয়েছ।'
বাবা জিজ্ঞাসা করলেন, 'ব্যাপারটা কী?'
তিতির বলল, 'সুবর্ণা আমার বন্ধু, একসঙ্গে পড়তাম। ও এখন সিরিয়ালে অভিনয় করছে। মাসে হাজার দশেক রোজগার করে। দাদার ধারণা অভিনয় যারা করে তাদের চরিত্র বলে কিছু নেই। এককালে সিনেমাজগৎ সম্পর্কে এরকম দুর্নাম ছিল। কিন্তু এখন সিরিয়াল তৈরি করে শিক্ষিত
ছেলেমেয়েরা। দাদা ওর সেই প্রাচীন ধারণাটা এদের ওপর চাপাচ্ছে।'
বাবা দাদার দিকে তাকালেন, তুই কি সিরিয়ালের খবর রাখিস?'

1725166588790.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'রাখার কোনও দরকার নেই। সিনেমা-সিরিয়াল তো একই।'
বাবা বললেন, 'না বোধহয়। সিনেমায় সবটাই ঝুঁকি। সিরিয়ালে তেমন নেই। তোর মা শুনেছি রোজ দুপুরে সিরিয়াল দেখে, সিনেমা দেখতে চায় না।' বাবা বলল, 'আমার পরিচিত কোনও মানুষ বাংলা সিনেমা দেখে না। অথচ সিরিয়াল দেখার লোকের অভাব নেই। তিতির বলছে, শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা সিরিয়াল তৈরি করছে। তা হলে তো সেখানকার আবহাওয়া ভাল হবেই।' দাদা বলল, 'হলে তো ভালই।'
সবাই চুপচাপ খাচ্ছিল। হঠাৎ বউদি বলল, 'তুমি কথাটা বলবে না?'
দাদা মুখ তুলল, 'ও, হ্যাঁ।' বাবা দাদার দিকে তাকাল।
দাদা বলল, 'আমার এক বন্ধুর ভাই চাটার্ড অ্যাকাউনটেন্ট। খুব ভাল চাকরি করে। তোমরা যদি চাও তা হলে আমি তিতিরের ব্যাপারে কথা বলতে পারি।'
তিতির সোজা হয়ে বসল, 'আমার কী ব্যাপার?'
'নিশ্চয়ই বুঝতে পারছিস।' দাদা বলল।
বাবা বলল, 'ছেলে ভাল হলে কথা বলতে দোষ কী!'
মা বলল, 'ছেলে যে ভাল তা আজকাল বোঝা যায় না। বাড়িতে ভাল, পাড়ায় ভাল, অন্য
জায়গায় অন্য চেহারা হতেও পারে।'
দাদা বলল, 'তা হলে তো এগোনোই যায় না। মা, তুমি আজকাল প্রায়ই হতাশার কথা বলো।' তিতির বলল, 'ব্যাপারটা যখন আমাকে নিয়ে তখন আমি একটা কথা বলতে চাই। নিজের পায়ে না দাঁড়ালে আমি বিয়ে করব না।'
দাদা জিজ্ঞাসা করল, 'তা কবে সেদিনটা আসবে।' 'যে কোনওদিন। হয়তো আগামীকালই।' খাওয়া শেষ না করেই উঠে গেল। মা কিছু বলতে
যাচ্ছিল, বাবা বাধা দিল ইশারা করে। নিজের ঘরে গিয়ে জানলার সামনে দাঁড়াল তিতির। বাইরের অন্ধকার আকাশে কয়েকটা মাত্র.......

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।
Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

What a delightful story! 🌙 I loved how the conversation between Titir and his grandfather was so candid and realistic, highlighting the complexities of growing up and navigating life's uncertainties. The way the story wove in themes of responsibility, relationships, and self-discovery was truly engaging. Thank you for sharing this wonderful tale! ❤️

I also gave you a 0.22% upvote for the delegations you have made to us. Increase your delegations to get more valuable upvotes. Cheers! 🎉

Help Us Secure the Blockchain for You

Your vote matters! Support strong governance and secure operations by voting for our witnesses:

Get Involved

দাদা বলল, 'আমার এক বন্ধুর ভাই চাটার্ড অ্যাকাউনটেন্ট। খুব ভাল চাকরি করে। তোমরা যদি চাও তা হলে আমি তিতিরের ব্যাপারে কথা বলতে পারি।'
তিতির সোজা হয়ে বসল, 'আমার কী ব্যাপার?'
'নিশ্চয়ই বুঝতে পারছিস।' দাদা বলল।
বাবা বলল, 'ছেলে ভাল হলে কথা বলতে দোষ কী!'
মা বলল, 'ছেলে যে ভাল তা আজকাল বোঝা যায় না। বাড়িতে ভাল, পাড়ায় ভাল, অন্য
জায়গায় অন্য চেহারা হতেও পারে।'
দাদা বলল, 'তা হলে তো এগোনোই যায় না। মা, তুমি আজকাল প্রায়ই হতাশার কথা বলো।' তিতির বলল, 'ব্যাপারটা যখন আমাকে নিয়ে তখন আমি একটা কথা বলতে চাই। নিজের পায়ে না দাঁড়ালে আমি বিয়ে করব না।'
দাদা জিজ্ঞাসা করল, 'তা কবে সেদিনটা আসবে।' 'যে কোনওদিন। হয়তো আগামীকালই।' খাওয়া শেষ না করেই উঠে গেল। মা কিছু বলতে
যাচ্ছিল, বাবা বাধা দিল ইশারা করে। নিজের ঘরে গিয়ে জানলার সামনে দাঁড়াল তিতির। বাইরের অন্ধকার আকাশে কয়েকটা মাত্র তারা চক্কর দিচ্ছিল

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 80502.73
ETH 3190.86
USDT 1.00
SBD 2.77