1000 DAYS OF STEEM:_The Diary Game - 13/08/2020

in Steem Oman4 years ago

আসসালামুয়ালাইকুম

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও খুব ভালো আছি।

IMG20200810180519.jpg

প্রতিদিনের মত আজও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠে অজু করে ফজরের নামাজ পড়লাম। তারপর কিছুক্ষণ কোরআন তেলাওয়াত করলাম। তেলাওয়াত শেষ করে একটু বাইরে হাটাহাটি করলাম। ভোরের আবহাওয়া টা অনেক সুন্দর। নানা রকমের পাখির ডাক শীতল হাওয়া সবকিছু মিলে পরিবেশটা অনেক সুন্দর লাগে।কিছুক্ষণ হাঁটার পর বাসায় এসে সকালের নাস্তা তৈরি করলাম। সকালের নাস্তায় আমি রুটি আর সবজি তৈরি করলাম। আমি নাস্তা তৈরি করতে করতে সকলেই ঘুম থেকে উঠে পরল। তারপর সবাই ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার জন্য টেবিলে আসলো। সবার সাথে টেবিলে বসে সকালের নাস্তা শেষ করলাম।

সকালের নাস্তা শেষ করার পর আমি রুমে এসে ফোনে নাটক দেখতেছিলাম।হঠাৎ আমার ছোট বোন এসে বললো আপু চল আমাদের কোচিংয়ে আজকে একটা সুন্দর অনুষ্ঠান হবে। আমিও তখন ওর সাথে কোচিংয়ে এগিয়ে অনুষ্ঠান দেখার জন্য তৈরি হলাম। স্কুল কোচিং এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন স্কুল এর সব ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিতাম। অনুষ্ঠানগুলো আমার কাছে খুবই মজার এবং আনন্দদায়ক লাগতো। তাই ছোট বোনের সাথে কোচিংয়ে গিয়ে অনুষ্ঠান দেখার লোভটা সামাল দিতে পারলাম না। চটপট সেজে গুঁজে রেডি হলাম ওর কোচিংএ যাওয়ার জন্য। আমাদের বাসা থেকে প্রায় সাত মিনিট হাঁটতে হয় ওর কোচিংয়ে যেতে। ওকে নিয়ে কোচিংয়ে পৌঁছাতেই দেখলাম কোচিংয়ের অনুষ্ঠান প্রায় শুরু হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল কুরআন তিলাওয়াত, তারপর একটা হিন্দু মেয়ে গীতা পাঠ করল।

IMG_9432.JPG

কোরআন তেলাওয়াত আর গীতা পাঠ শেষে শুরু হলো কবিতা আবৃত্তি। ছোট্ট একটি মেয়ে অনেক সুন্দর করে কবিতা আবৃতি করছিল। আমার ছোট বোন ও কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা সুন্দরভাবে আবৃত্তি করল। এভাবে প্রায় 7 জন প্রতিযোগী কবিতা আবৃত্তি করল। এরপর শুরু হল সঙ্গীতায়োজন। অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সঙ্গীতায়োজনে যোগ দিয়েছে।ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সাথে গান গাইলো। প্রত্যেকে গান শুনতে আমার খুব ভালো লাগলো। তার কারণ আমি গান শুনতে গাইতে খুবই ভালোবাসি। আমি নিজেও অনেক ভালো গান গাইতে জানি। ছোটবেলা থেকেই আমার গান শুনতে এবং গাইতে খুব ভালো লাগে। সঙ্গীত অনুষ্ঠান শেষ হতেই টিচাররা কিছু সময় বিরতি নিয়ে নিল। সেই সময় ছেলেমেয়েরা যার যার বাসায় গেল ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করতে। আমিও আমার বোনকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

বাসায় এসে রুমে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। তারপর বাথরুমে গেলাম গোসল করতে। গোসল করে এসে দেখলাম মা অনেক রকমের খাবার রান্না করেছেন। দেরি না করে সবাইকে সাথে নিয়ে টেবিলে বসলাম দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য। দুপুরের খাবারে ছিলো ছোট মাছ ,শাক ভাজি, গরুর মাংস, ডাউল আর করলা ভাজি। ছোট মাছ মানুষের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এছাড়াও ছোট মাছের আরো অনেক গুণাগুণ আছে।করোলা কাঁচা অবস্থায় খাওয়া মানুষের দেহের জন্য খুবই উপকারী। করোলা মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটা খেতে অনেক তেতো আর এই তেতো এর জন্যই করলার এত গুণ। অনেক স্বাদ ও তৃপ্তি সহকারে দুপুরের খাবার শেষ করলাম। খাবার খেয়ে নিজের রুমে আসলাম একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লাম।

IMG20200813160553.jpg

ঘুম থেকে উঠে আসরের আজান শুনতে পাই। তারপর বিছানা থেকে নেমে বাথরুমে গিয়ে ওযু করে এসে আছরের নামায শুরু করি। নামাজ শেষ করে একটি উপন্যাস বই হাতে নিয়ে জানালার কাছে বসে বইটা পড়তে থাকলাম। বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। তাই আমি আগের দিন কলেজে গিয়ে লাইব্রেরী থেকে একটি বই নিয়ে আসি। অবসর টাইমে বসে বসে সেই বইটা আমি পড়ি।হঠাৎ আমার এক বান্ধবী এসে আমাকে ডাকল বলল চল একটু ঘুরে আসি। বইটা রেখে আমি ওর সাথে ঘুরতে বের হলাম। ঘুরতে ঘুরতে আমাদের পাশের পাড়ায় গেলাম। ওখানে আমার একটা বান্ধবী আছে ও হিন্দু ধর্মের। আমি যখন ওদের বাসায় গেলাম তখন দেখলাম ওদের বাসায় জন্মাষ্টমীর পুজো হচ্ছে। ওর সাথে কিছু সময় কথা বলেই আমি বাসায় ফিরে এলাম।

বাসায় এসে আমি চা তৈরি করলাম। আর অনেক ঝাল দিয়ে মুড়ি বানালাম।বারান্দায় বসে বসে সবাইকে সাথে নিয়ে চা এবং মুড়ি খেলাম। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা হতে লাগল মাগরিবের আজান হলো। আজান শুনে নামাজ পড়লাম এবং নামাজ শেষ করে আমি মোবাইলে একটু গেম খেলছিলাম।তারপর আমার মা এসে বলল তোমার ছোট বোন কেউ একটু পড়াতে বসাও। ফোন রেখে আমি আমার ছোটবোনকে পড়াতে বসালাম।

Screenshot_2020-08-14-16-11-27-44_f2cb81fb7cf38af7978f186f2a61634a.jpg

বোনকে পড়ানো শেষ হলে আমি আবারও ফোন হাতে নিয়ে আমার রুমে গিয়ে শুয়ে শুয়ে ফোনে বাংলা নাটক দেখছিলাম। নাটকটা অনেক রোমান্টিক আর অনেক মজার ছিল। নাটক দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। অবসর হলেই আমি মোবাইলে বাংলা নাটক গুলো দেখতে থাকি। নাটক দেখতে দেখতে রাত প্রায় সাড়ে নয়টা বেজে গেল। তারপর আমার মা আমাকে রাতে খাবার জন্য ডাকলো। ফোনটা চার্জ দিয়ে আমি খাবার টেবিলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করলাম। খাবার শেষ করে এসে বিছানা ঠিক করলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।

বিছানায় শুয়ে আমি ফোনে গেম চালু করে কিছু সময় গেম খেললাম। না তখনো চোখে ঘুম আসলো না। গেম খেলতে খেলতে বোর হয়ে ফোন রেখে দিলাম। তারপর আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমি চাঁদ দেখছিলাম। জোছনাময়ী রাত কিন্তু আকাশে মেঘ আছে। একটু পর পর মেঘ এসে চাঁদকে আড়াল করে দেয় আর ঠিক তখনই অন্ধকার হয়ে যায়। এভাবে কিছু সময় পর হালকা বাতাস শুরু হয়। আমি রুম থেকে ফোনটা নিয়ে এসে অডিও গান চালু করি। এসময়টাতে গান শুনতে আমার খুব ভালো লাগছিল। হঠাৎ মেঘ ডেকে উঠল। আমি ভয়ে রুমে চলে গেলাম। বৃষ্টি নামতে শুরু করলো। বৃষ্টির রাত আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলাম। ফোনের অডিও গান বন্ধ করলাম। তারপর আমি আজকের পোস্ট লেখা শুরু করলাম। পোস্ট টা লিখতে লিখতে চোখে ঘুম চলে এলো। লেখা শেষ করে পোস্ট করে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।

আপনারা যারা কষ্ট করে আমার পোষ্টটা সম্পূর্ণ পড়েছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  

পোস্ট করে ঘুমিয়ে পরবো হবে। ঘুমিয়ে পড়লাম না। কারণ আপনি পোস্ট করার আগেই ঘুমাবেন কি করে। পোস্ট করেই তো ঘুমিয়েছিলেন। এই জিনিস গুলে একটু খেয়াল রাখবেন।

 4 years ago 

Thanks for sharing your day activities with thediarygame.

Check the @steemitblog post for know update of thediarygame here

You can also check the thediarygame rule here

Big thanks for taking part in the diary game.Stay safe with your families members.Have a good day.

Thank you so much for being with our community.
@hafsaputul

20200815_222831.jpg

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59264.94
ETH 2604.33
USDT 1.00
SBD 2.38