ঐতিহ্যবাহী বলুহ মেলায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া। পর্ব ০৫

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
চলুন শুরু করা যাক পঞ্চম পর্ব,

যেহেতু মেলাটি অনেক বড় আকারে অনুষ্ঠিত হয় তাই আমরা অন্য সাইডে ঘুরার জন্য রাইডের সেই জায়গা থেকে বের হয়ে গেলাম। একেতো অনেক গরম তার উপর আবার উপচে পড়া দর্শনার্থীদের ভিড় এই গরম ও দর্শনার্থীদের ভিড়ের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে আমরা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু খাওয়া দাওয়া করব এবং বিশ্রাম নেব। বলুহ মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেক ব্যবসায়ীরা এসে তাদের দোকান সাজিয়ে বসেছে। অনেক ধরনের খাবারের দোকান ছিল। যেহেতু উন্মুক্ত জায়গায় মেলা। ধুলোবালি, মশা, মাছির একটা ব্যাপার থাকে তাই সকল খাবার খাওয়া যাবেনা এতে করে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। আমরা এই গরমে লেবুর শরবত ট্রাই করলাম।

আমরা দোকানীকে বললাম আমাদেরকে তিনটি লেবুর শরবত দিতে। অনেক ভিড় ছিল তাই লেবুর শরবত দিতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। দোকানী সিরিয়াল অনুযায়ী আগে আসা কাস্টমার গুলোকে শরবত বানিয়ে দিল। এরপর তিনি আমাদেরকে শরবত দিলেন। দোকানী আমাদের সামনেই তিনটি লেবু কেটে ওয়ান টাইম গ্লাসে শরবত বানিয়ে দিলেন। এই গরমের মধ্যে লেবুর শরবত খেয়ে আমাদের অনেক সতেজ লেগেছিল এবং সেই সাথে লেবুর শরবতটি চমৎকার ছিল। প্রিয় পাঠকগণ আপনারা যদি কখনো মেলায় যান তাহলে এই ধরনের লেবুর শরবত ট্রাই করে দেখতে পারেন। লেবুর শরবত খেতে খেতে আমরা তিন বন্ধু মিলে অনেক গল্প করলাম। এরপরে কোথায় যাওয়া যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। লেবুর শরবত খেয়ে এই গরমে ঠান্ডা হয়ে দোকানীকে বিল মিটিয়ে আমরা তিন বন্ধু অন্যদিকে ঘুরার জন্য আবার রওনা হলাম।

চলবে...
ইনশাআল্লাহ আবার দেখা হবে ষষ্ঠ পর্বে।

প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।