প্রাচীনকালের ঐতিহ্যবাহী রান্নার সরঞ্জাম হামানদিস্তা
আদিকাল থেকেই হামানদিস্তা প্রচলন এখন পর্যন্ত চলে আসছে। হামানদিস্তা আমাদের দেশের ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম। হামানদিস্তা সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করব। হামানদিস্তা সরল যন্ত্র। হামানদিস্তা সাধারণত আমরা জানি যে লোহার তৈরি একটি পাত্র বা লোহার দন্ড দিয়েই প্রস্তুত করা হয়। অন্য ধাতু ও উপাদান দ্বারা হামানদিস্তা তৈরি করে থাকে। হামানদিস্তার মাধ্যমে হাত দিয়ে অনেক কঠিন দ্রব্যাদি ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ করার নামই হচ্ছে হামানদিস্তা। হামানদিস্তা সাধারণত দুই ভাবে দেখা যায় সেটি হলো কাঠের তৈরি এটি পুরনো আর বর্তমানে সময়ে হামানদিস্তা দেখা লোহার তৈরি একটি পাত্র আর লোহার মর্সাল থাকে। হামানদিস্তার ব্যবহার আমাদের দেশে প্রচলিত।
প্রাচীনকালে হামানদিস্তার ব্যবহার শুধু গ্রামগঞ্জে নয় বরং শহরে ও এর ব্যবহার ব্যাপক। এই হামানদিস্তা দ্বারা সকল প্রকার মসলা জাতীয় দ্রব্যাদি চূর্ণবিচূর্ণ করে গুড়ো করে তরকারি রান্নার উপকরণ হিসেবে এর ব্যবহার করা হয়। লোহার তৈরি হামানদিস্তা সাধারণত মসলা বেটে নেয়ার সময় টং টং শব্দ করে আর কাঠের তৈরি হামানদিস্তা মধ্যে পার্থক্য হলো এই কাঠের তৈরি হামানদিস্তায় সাধারণত পান বেটে খেত আগেকার লোক।এই হামানদিস্তা আমাদের দেশে প্রতিটি বাড়িতে কম বেশি রয়েছে। এটির ব্যবহার এখন পর্যন্ত চলে আসছে।
কোন অনুষ্ঠানে বলতে দেখা যায় বিয়ের অনুষ্ঠান, আকীকা অনুষ্ঠান, ইত্যাদি অনুষ্ঠানে এই হামানদিস্তার ব্যবহার অপরিসীম। কারন বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক লোকের আয়োজন করতে মসলা বেটে নেয়ার জন্য হামানদিস্তা অত্যান্ত ভুমিকা পালন করে। এই হামানদিস্তার সাহায্যে অল্পসময়েই মসলা জাতীয় দ্রব্যাদি বেটে নেয়া অতিসহজেই ।হামানদিস্তার সাহায্য মসলা বেটে নেয়া থেকে শরু করে ঔষধ পর্যন্ত ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ করা যায়। আসলেই অতীতের ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এখনো পর্যন্ত এই হামানদিস্তার ব্যবহার চলছে। আধুনিকতার ছোয়ায় বর্তমান সময়ে দেখা মসলা বেঁটে নেয়ার জন্য হামানদিস্তা ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারন অনেকেই ব্যালেন্ডারে মসলা বেঁটে নিচ্ছে ফলে তাদের কষ্ট করতে হচ্ছে না সবকিছু বিদুৎতের সাহায্যে।
কাঠের তৈরি হামানদিস্তা অনেক ঠেকসই। সহজেই ভাঙ্গে না তবে লোহার তৈরি হামানদিস্তা সহজেই ফেটে যায় পাত্রটি।কাঠের তৈরি হামানদিস্তায় আমার দাদা পান বেটে গুড়ো খেত। তাই হামানদিস্তার কদর কমে যাচ্ছে দিনদিন। আমার পোস্টটি ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলেই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোছাঃতামান্না ফারিহা। আমার স্টিমিট ইউজার নেম @tamannafariah। আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতেছি। বর্তমানে আমি এডমিশন পরীক্ষা দিব। আমার ইচ্ছা ছিল মেডিক্যালে পড়াশোনা করার তবে সেই ইচ্ছে আর পুরোন হলো না। এখন ভাল ভার্সিটিতে পড়াশোনা করব যদি আল্লাহ তায়ালা চায় তাহলে সম্ভব। অংকন করতে ভালবাসি এবং এর পাশাপাশি আমি ড্রাফট ক্রিয়েটে মোটামুটি পারদর্শী। সকলেই সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
হামানদিস্তা হলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী উপাদান। হামান দিস্তা দিয়ে বিভিন্ন রকম মসলা বা হলুদ আবার অনেকে পানও থেতলে থাকে।আমাদের বাড়িতে আগে একটা হামান্দিস্তা ছিল আমার দাদীর তবে বর্তমানে সেটি নেই হারিয়ে গেছে। আমার দাদির হামান দিস্তা দেখার বেশি সুযোগ হয়নি আমার তবে আমার পাশের বার বাসার এক বড় আম্মুর অর্থাৎ আমার বাবার দাদীর হয়েছিল। তার একটি লোহার হামানদিস্তা ছিল সেটা দিয়ে সে প্রায় সময় পান থেতলিয়ে খেত কারণ তার দাঁত ছিল না বেশি। আমিও মাঝে মাঝে গিয়ে থেলিয়ে দিতাম টংটং করে শব্দ হতো বেশ ভালোই লাগতো আবার কানেও ধরতো সেই শব্দটি।খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
হামানদিস্তা হলো বাঙালির ঐতিহ্য। সেই আদিযুগ থেকেই মানুষ মসলা বাটা এবং চালের গুঁড়া করতে এই হামান দিস্তার উপর নির্ভরশীল ছিল। তবে এখন এই হামানদিস্তা খুব একটা দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ইলেকট্রনিক অনেক যন্ত্র বের হওয়ার জন্য হামান দিস্তার চাহিলা অনেক কমে গেছে, মানুষ এখন অলস হয়ে গেছে, আর চায় না কষ্ট করে হামান দিস্তা দিয়ে পিষতে, ব্লেন্ডার এর যুগে এসব হাড়িয়ে যাচ্ছে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন আপু, অনেক ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ে কমেন্টের মতামত পোষণ করার জন্য।
প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের বাসায় প্রায় হামানদিস্তা ব্যবহার হয়ে আসছে। হামানদিস্তা সাহায্য মসলা বাটা মরিচ বাটা কাজগুলো করা হয়ে থাকে। আধুনিকতার ছোঁয়া এখন আর হামানদিস্তা দেখতে পাওয়া যায় না।আপনি হামানদিস্তা নিয়ে অনেক সুন্দর তথ্য উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হামান দিস্তা আমাদের রান্নাবান্নার কাজে অনেক সহয়তা করে। রান্নায় আদা, রসুন, পেঁয়াজ থেতানোর কাজে এটি খুব ভালো সহয়তা করে। লোহা, পাথর কাঠ, পিতলের হামানদিস্তার মাঝে কাঠের হামানদিস্তা তুলনামূলক কম কার্যকর। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ে কমেন্টের মতামত দেয়ার জন্য।শুভকামনা ও ভালবাসা রইলো। 💞
প্রাচীনকালের ঐতিহ্যবাহী রান্নার সরঞ্জাম হামানদিস্তা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।হামানদিস্তা আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে থাকি।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে ধাপে উপস্থাপন উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হামানদিস্তা নিয়ে অসাধারণ লেখছেন আপু, হামানদিস্তা হলো আমাদের এক পুরনো ঐতিহ্য, আমরা এই হামানদিস্তাই অনেক ধরনের কাজ করে থাকি,মসলা বাটা থেকে জাবতীয় জিনিস বাটা বাটি করি।তবে হামানদিস্তা এখন অনেক ধরনের বের হয়েছে, হামানদিস্তা হলো আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য, আমার বাসায় একটা হামানদিস্তা আছে ঐ হামানদিস্তাই আমার এক চাচা পান বেটে খাই। হামানদিস্তা হল মূলত বাটা বাটি করার জন্য, তবে এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সব কিছু হারিয়ে গেছে, কালের বিবর্তে আজকে আমাদের অনেক কিছু হারাতে হচ্ছে। হামানদিস্তা আগে শুধু লোহার তৈরি ছিল কিন্তু এখন কাঁঠের তৈরি হামানদিস্তা বের হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন আপু আপনার পোস্ট পরে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম,আমার নানা এখনো হামানদিস্তাই বাটা বাটি করে সে পান খাই। আমার নানার অনেক বছর, আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া যে আমার নানা এখনো বেঁচে আছে, তবে আমার নানা একটু অসুস্থ আমি যখন আমার নানার বাসায় যায় তখন আমি প্রায় আমার নানার জন্য পান সুপারি বেটে দেই,আর হামানদিস্তা হলো মূলত যে হামানদিস্তাই কিছু দিলে যখন যেটা চূর্ন বিচূর্ন হবে সেটার নামই হলো হামানদিস্তা। অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই আপনার পোস্টের ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
লোহার তৈরি বড় একটি হামানদিস্তা আমাদের বাসায় রয়েছে। মাঝেমাঝে চাউলের গুড়া করা হয় পিঠা বানানোর জন্য। কাঠের তৈরি হামান দিস্তা দিয়ে মসলা পিষানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে কাঠের এবং ছোট আকৃতির লোহার দুটোই পাওয়া যায় বাজারে। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
প্রাচীনকালের ঐতিহ্যবাহী রান্নার করার সরঞ্জামের মধ্যে হামানদিস্তা অন্যতম।হামানদিস্তা সাহায্য মসলা বাটা মরিচ বাটা আরও বিভিন্ন বাটাবাটির কাজ করা হয়ে থাকে। মাঝেমাঝে চালের গুড়া করা হয় পিঠা বানানোর জন্য।আধুনিকতার ছোঁয়ার কারণে এখন আর এটি দেখা যায় না। বর্তমানে বাটাবাটি করার জন্য বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল মেশিন উদ্ভাবন করা হয়েছে। মুগ্ধ করা ফটোগ্রাফি আপনি তুলেছেন আপনি। বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রিক্যাল মেশিন ব্যবহারের কারণে মানুষ এখন আর কষ্ট করে হামানদিস্তা ব্যবহার করতে চায় না।ধন্যবাদ আপনাকে আপনি বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হামানদিস্তা আমাদের বাসায় রয়েছে কাঠের তৈরি। হামানদিস্তা দিয়ে মসলাগুঁড়া চূর্ণবিচূর্ণ করা হয়। এই হামানদিস্তা আমাদের নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল। তবে পোস্টে ১০ টি ছবি শেয়ার করবেন তাহলে পোস্ট আরো ভাল দেখাবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।চেষ্টা করব পোস্ট ১০ টির বেশি দিয়ে ছবি যুক্ত করে পোস্ট করার।