কখনোই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত না.........
মুঠ ভরা অযুহাত নিয়ে থেমে আছে আমাদের আজকের সমাজের মানুষ গুলো। হবেনা পারবনা অনেক কঠিন আমার দ্বারা হবে না এমন অনেক অযুহাত দেখাই সবাই। এসব এর মাঝেই মানুষ হারিয়ে ফেলেছে নিজের সত্যা। আরে যদি থমাস আল্ভাইডিসন ১০০০ বার ব্যর্থ হওয়ার পর হাল ছেরে দিতেন? তাহলে কি আমরা আজকে হয়ত আমরা ইলেকট্রিক বাল্ব পেতাম না। বার বার ব্যর্থ হওয়ার পর ও তিনি কিন্তু হাল ছারেন নি । বরং প্রবল ইচ্ছা শক্তি নিয়ে চেস্টা করে গেছেন একের পর এক। এভাবেই তার জীবনে সফলতা আসে যা আমাদের জীবন কে করে তুলে অতুলনীও।
সমস্ত ইন্টারভিউতে বাদ পরার পর জ্যাকমা যদি নিজেকে অপদার্থ ভেবে হাল ছেড়ে দিত তাহলে আজ হয়ত চীন এর সেরা ধনি হতে পারতেন না। পারতেন না আলিবাবার মত প্রতিষ্ঠানের মালিক হতে।
চারিদিকে যতই প্রতিকুলতা থাকুক না কেন । যদি আপনার লক্ষ স্থির থাকে তাহলে কোনা বাধাই আপনাকে পরাযিত করতে পারবে না। কেমন হতো যদি আপনার নিজের কম্পানি থেকে আপনাকে তারিয়ে দেওয়া হত। কি অদ্ভুদ লাগলো না? লাগার ই কথা। কিন্তু অমন টাই হয়েছিলো স্টিভ জবস এর ক্ষেত্রে। কিন্তু কিছু মানুষ থাকে না যারা কখনো থেমে থাকার জনয় জন্মায় নি। কখনো হাল ছেড়ে দিতে চায় না। তিনিও তেমন ই ছিলেন। নিজের কম্পানি থেকে বিতারিত হওয়াটা তার জন্য ছিলো চরম অপমান জনক। কিন্তু তার পর কিছুদিন এর মধ্যেই তিনি তৈরী করে ফেললেন পিক্সার এনিমেশন স্টুডিও। যে স্টুডিও টি অর্জন করেছে বিশ্বের নামি দামি সব এওয়ার্ড।
দেখতে সুন্দর নয় উচ্চতায় ও কম। কিন্তু স্বপ্ন ছিলো ছবির অভিনেতা হওয়ার। বন্ধু বান্ধব রা তার এই রূপ নিয়ে না যত ঠাট্টা করত তার চেয়ে বেশি ঠাট্টা করতো তার ওই আজব ইচ্ছা নিয়ে। বলিউড এর কত পরিচালক তারে ফিরিয়ে দিয়েছিলো তার অই চেয়ারর জন্য। তিনি হয়ত এটাই ভাবতে পারতেন সবাই যখন বলছেন তাহলে সত্যি হয়ত আমি কিছুই হতে পারব না। কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেন নি। ২০১২ সালে ভারতের সেরা অভিনেতার খেতাব তার ঘারেই উঠে। বলছি নেওয়াজ সিদ্দিক এর কথা।
মরে গিয়ে কি কখনো বেচে উঠা যায়? যায় না। কিন্তু সেটাই করে দেখিয়েছেন হেল এলরড। ওনাকে ডক্টর রা বলে ছিলেন উনি নাকি কখনো সোজা হয়ে উঠে দাড়াতে পারবেন না। কিন্তু কি অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকলে এই মানুষ টি আলট্রা মেরাথন চ্যাম্পিয়ন হয়। এটা সম্ভব হয়েছে তার হাল না ছেড়ে দেওয়ার কারনে। তার ইচ্ছা শক্তি দিয়েই তিনি সবাই কে মুগ্ধ করে তুলে ছিলেন।
আব্রাহাম লিংকন কে চিনেন তো? যিনি আমেরিকার ১৬ তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এই মানুষ টির জীবনি পরলে শুধুই পাবেন পরাযয় এর গল্প হারানোর গল্প। এমন কি তিনি পর পর ৮ বার নির্বাচন এ হেরেছিলেন। কিন্তু তিনি কখনই ভেঙ্গে পরেন নি। হাল ছেরে দেন নি। যদি হাল ছেরে দিতেন তাহলে আমেরিকার সবচেয়ে সফলতম প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না।
বয়স যে কোন বাধা হতে পারে না সেটা করে দেখিয়ে ছিলেন বিল গেটস। মাত্র ১৭ বছর বয়সে। যখন কেও ঠিক করতে পারে না ভবিষ্যতে কি হবেন তখন বিল গেটস নিজের কম্পানি খুলেন। এর পর শুরু হয় উথান পতন। তার জীবনে এমন ও দিন এসেছে যে মাইক্রসফট বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েন নি। একদিন তিনি হয়ে গেলেন পৃথিবীর নাম্বার ১ ধনী।
তাই বলি সফলতা কখনো এমনি আসে নি। ব্যর্থতা দিয়েই এসেছে। কেউ ব্যর্থ না হয়ে সফল হতে পারেনি কখনো। ব্যররথতার মার প্যাচেই লুকিয়ে আছে সফলতা। যারা ব্যর্থতার কারনে হাল ছেরে দেয় তারা কখনো সফল হতে পারে না। সফল হয়ার জন্য চাই আদম্য ইচ্ছা শক্তি। তাহলেই জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
You got a 27.24% upvote from @upmewhale courtesy of @razu788!
Earn 100% earning payout by delegating SP to @upmewhale. Visit http://www.upmewhale.com for details!
Congratulations @razu788! You have completed the following achievement on the Steem blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
You published a post every day of the week
Click on the badge to view your Board of Honor.
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Do not miss the last post from @steemitboard:
Right/সঠিক