ঐতিহ্যবাহী বলুহ মেলায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া। পর্ব ০৩
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। ওকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
চলুন শুরু করা যাক তৃতীয় পর্ব,
আমরা তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে গল্প করতে করতে মেলায় পৌঁছে গেলাম। যেখানে মেলা হচ্ছে সেখানে পৌঁছানোর পর আমি তো পুরো অবাক হয়ে গেলাম। এত বড় মেলা 😱 এত লোকজন 😱। যেহেতু মেলা গাড়ি রাখার সমস্যা হবে তাই আমরা বুদ্ধি করে তিন বন্ধু একটি মোটরসাইকেল নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা আমাদের মোটরসাইকেলটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিং করলাম। যেখানে আমরা মোটরসাইকেলটি পার্কিং করেছি সেখানে আরো অনেক মোটরসাইকেল পার্কিং করা ছিল। প্রত্যেকটি মোটরসাইকেল পার্কিং করার জন্য ২০ টাকা করে তাদেরকে দিতে হয়েছে। মোটরসাইকেল পার্কিং করে আমরা মেলার দিকে এগোতে থাকলাম। মেলায় এত পরিমান দর্শনার্থীদের পদচারণা ছিল যা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়।
হাজরাখানা গ্রামের মধ্যে পীর বলুহ দেওয়ানের রওজা শরীফ সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার দুই ধারে এবং গ্রামের আশেপাশে ফাঁকা জায়গা জুড়ে সব জায়গায় ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। রাস্তার দুই ধারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ ব্যবসায়ীরা হরেক রকমের দোকান নিয়ে বসে ছিল। রাস্তার পাশে একটি দোকান দেখলাম সেখানে বিভিন্ন রকমের খেলনা সহ সাংসারিক জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন, বটি, কোদাল, ছুরি, দা, তাওয়া, পিঠা বানানোর জন্য বিভিন্ন সাচের পাত্র সহ বাচ্চাদের বিভিন্ন রকমের খেলনা নিয়ে বসেছিল এক দোকানি। পাশেই আরেকজন বিভিন্ন রকমের কসমেটিক্স আইটেম নিয়ে বসে ছিল।
আমরা তিন বন্ধু রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম আর এরকম আরো অনেক জিনিসপত্রের দোকান দেখছিলাম। এরপর আমরা তিন বন্ধু বিনোদন নিতে চলে গেলাম একটা রাইডে। সেখানে বিনোদনের জন্য কিছু রাইড ছিল। টিকিট কেটে সেখানে ঢুকতে হয়। আমরা তিন বন্ধু টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছি।
চলবে.....
ইনশাআল্লাহ আবার দেখা হবে চতুর্থ পর্বে।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.