আসসালামু আলাইকুম!
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আমি শৈশবের জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। আমরা কমবেশি সকলেই কদমা,বাদশা,চিনির হাতি, ঘোড়া চিনে থাকি। আমাদের শৈশবের অনেক জনপ্রিয় খাবার ছিল এইগুলো। আমি আমাদের এলাকার মেলায় এই খাবারের দোকান দেখেছি। মেলায় আমি ৫ টি এই খাবারের দোকান বসতে দেখেছি। এই দোকানের কাস্টমার হলো ছোট শিশুরা। অনেক প্রাচীন কাল থেকে আমাদের এলাকায় এই খাবারের প্রচলন আছে।আমার বাড়ির পাশে হাবড়া জমিদার বাড়িতে বানানো হয়ে থাকে এমন ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো।
বর্তমানে সময়ের সাথে এই খাবারের দাম গুলোও বেড়ে গিয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য হাতি,ঘোড়া ৩০০ টাকা কেজি, বাতাসা ৩৫০ টাকা কেজি, কদমা ৩০০ টাকা কেজি এবং সানার মিষ্টি ২৮০ টাকা কেজি। আমি সানার মিষ্টি ক্রয় করেছিলাম। অন্যান্য জায়গাতে এই খাবার গুলো হয়তো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো হয় কিন্তু আমাদের এলাকায় অনেক যত্ন সহকারে বানানো হয় এই ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো। আগেকার দিনে এই খাবার গুলোর ব্যাপক প্রচলন ছিল কিন্তু বর্তমানে এই খাবার গুলো প্রায় অপরিচিত হয়ে গিয়েছে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUtLsiZAu5wVgYf2EG4wHV9StkwYv7xwBzvPti655bFNt/020240525_171400284__storage_emulated__Gcam_Configs8.4_Dslr.zip.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUm1M5pJ9aTWLYsVMsg36j4HQCi5FntJaWqxNRii5z9vn/020240525_171652562__storage_emulated__Gcam_Configs8.4_Dslr.zip.jpg)
নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা এখনো এই খাবার গুলো খায়। কিন্তু উচ্চবিত্ত পরিবারের শিশুরা এই খাবার গুলোকে চিনে না। এই সবগুলো খাবার বানানো হয়ে থাকে চিনি দিয়ে। আমি এই খাবার গুলো বানানো দেখেছি যে ভাবে বানানো হয় তার কিছু বর্ণনা হলো: প্রথমেই চিনিকে অনেক গাড় করে রস বানানো হয়ে থাকে তারপর এই চিনিতে মসদা মিশিয়ে রূপ দেওয়া হয় বিভিন্ন খাবারের। অনেকেই এই সিরা থেকেই সরাসরি হাতি,ঘোড়ার সাচে ঢেলে দিয়ে বানায় এই খাবার। বর্তমানে এই খাবার বানানোর কারিগরের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। নতুন করে আর এই ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো কেউ বানানো শিখে না। এই খাবারের সাথে আমার ছোট বেলার কিছু স্মৃতি জড়িত আছে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmc72URTo7bdJRb1LCNvHFEvVEDSVFdcgmUfBuPenoPx77/020240525_171402681__storage_emulated__Gcam_Configs8.4_Dslr.zip.jpg) |
আমাদের গ্রামে ভ্যানে করে একজন বৃদ্ধ বাতাসা বিক্রি করতো আমি তার কাছে থেকে নিয়মিত বাতাসা ক্রয় করতাম। যখন আমার কাছে টাকা থাকতো না তখন আমি বাসা থেকে চাল বা ধান দিয়ে কিনে খাইতাম। এই চাল দিয়ে বাতাসা খাওয়ার কারনে আমাকে অনেকবার বাবার কাছে থেকে মার খেতে হয়েছে। জমিতে ধান আনতে গেলে আমি সেখান থেকেও ধান দিয়ে বাতাসা কিনে খেতাম। আমার অনেক সুন্দর স্মৃতি অতিক্রম করেছি এই বাতাসার সাথে। আমি নিজেও অনেকদিন পরে এই বাতাসার দোকান দেখতে পেয়েছি মেলায়। আগে সাধারণত ধর্মীয় সভা গুলোতে দেখতে পাওয়া যেতো কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় না।
এই খাবার গুলোর ছবি তোলার পর থেকেই আপনাদের সাথে এই খাবার সম্পর্কে লিখতে মন চাইতেছিল তাই আজকে লিখে ফেলনাম। শহরের অনেকের কাছেই এই খাবারটি অপরিচিত মনে হবে। আজকে এখানেই শেষ করতেছি। সকলের সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
Support @pennsif and @pennsif.witness for the growth of this creative platform. Vote for @pennsif.witness here
X-share
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on 🧵"X"🧵 by the account josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 1/8) Get profit votes with @tipU :)
I always enjoy your posts. Kodma and batasa are both yummy food. Thanks for sharing friend
Thanks for your comment bro