কন্টেস্ট - আমার জীবনের প্রেম কাহিনী

in STEEM FOR TRADITIONN7 months ago

আজ মঙ্গলবার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় স্টিম বাসি সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। স্টিম ফর ট্রেডিশনে আপনাদেরকে স্বাগতম। ধন্যবাদ জানাই এডমিন এবং মেডারেটরদের এতো সুন্দর একটি কন্টেস্ট এর আয়োজন করার জন্য। আপনার জীবনের প্রেম কাহিনী সেটা হোক ব্যর্থতার কিংবা সফলতার, তাই আজ আমি আমার জীবনের প্রেম কাহিনী আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলেন শুরু করি।

IMG_20230423_181823_752.jpg
❤️আমার জীবনে প্রেম কাহিনী❤️

আমার নাম আসলাম আরফিন, আমি আমার জীবনের প্রথম প্রেম প্রথম ভালোবাসা সম্পর্কে বলতে চলেছি, তখন এইচ এস সি পরিক্ষা দিয়েছি, তাই পড়াশোনার কোনো চাপ নাই, বাড়িতেই সময় কাটাই, এর মধ্যে আমার ফুফাতো ভাই এর ঔষধ এর দোকান আছে, তাই ভাই বললো তার দোকান এ সময় দেওয়ার জন্য, যেহেতু পড়াশোনা নাই তাই ভাই এর দোকান এ সময় দিচ্ছি। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দোকান এ বসি, দেখতে দেখতে অনেক দিন হয়ে গেলো। রেজাল্ট হলো তারপর অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি হলাম। মাঝে মাঝে ক্লাস করতে যাই আর বাকি সময় দোকান করি, আমার ভাই এর মোটরসাইকেল ছিলো, তবে সে চালাতো না সব সময় আমার দখলেই থাকতো, দোকানটা যেহেতু বাজারে বাজারের অপর পাশে হাই স্কুল, মির্জাপুর হাতেম আলী বি এল উচ্চ বিদ্যালয়। সেই স্কুলে বিদায় অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমার এক কাছের বড় ভাই সেই স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক, ওই ভাই আমাকে দাওয়াত দিয়েছিলো তার স্কুলে যাওয়ার জন্য, এক ছোট ভাই বললো চলেন ভাই স্কুলে যাই, তার সাথে স্কুলে গেলাম, স্কুলে ঢুকতেই গেট এ নজর গেলো একটি মেয়ে পাউরুটি খাচ্ছে, এবং হাসি মুখে সবার সাথে কথা বলছে, এতোটা ভালো লাগলো যা বলে প্রকাশ করতে পারছি না।

🌹🌼আমার ভালো লাগা শুরু🌼🌹

সেই থেকে ভালো লাগা শুরু, আগে কখনো আমার এমন হয় নাই, মেয়েটার নাম জানার জন্য চেষ্টা করলাম, নাম ঈশিতা , সদ্য ক্লাস নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। অনেক ভালো স্টুডেন্ট। এসব খোঁজ খবর পেলাম। তো আমার তাকে দেখার অনেক ইচ্ছে হয়। তাই আমি চলে যাই স্কুল ছুটি হলেই তার স্কুল এর পাশে।এভাবে অনেক দিন গেলাম। বসে আছি একদিন, দেখছি ও আসতাছে মনের ভিতর তখন ভয় কাজ করছে, অনেক সাহস সঞ্চয় করে জিজ্ঞেস করলাম, কেমন আছো, ও বললো ভালো কে আপনি? আমিতো অভাগ এতো দিন পর ও কি বলে এসব। আমাকে চিনে না।

Picsart_23-09-18_22-22-59-386.jpg

তারপরও প্রতিদিন আমি তার স্কুল ছুটির আধা ঘন্টা আগে গিয়ে বসে থাকতাম তার স্কুলের সামনে। তাকে উপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখতাম। তাকে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগতো মনটাই শান্তি হয়ে যেতো। একে একে কয়েকদিন যাওয়ার পরে যেন এক নেশায় পরিণত হয়ে গেলো । প্রতিদিন তাকে না দেখলে আমার দিনই কাটতো না ।তারপর আমি একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। তাকে আমি আমার ফোন নাম্বার দেব তারপর আমি একটা কলম বক্সে সুন্দরভাবে প্যাকেট করে সাথে ফোন নাম্বারও দেওয়ার জন্য গেলাম সাথে আমার এক বন্ধুকে নিয়ে, কিন্তুু ওই মেয়েটা আমার গিফট টা নিতে চাচ্ছে না, আমি বললাম তুমি যদি না নাও তাহলে আমি তোমার পিছনে পিছনে যাবো। তাও নিতে রাজি না, আমি বাধ্য হয়ে দিয়ে দিলাম ওর ব্যাগে বললাম ফোন নাম্বার আছে পারলে ফোন দিও কিছু কথা বলবো, তারপর থেকে আর আসবো না তোমার পিছনে।

IMG_20230423_181829_268.jpg
😶‍🌫️অপেক্ষা 😶‍🌫️

পরদিন থেকে আমার অপেক্ষা শুরু, তার জন্য সে কখন ফোন দিবে। তখন রমজান মাস ছিলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তার জন্য অপেক্ষা করি। কখন তার ফোন আসবে, মোনাজাতে শুধু তার ই নাম, দিন যাচ্ছে কিন্তুু ফোন আসে না। যে কোনো নাম্বার থেকে মিস কল আসলেই চমকে উঠি, ও মনে হয় ফোন দিছে, মেসেজ আসলেই দৌড়ে ফোন এর কাছে যেতাম কিন্তুু ফোন বা মেসেজ কিছু আসতো না।

IMG_20230418_011714_928.jpg

আমি নামাজ পড়ি আর আল্লাহর কাছে দোয়া করি, দেখতে দেখতে ১৫ দিন চলে গেলো। তারপর তারাবি নামাজ আদায় করে আসতাছি তখন একটা ফোন আসলো, আমি সাথে সাথেই রিসিভ করলাম, ও পাশ থেকে ভেসে আসলো কেমন আছেন ভাইয়া!!! আর আপনি কি জেনো বলতে চাইছিলেন বলেন। আমি তার এবং তার পরিবারের খোঁজ খরব নিলাম, এবং ও ভাবছে আমি ওর বান্ধবীর কথা বলবো কারণ ২ বান্ধবী একসাথে স্কুলে আসে। ও বললো ভাইয়া আমার বান্ধবীর কথা কিছু বলবেন নাকি। আমি বললাম না, আমার তো তোমাকে ভালো লেগে গেছে, তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। জানিনা কি করবো, আমার কল্পনাতে, আমার বাস্তবতায় তোমাকেই ভালোবাসি। ও কোনো কথা না বলে ফোন কেটে দিলো। আমি তো হতাশ হয়ে গেলাম।

Picsart_23-09-18_19-53-33-661.jpg

তারপর ও যে নাম্বার থেকে আমাকে ফোন দিছিলো সেই নাম্বারে আমি মেসেজ দিতাম প্রায় পতিদিন। কিন্তুু কোনো প্রকার ফিটব্যাগ আসে না। আমার অপেক্ষা শেষ হয়। মাঝে মাঝে ওর স্কুলের পাশে গিয়ে দূর থেকে দেখে আসতাম। অপেক্ষা সব সময় যন্ত্রণাদায়ক। মাস খানেক চলে গেছে কোনো কথা নাই, তার সাথে। আমার দোকানের পাশে আমার বন্ধুর মোবাইল সার্ভিসের দোকান, একদিন ওর বান্ধবীর ভাই তাদের মোবাইল সার্ভিস করতে আসলো সেই মোবাইল ঠিক করে আমার বন্ধু আর আমি সমস্ত মোবাইল খুঁজে ওদের নাম্বার পেলাম। এবং স্কলে তুলা ছবি ছিলো একটা ছবি চুরি করলাম। তারপর দিন একটা মেসেজ দিলাম, কোনো খবর নেই, পর দিন আবার দিলাম তাও খবর নাই, এভাবে আবার টানা কয়দিন দিলাম। তারপর একদিন কল দিলাম রাতে ও ফোন রিসিপ করলো। বাড়িতে শুধু ওর মা আর ও থাকতো ওর বাবা সরকারি চাকুরি করে সেই সুবাদে দূরে থাকতে হয়। আর ওর ছোট ভাই মাদ্রাসায় থাকে। ওরা এক ভাই এক বোন। ওর মা ঘুমিয়ে গিয়েছিল ও পড়তে ছিলো, সেজন্য ফোনটা রিসিভ করলো। আমি আমার মনের ভাব গুলো তার কাছে প্রকাশ করলাম। বুঝিয়ে বললাম অনেক কিছু, তাকে ছাড়া আমি একদম নিঃস্ব হয়ে যাবে এটা বোঝানোর চেষ্টা করলাম। ও একটু একটু রাজি তখন । তখন মনে হল আমি পৃথিবীর চেষ্টা সুখী।

🥰আমাদের প্রেম শুরু 🥰

ও রাজি হলো, মাঝে মধ্যে লুকিয়ে কথা হয়। কিন্তুু আমরা কখনো দেখা করতাম না। ওর মার ফোন দিয়ে কথা হতো। ওর বাবা যখন ছুটিতে আসতো তখন আর আমাদের কথা হতো না। তখন অনেক কষ্টে দিন পার হতো, হয়তো প্রথম প্রেমের অনুভূতিটা অন্যরকম হয়। জীবনে প্রথম কোনো মেয়েকে যে এতটা ভালোবাসা যায় সেটা আগে জানতাম না । আমাদের কথা চলছে দুজন আমরা পৃথিবীর সুখী মানুষ। দেখতে দেখতে ও এসএসসি পরীক্ষা দিবে। ওর ফরম ফিলাপ হয়ে গেলো। ও এসএসসি পরীক্ষা দিলো। এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর। ওদের পরিবার থেকে কেমন করে জানি জানতে পারলো আমাদের সম্পর্কের কথা। ওর বাবা ছুটিতে আসলো। ছুটিতে আসার পর ওকে জিগ্যেস করলো ও ভয়ে চুপ ছিলো। ওর বাবা সিদ্ধান্ত নিলো ওরে বিয়ে দিয়ে দিবে। ওই যে বললাম ওর বাবা আসলে আমার সাথে ওর যোগাযোগ হতো না। ওর বাবা আসছে আমার সাথে ওর সাথে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে না।

💔কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা💔

বিষয় টা জানার পর থেকে ওর বাবা পাত্র দেখা শুরু করে দিয়েছে। সে বাড়িতে থাকে না তাই তাকে বিয়ে দিয়ে দিবে। ও আমাকে একদিন ফোন করে বললো তার জন্য পাত্র দেখছে, কথাটা শুনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। পায়ের নিচে থেকে আমার মাটি চলে গেলো, ও বললো কি করার করো। পাগলের মতো হয়ে গেলাম, এদিকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছি, চাকরি হচ্ছে না।

Picsart_23-09-19_09-28-04-354.jpg

ও মাঝে মাঝে ফোন করে বলে কি করছি আমি, তারপর ওর বাবা লোক দিয়ে আমাকে ওর পথ থেকে সরে যেতে বলে। আমি মরতে রাজি তবে তাকে ছাড়তে নয়। জীবনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি, ও আমাকে ফোন করে বলে তুমি বেকার তাতে আমার সমস্যা নেই, যদি কখনো ওর পরিবারের চাপে আমাকে ভুলে যেতে হলেও আমি যেনো তাকে না ভুলে যাই। ও ওর বাবাকে বললো আরো পড়াশোনা করবে, অনেক কান্নাকাটি করে, পরে ওর বাবা রাজি হয় ওরে পড়াশোনা করাতে, কিন্তুু এখানে রাখবে না বাসায় নিয়ে যাবে ওর পুরো পরিবার। আমি তখন পাগল প্রায়। ও অনেক বুদ্ধিমান মেয়ে। পড়াশোনা করে ও নিজে চাকরি করবে তবুও আমার মতো বেকার কে ছাড়বে না। আমি ওর জীবনে প্রথম এবং শেষ এটা জানিয়ে দেয়। শেষে ওরা চলে যায় শহরের বাসায়। এদিকে আমি নেশায় আসক্ত হতে থাকি।

received_297590158540868_1.webp

যে ছেলেটা সিগারেট ধরতে ভয় পেতো, সিগারেট এর ধোয়া সহ্য করতে পারতো না, সে ছেলেটা এখন সিগারেট এ আসক্ত। ছয় মাস তার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। আমি একদম পাগল হয়ে গিয়েছি, ও ওর বাবার চাকরির সুবাদে রাঙ্গামাটিতে অবস্থান করছে, কিন্তু দুইজন দুই জায়গাতে থাকা অবস্থায়ও কেউ কাউকে এক মুহূর্তের জন্য ভুলি নাই। আমার অবস্থা খুবই খারাপ দেখে আমার বাবা ওর বাবার সাথে যোগাযোগ করতে বাধ্য হলো, ওর বাবা আমার সাথে বিয়ে দিবে না সাফ সাফ না করে দিলো। ছয় মাস পর ও আমাকে ফোন দিলো। বললো চিন্তা করো না, আমি তোমার আছি সারাজীবন তোমার হয়ে থাকবো, দুনিয়ার কেউ আমাদেরকে আলাদা করতে পারবে না একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া। আমি ভরসা পেলাম। মনে হলো নতুন সূর্য ওঠলো।

🌱দুজনের এক হওয়ার প্রচেষ্টা🌱

ওর কথায় সাহস পেয়ে জীবনকে নতুন করে সাজাতে শুরু করলাম, চাকরির জন্য ছুটে চললাম, ১০ টার মতো পরিক্ষা দিলাম। চাকরি হচ্ছে না, হতাশায় শেষ হয়ে যাচ্ছি, ওরে ভালো করে পড়াশোনা করতে বললাম, জীবনে যা আছে হবে তবো একজন আরেক জনকে ছেড়ে যাবো না।

IMG20191202130908~2.jpg

আমি বেকার তবো সে আমার পাশেই আছে, কখনো আমার বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে নাই। শূন্য পকেটে আমার পাশে আছে এবং সব সময় থাকার প্রতিজ্ঞা আবদ্ধ। অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে সে এক মুহূর্তের জন্য পিছু হাটে নাই। আমার জন্য তার পরিবারের মার পযন্ত সহ্য করছে। বাপের চোখে চোখ রেখে কথা বলেছে, তবো সে আমায় ছাড়ে নাই। একদিন বিকাল বেলা আমি বসে আছি দোকানে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস চলছে, তখন আমার চাকরির রেজাল্ট পেলাম। বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরি হয়েছে। শুনে এবং রেজাল্ট দেখে দুচোখ জল চলে আসলো। কান্না করে দিলাম, তখন ওরে ফোন দিয়ে বললাম, বেলা শুনছো চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি। ও শুনে কান্না করে দিলো এ যেনো সুখের কান্না। আমি চাকরিতে যোগদান করলাম ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে। কয়েকমাস চলে গেলো, দুজনের চোখে মুখে আশার আলো। এখন শুরু হলো আরেক বিপদ, চাকরি হওয়ার পর ও ২ পরিবার যেনো মানছে না। আমার পরিবার ও এখন রাজি না ওর পরিবার ও রাজি না। এবার শুরু হলো আবার সংগ্রাম। আমি আমার পরিবারকে বোঝাতে চেষ্টা করছি, ও ওর পরিবারকে।

IMG_20230423_144635_310.jpg

অনেক যুদ্ধ করার পর সবাই রাজি হলো, তারপর আমরা যেনো যুদ্ধ জয় করলাম।

❤️❤️তাকে আমার করে পাওয়া❤️❤️

অনেক সাধনার পর যেনো ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে চলছে। তবে ওর বাবা শর্ত জুড়ে দিলো, ও ইন্টারপাস করার পর বিয়ে হবে আমাদের, একে অপরের সাথে কথা বলতে পারবো, কিন্তুু দেখা করতে পারবো না, এবং বেশি কথা বলা যাবে না। আমার পরিবার তাতে রাজি হয়ে গেলো।

Picsart_23-09-18_22-26-30-328.jpg

আমি কিছুদিন চাকরি করার পর ছুটি নিয়ে বাড়ি গেলাম। ওরা রাঙ্গামাটি থেকে এসে পড়েছে কারণ তর বাবার পোস্টিং হয়ে গেছে বরিশালে। আমি ওর নানি বাড়ি গেলাম ওর সাথে দেখা করতে, ওর মা এবং নানির সাথে কথা বলছি সে কখন যে আমার হোন্ডার সামনে গিয়ে ছবি তুলেছে সেটা দেখি নাই। তারপর তাকে এক নজর দেখে চলে আসলাম। তারপর ছুটি থেকে চাকরিতে চলে আসলাম, চাকরি করছি ও ওর মতো পড়াশোনা করছে দেখতে দেখতে চলে আসলো ওর এইচএস সি পরিক্ষা। তারপর ও পরিক্ষা দিলো। পরিক্ষা শেষ হলেই তাকে আপন করে পাওয়া।

অপেক্ষার পালা শেষ 😊

তাকে পেয়ে গেলাম চিরদিনের জন্য। সমস্ত ভালোবাসা আমার পূর্ণতা পেলো। কাছের মানুষকে পাওয়াটা যে কতটা সৌভাগ্যের তা আমার কখনো জানা ছিল না। অনেক দুঃখ কষ্ট অনেক স্ট্রাগল করে আমরা একে অপরকেও পেয়ে গেছি।

IMG_20230815_163334_543.jpg

যদি পাওয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে কেউ হাড়াতে পারে না। একজন একজনের প্রতি বিশ্বাস আমাদের কে একত্রিত করতে অনেক সহায়তা করেছে। ছেড়ে যাওয়ার হলে কোন কারণ লাগে না, অকারনেই চলে যাওয়া যায়। আর থাকার ইচ্ছে থাকলে, হাজার বাধা অতিক্রম করেও থাকা যায়। শূন্য পকেটে আমার পূর্ণতা ছিলো। পারিবারিক ভাবেই আমাদের বিয়েটা হলো, বেকারত্ব জীবনে যেনারী পাশে থাকে, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেই নারী স্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখে। সে আমার ভরসা, সাপোর্ট দেওয়ার জন্য উত্তম শুভাকাঙ্ক্ষী। বিয়ের পরে আমাদের তুলা প্রথম ছবি।

Picsart_23-09-18_19-54-59-001.jpg

সে সব সময় সাদাসিধা থাকতে বেশি পছন্দ করে, কারণ সে আগে থেকেই এমন। তাকে না পেলে হয়তো জীবনটা অপূর্ণতায় থেকে যেতো, হয়তো হয়ে যেতাম মনির খান, কিন্তুু সে আমাকে মনির খান বা, দেবদাশ হতে দেয় নাই। আলহামদুলিল্লাহ সে আমার, সে ডাল ভাতেই সন্তুুষ্ট। আমার সমস্ত স্বাধীনতায় কেনো হস্তক্ষেপ নেই তার। তাকে নিয়ে ভালো আছি। সবাই দোয়া করবেন আমরা যেনো সাড়া জীবন একে অপরের পরিপূরক হয়ে বেঁচে থাকতে পারি।

Picsart_23-09-18_19-51-37-508.jpg

আমার বেঁচে থাকার প্রার্থনাতে বৃদ্ধ হতে চাই তোমার সাথে।


এই ছিলো আমাদের প্রেম কাহিনী। তবে একটি কথা চাইলেই ভালোবাসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব। না পাওয়ার অজুহাত সে তো বাহানা মাত্র।

এই প্রতিযোগিতায় আমি আমার ৩ জন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @fredkese, @sanaula, & @kolkamkwan

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
মোবাইল সংক্রান্ত তথ্যঃ
মোবাইলTECNO CAMON 16 PRO
ধরণআমাদের প্রেম কাহিনী
ক্যামেরা৬৪ মেগাপিক্সেল
ফটোগ্রাফার@aslamarfin
অবস্থানসৈয়দপুর, নীলফামারী।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 7 months ago 

বাহ ভাইয়া আপনি দারুন একটি স্টোরি শেয়ার করেছেন। আপনাদের ভালবাসার গল্পটি সত্যিই খুবই সুন্দর। ভালোবাসায় সুখ থাকে পাশাপাশি দুঃখ থাকে। অনেককেই অনেক সংগ্রাম করে জয়লাভ করতে হয়।অবশেষে আপনি তাকে পেয়েছেন এটা জেনে খুশি হলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।

 7 months ago 

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 7 months ago 

আপনি একজন সফল প্রেমিক ভাই। আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষ কে পেয়ে অনেক সুন্দর জীবন পার করছেন।আমি আপনার গল্প শুনে বেশ চমৎকার অনুভূতি পেলাম।আপনার সাথে ভাবি এভাবে সারাজীবন যেন থাকে এই আশা করি।ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটা গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 7 months ago 

ধন্যবাদ ভাই

এটা কি বাসর ঘরের খাট নাকি ভাই৷
32FTXiZsHoAW6noHJDhrg3W8ZKHVFSsLYM859aTDCF8iErGiVuf3gNtsdUFwCSyz7nfsRCh7iH3C56SF2wWww7cUVzD5jfxvYRj1q6GCsHZCgHusuzYyQdTck5hGxw8B5aQVn5mydPe8vb2E.jpeg

এই ছবি দেখে আমার ১৯৭১ সালের কথা মনে পরে গেলো 🙂

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScWWCCqdD8vU1LG1hqfCjvsSzqAvM3ZRjgjzd3ALJHSLYZTT2ejuL5wK3rR9uHp3KfEnqwscBpEk4X3zmjogH3HPwZckA66bubCa99bcp6uc.jpeg

মেলা পরিশ্রম করে আপন জনকে পাইছো। আর আমি সহজে পেয়ে অবহেলা করতাম। তাই আমার পরণতি ভালো হয়নি।

 7 months ago 

ভাই🤭

A deep love story Thank you for the invitation.

 7 months ago 

thank you so much

 7 months ago 
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

 7 months ago 

আপনার প্রেম কাহিনীটি আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। ঠিক বলেছেন ভাইয়া কয়েক দিন দেখার পর প্রিয় মানুষটাকে দেখা একটা নেশা হয়ে দাঁড়ায়। আর প্রতিটা প্রেমেই এরকম খারাপ সময় থাকে এবং সেই সময় গুলো দুজন মিলে পাড়ি দিতে। একজন অন্যজনের হাত ছেড়ে দিলে কেন এই প্রেমের সমাপ্তি ঘটে। আপনার প্রেমটি সফল হওয়ায় আমার খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আর আপনি একটি বাস্তব কথা বলেছেন মানুষ চাইলেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারে। চলে যাওয়াটা শুধুমাত্র বাহানা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি প্রেম কাহিনী উপহার দেওয়ার জন্য।

 7 months ago 

ধন্যবাদ ভাই

 7 months ago 

১০০% পড়া শেষ দাদু। আমার প্রথম প্রশ্ন' আপনি কি সিগারেট খেয়েছিলেন? ভালোবাসা সবসময় সুন্দর হয়। প্রিয় মানুষকে যে দেখার একটা অনুভূতি এইটা হয়ত আপনার থেকে কেউ ভালোভাবে বুঝতে পারবে না। কাউকে পাওয়ার আশা থাকলে পরিবার থেকে যতই বিয়ের প্রস্তাব আসুক না কেনো তা ওভারটেক করা সম্ভব। আপনার গল্প আসলে আরো কয়েকজনের পড়া উচিত। আমি মনে করি দাদির আরো দুই থেকে তিনটা বোন থাকা দরকার ছিলো। আপনাদের জন্য মন থেকে দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।আপনি ফোনের মনের ভাব প্রকাশ করতে পেরেছিলেন কিন্তু আমার মুখ দিয়ে কোনো কথাই বাহির হয় না😀। খাসি কেনার জন্য আমি প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন বাকি কাজ আপনি করেন ভাই।

 7 months ago 

আশাকরি তোমার ভালোবাসা সে বুঝবে,যাও তোমাকে উৎসর্গ করলাম। সে বোঝে যেনো চাইলেই পাশাপাশি থাকা সম্ভব

 7 months ago 

😊💔

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 59856.14
ETH 2986.21
USDT 1.00
SBD 3.63