THE DIARY GAME : DATE (04/08/2020): আজকের কথা সমূহ
আর দশটা সকালের মতোই আজকের সকালটা শুরু।
৭ টা ৩০ মিনিটে কষ্ট করে ঘুম থেকে উঠলাম ফ্রেশ হতে যাচ্ছি।
একদিকে যেমন ঘুম ঘুম ভাব, অন্যদিকে ক্লান্ত লাগছে নিজেকে।
হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হলাম, একটু হাঁটাহাঁটি করতে যাবো। তবে এটাকে শুদ্ধ ইংরেজিতে জগিং বলা হয়।
তবে আমাদের এখানে অবশ্য আঞ্চলিক ভাষাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়।
যেখানে যেমন চলে আরকি। একটা ভাব সম্প্রসারণ পড়েছিলাম মাধ্যমিকে,
"বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতোক্রোড়ে " এটার অর্থ এই দাড়ায় যে, স্থান কাল পাত্রভেদে যেটা যেখানে থাকার সেটা সেখানেই মানানসই।
জোড়করে যদি পরিবর্তন করা আর হয় তাহলে সেটার সৌন্দর্য বিকশিত হয় না।
তাই যার যার অবস্থান ভেদে সেটা সেখানেই রাখা ভালো।
তাহলে সে তার সৌন্দর্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।
অনেকটা সময় ধরে হাঁটাহাঁটি করলাম, প্রতিদিনের অভ্যাস। সকাল সকাল উঠে এটা করলে শরীরের জন্য উপকার।
তবে দেরিতে উঠে ব্যায়াম করলেও ক্ষতি নেই, এটা শরীর সক্রিয় রাখে।
দু ঘন্টা শরীরচর্চা করার পর রুমে ফিরে গেলাম।
প্রায় ৯ টা বেজে ৩০ মিনিটে নাস্তা করলাম। নাস্তায় বেশি কিছু খাওয়া হয় নি, চা আর মুড়ি ভাজা খেলাম।
তেলে ভাজা জিনিস অবশ্য শরীরের জন্য খারাপ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
তবে এখানকার লোকজন সেটা মানতে নারাজ। অবশ্য ভোজনপ্রিয় মানুষ হলে যা হয় আরকি।
আগে খাওয়া দাওয়া তারপর যা হয় হোক এই হচ্ছে নীতি।
নাস্তা শেষে পত্রিকা টা একটু দেখে নিলাম। পত্রিকা বলতে জাতীয় পত্রিকাই। যুগান্তর পতাকা টা বের করলাম।
আমি অবশ্য লোকাল পত্রিকা গুলো বেশি পড়ি। লোকাল পত্রিকার মধ্যে অন্যতম গুলো হচ্ছে :
১। প্রতিদিনের বাণী
২। হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস
৩। দৈনিক খোয়াই
৪। হবিগঞ্জের সময়
এগুলোতেই নিউজ গুলা পরখ করি। তাও আবার অনলাইনে। অবশ্য অনলাইনের তারিফই করতে হয়।
কারন একটা কথা বলা হয়ে থাকে যে,
ইন্টারনেট গোটা বিশ্বকে হাতের মুটোয় নিয়ে এসেছে। উপলব্ধি করে দেখলাম কথাটা ঠিকই আছে, এক বিন্দুও মিথ্যে নাই।
এই যে আমি এখন ঘরে বসেই পত্রিকা পড়তে পারছি, সেটা অবশ্যই অবশ্যই ইন্টারনেটের ই অবদান।
১১ টা ৩০ মিনিটে গোসল করলাম। খুব সকালও না আবার গোসলের সময়ও না।
গ্রামের মানুষ অবশ্য হয় খুব সকাল গোসল করবে,
নয়তো ২ টার দিকে। তবে আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু ব্যতিক্রম।
আমি আমার মতো করেই দিনটা সাজাই।
১২ টা ২০ মিনিটে একটু ডুব দিলাম অনলাইনে।
অনলাইন বলতে ওই পুরাতন প্লাটফর্ম গুলোতেই
যেমনঃ ফেসবুক, হোয়াটসআপ, টেলিগ্রাম, মেসেঞ্জার।এগুলোই মুলত সময় কাটানোর মাধ্যম বলা যায়।
প্রায় ২টা ২০ মিনিট এর দিকে দুপুরের খাবার খেলাম যতদুর জানি।
সময় অবশ্য ফিক্সড না, যখন মন চায় তখনই লাঞ্চ করা হয়। বিলম্ব হওয়া স্পেশাল কোনো কারন নেই।
কারন যদি বলাই লাগে তাহলে আমি নিজেই।
অনেক সময় আলসেমির কারনেই খেতে দেরি হয়।
খাবারের তালিকায় অবশ্য খুব একটা আইটেম ছিল না। মেনু বা আইটেম ছিলো:
১। ভাত
২। মাছ ভুনা
৩। মাছের তরকারি
আমি অবশ্য শুটকি খাই না। নাহলে আরেকটা আইটেম বেড়ে যেত।
ফ্যামিলিতে আমি ছাড়া হয়তো সবাই শুটকি পছন্দ করে। যাইহোক খাওয়াদাওয়া শেষ করলাম প্রায় ৩ টা বেজে গেল।
৩ টা ৫ মিনিট,
রুমে বসে আছি, একটু ঝিমুনি আসছে ঠিকই।
কারন এই সময়টা আসলে বিশ্রাম নেয়ারই সময়।
ভাবতেছি ঘুমানো যায় কিনা।
প্রায় ৪ টা বেজে ৩০ ছুঁইছুঁই, ঘুম ভাঙ্গল।
ঘুমঘুম ভাব নিয়েই উঠলাম। বলাই যায় ভালো একটা ঘুম হলো।
৪ টা ৪৫ মিনিট, আশেপাশের জায়গা গুলো একটু ঘুরাফেরা করলাম। ভালোই লাগে, অবশ্য এই জায়গা গুলাতে আসলে ক্লান্তি লাগে না।
যদি আগে থেকে ক্লান্ত হয়ে যাই তাহলে সেই ক্লান্তিকরতা কেটে যায়।
এই সময়টাতে অবশ্য অন্য কোথাও যাওয়াও যায় না। কারন একদিকে করোনা এবং অন্যদিকে পানির ভয়াবহতা।
অনেকটা ক্রিটিক্যাল সময়ই কাটাচ্ছি। জানি না এটা কতটা দীর্ঘতম হবে।
তবে আশাতো করাই যায় খুব তাড়াতাড়ি এটা শেষ হয়ে যাবে।
তাই এই জায়গাতেই আসা...
একটু সময় বসে সতেজ পরিবেশ থেকে একটু সতেজতা অনুভব করা।
৫ টা ২০ মিনিট,
ইদানীং দেখছি ফোনটা একটু স্লো হয়ে যাচ্ছে। ভাবছি রিসেট দিবো।
হয়তো কয়েকটা বড় সফটওয়্যারের কারনে হতে পারে। রেম কম হয়তো সেটাও একটা কারন হতে পারে।
এজন্যই বড় সফটওয়্যার যত বর্জন করা যায় ততই ভালো। অন্তত ফোনটা ফাস্ট থাকে।
ফোনের ফাইলগুলো কপি করে ল্যাপটপে রাখলাম।
এতে অনেকটা সময়ই নিলো। ক্যাবল ছিলো না। কার্ড রিডারে কাজ করতে হইছে।
ট্রান্সফার রেট কম ছিলো তাই একটু সময় নিলো।
যাইহোক, একটু সময় নিলেও সমাধান অন্তত করা গেলো, সেটাও এক ধরনের বড় কাজ।
সন্ধ্যা ৭ টা, রুমে বসে আছি। পাখিটার সাথে খেলা করছি। পাখিটা বলতে একটা শালিক পাখি,
কিছুদিন আগে আনা হলো। বয়স বেশি হয় নি। এই কিছু দিন, তবে এই কয়েকদিনেই বেশ ভালো পরিচয় হয়ে গেছে।
ছেড়ে দিলে সারাঘরে খেলাধুলা করে। আমাদেরও বেশ ভালো লাগে।
বলতে গেলে এক রকম মায়া জন্মে গেছে এটার প্রতি। তাই আরকি এটাকে নিয়ে একটু খেলা করা।
৭ টা বেজে ৩০ মিনিট,
চা খেলাম। চা না খেলে যেনো পরিপূর্ণতা পায়না দিনটা। যেন এমন হয় যে, কিছু একটা মিস করে যাচ্ছি।
ঘন্টা দুয়েক পরে রাতের খাবার খাবো। তারপর যদি কোনো কাজ থাকে তাহলে সেটা শেষ করবো তারপর ঘুমাতে যাবো।
খুবই ভালো কেটেছে আজকের এই দিনটা।
সব মিলিয়ে উপভোগ করার মতই ছিলো।
পত্রিকা আমিও প্রায় প্রতিদিন পরে থাকি।কারণ এর মাধ্যমে দেশের সব খবর অতি সহজে পাওয়া যায়.তাছাড়া পত্রিকা পরে ভাষা গত অনেক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। এটা সবার পড়া উচিত বলে আমি মনে করি।
পাখি পোষ মানানো আমারও খুব ইচ্ছে। কিন্তু আমি সেটা পারি না😣😒
সুন্দর পোস্ট ভাই, এভাবেই কাজ চালিয়ে যান৷
Thanks for sharing your diary with us,
Here is a little tips,
For more follow @steemitblog for the latest update on Steem Community such as some early tips!
Also join LUCKY 10S
Thank you for taking part in The Diary Game on Steem.
Keep following @steemitblog for the latest updates.
The Steemit Team