কক্সবাজারের বিচিত্রময় প্রাণী পর্ব দুই
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনেকগুলো বিচিত্রময় প্রাণী আছে যেগুলো হয়তোবা আমরা এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেনি। শুধু কক্সবাজার নয় বিশ্বে যতগুলো সমুদ্র সৈকত আছে প্রত্যেকটা সমুদ্রের মধ্যে এরকম অগণিত অনেক প্রাণী রয়েছে যা আমরা এখনো পর্যন্ত চোখে দেখিনি কিংবা আবিষ্কার করতে পারিনি। কক্সবাজার সেন্টমার্টিন সহ সমুদ্রের তীরে বিভিন্ন রকমের শামুক ও ঝিনুক দেখতে পাওয়া যায়। এই শামুক গুলো দেখতে এক একটা এক এক রকম এবং প্রত্যেকটা দেখতে চমৎকার। একটি ঝিনুকের ডিজাইনের সাথে অন্য একটি ঝিনুকের ডিজাইন সম্পুন্ন ব্যতিক্রম। এইরকম নিপুন কারোকাজ মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারো পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নয়।কিন্তু সমুদ্রের তীরে সুন্দর কোন শামুক কিংবা ঝিনুক দেখলে আমাদের সতর্কতার সাথে সেগুলোকে ধরতে হবে। কারণ যে জিনিসটা যত বেশি সুন্দর সেই জিনিসটার মধ্যে ততটাই পিস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন আমরা বিচিত্রময় অনেক সাপ দেখতে পায় যেগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। এসব গুলো দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমন কিন্তু বিষাক্ত।
গতবার একটা লেখাই আপনাদেরকে সামুদ্রিক একটি বিচিত্রময় প্রাণী তারা মাছ সম্পর্কে আপনাদের জানিয়েছিলাম। সেই সাথে সামুদ্রিক কিছু ঝিনুকের কথা বলেছিলাম।
সামুদ্রিক ঝিনুকের পাশাপাশি সমুদ্রে অনেকগুলো শামুক রয়েছে। আমরা সাধারণত আমাদের বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন রকমের শামুক দেখতে পাই এবং পুকুরের মধ্যে কিছু শামুক দেখতে পাই। পুকুর এবং আমাদের বাড়ির আশেপাশে যে শামুক গুলো আছে ওগুলো দেখতে অনেকটা একই রকম এবং এগুলো কিন্তু খুব একটা সুন্দর না। কিন্তু সমুদ্রে যতগুলো শামুক রয়েছে প্রত্যেকটা দেখতে একটার চেয়ে একটা চমৎকার। আমাদের বাড়ির আঙিনার পাশে যে শামুক গুলো রয়েছে সেগুলো দেখতে যেমন কুৎসিত ঠিক তার বিপরীত সামুদ্রিক শামুক গুলো। এই শামুক গুলো এক একটা দেখতে এক এক রকম এবং খুবই সুন্দর এদের শারীরিক গঠন। ছোট সাইজের থেকে শুরু করে মোটামুটি বড় সাইজের শামুক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক শামুক গুলোকে আবার স্থানীয়রা বিভিন্ন রকমের নাম দিয়েছে। এর মধ্যে যে শামুকটি সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় সেটা হল চিতা শামুক। কারণ এই শামুকের গায়ে অনেকটা চিতাবাঘের মত ফুটফুটে।
সামুদ্রিক এই শামুক গুলোকে বিভিন্ন ডিজাইন করে কেটে আরটিফিশিয়াল আরো কিছু জিনিস এড করে এগুলোকে সুন্দর সুন্দর গহনা তৈরি করা যায়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের এই শামুকের ডিজাইন করা বিভিন্ন রকমের মালা পাওয়া যায়। এছাড়া ছোট সাইজের যে শামুক গুলো রয়েছে এই শামুক গুলো দিয়ে চাবির রিং তৈরি করা হয়। কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে আসা পর্যন্ত পড়া তাদের প্রিয়জনের নাম এই শামুকের উপর খোদাই করে নিয়ে যায় এবং তাদের প্রিয়জনকে উপহার হিসেবে দেয়।বড় সাইজের যে শামুক গুলো রয়েছে সেই শামুক গুলোর মধ্যে সবাই তাদের পরিবারের নাম একত্রিত করে লেখে নিয়ে যায়। অনেকে তাদের বিবাহের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য শামুকের মধ্যে তাদের নাম এবং বিয়ের তারিখ লিখে নিয়ে যায়। এই শামুক গুলো অনেক বছর পর্যন্ত টিকে থাকে তাই সুন্দর শোপিস হিসেবে শামুক গুলোকে ব্যবহার করা হয়।
এক কথায় বলতে গেলে সমুদ্র সৈকতের রহস্যের কোন শেষ নেই এই সমুদ্র সৈকত আমাদের সকলের জীবিকার একটা গুরুত্বপূর্ণ উৎস।তাই সমুদ্র সৈকতের প্রত্যেকটা অংশকে সুন্দর এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য।
আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 0/8) Get profit votes with @tipU :)
Thanks for vote