কে জিনিয়াস এবং কে জিনিয়াস না, এটা তার সময়ে থেকে বলা কঠিন।

কে জিনিয়াস এবং কে জিনিয়াস না, এটা তার সময়ে থেকে বলা কঠিন। যেমন, সত্যজিৎ বা রবীন্দ্রনাথ বা আইনস্টাইন আমাদের সাথে স্কুলে পড়লে, আমরা তাদের জিনিয়াস ভাবতাম না। হয়ত ভাবতাম এভারেজের চাইতে বেটার বুদ্ধিমান।

জিনিয়াসনেস বুঝা যায়, বা সাধারণে বুঝতে পারে তার লাইফ শেষ হয়ে যাবার পরে। কিছুক্ষেত্রে মৃত্যুর অনেকদিন যাবার পর।

এই জায়গায়, যারা আগে বুঝতে পারে, তারা জিনিয়াস না হইয়াও গেইনার হয়। এটা রেয়ার স্কিল।

যেমন ধরেন, নিকোলা টেসলা তার এসি কারেন্ট মডেল নিয়া গেছেন যখন এডিসনের কাছে, এডিসন পাত্তাই দেন নাই। টেসলা যখন কাজ করতেন তার সহকারী হিসেবে, তিনি তারে এভারেজের চাইতে বেটার ভাবতেন, কিন্তু চিন্তাও করেন নাই টেসলা জিনিয়াস।

করতে পারলে তিনি হিউজ গেইনার হইতেন।

ইভেন, জেপি মর্গান যখন এডিসনের পেছনে টাকা ঢালতেছেন, এডিসনের ডিসি কারেন্টের পেছনে, তখন তিনিও টেসলারে বুঝতে পারেন নাই। তাদের দেখা হইছিল কমবেশি, খুব সম্ভবত। মর্গানের না চেনারে মানা যায়, কিন্তু এডিসন বড় জ্ঞানী হয়েও, বিজ্ঞানের লোক হয়েও ধরতে পারেন নি।

লাইফের সিক্রেট রুলদের একটা হইল, আপনে জিনিয়াস আগে চিনতে পারেন কি না। মাইক্রো ক্যাপ কোম্পানি, যার হিউজ পটেনশিয়াল আছে, তারে স্মল ক্যাপ থাকা অবস্থায় ইনভেস্ট করাই মাইক্রোক্যাপ ইনভেস্টিং এর সূত্র, লাইফের সব জায়গায় এটা প্রযোজ্য।

এবং এর সাথে, কাছাকাছি আরেক সিক্রেট রুল, যারে আপনে বিশ্বাস করতেছেন সে বিশ্বাসযোগ্য কি না। বিশ্বাসযোগ্য লোক আইডেন্টিফাই করার স্কিল।

এর গুরুত্ব যে বেশি তা ভাবলেই বুঝতে পারবেন। ধরা যাক কারো লাইফ টিপ নিলেন আপনি, কিন্তু সে আসলে বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি ছিল না, ফলে এখানে লং টার্মে আপনার লাইফ, বিজনেস ইত্যাদির ক্ষতি।

আমরা যেসব স্কিল শিখি, এঞ্জিনিয়ারিং, এই সেই, কেরিয়ার কেন্দ্রিক, এগুলারেই মেইন গুরুত্ব দেই। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে, আসল স্কিলগুলা অন্য জায়গায়। সেই স্কিলগুলা হচ্ছে দুনিয়ার সিক্রেট রুল আইডেন্টিফাই করার স্কিল, এবং সেইসব স্কিল বাড়াইতে কাজ করাটাই ম্যাসিভ পার্থক্য তৈরি করে।