গ্রামে ঘুরে ঘুরে ঝাড়ু বিক্রি করেছেন একজন বিক্রেতা।
শনিবার,
তারিখ - ০১জুলাই ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি ঝাড়ু বিক্রেতা নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
ঝাড়ু আমাদের সকলেরই পরিচিত।এটি আমাদের একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস।প্রতিদিন আমরা ঘর,আঙ্গিনা ও বাড়ির আশেপাশের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য ঝাড়ু ব্যবহার করে থাকি।আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ঝাড়ু পাওয়া যায়। যেমন - বাঁশ,খড় ও কাশ ফুলের গাছের তৈরি ঝাড়ু।তবে আমি আজকে আপনাদের মাঝে কাশ ফুলের গাছের ঝাড়ু ওয়ালা সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
আপনারা ছবিতে যে ঝাড়ু ওয়ালার ছবি দেখতে পাচ্ছেন তিনি মাসে দুবার করে আমাদের গ্রামে আসেন।তারা স্বামী- স্ত্রী দুজনেই একসাথে ভ্যানে করে ঝাড়ু বিক্রি করে বেড়ান।একেকটি ঝাড়ু তারা ৩০টাকা করে বিক্রি করেন।অনেকে আবার চাল কিংবা আলু দিয়ে ও এসব ঝাড়ু নিচ্ছে।আমার আম্মু ওনার কাছ থেকে ৫ টি ঝাড়ু নিলেন ১৫০ টাকা দরে। আমি ওনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম তিনি প্রতিদিন ২৫০০-৩০০০ টাকার ঝাড়ু বিক্রি করেন।ওনাদের কাছ থেকে বাসা জানতে চাইলে তিনি বলেন পার্বতীপুর থানাতেই
ওনার বাসা।তারা রেললাইনের ধারে যেসব কাশ ফুলের গাছ হয় সেগুলো কেটে এনে ভালোভাবে ঝেড়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে এসব ঝাড়ু বানিয়ে থাকেন।এই ঝাড়ু বিক্রির টাকা দিয়েই তাদের সংসার চালাতে হয়।তিনি বলেন তার বড় মেয়ে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা করছেন ইংরেজি বিভাগে।আমার শুনে খুব ভালোই লাগলো।
ঝাড়ু ওয়ালা আঙ্কেল ও আন্টির সাথে গল্প করতে করতে তিনি বলেন ঝাড়ুর মধ্যেখানে যদি রাবার দিয়ে বেঁধে দেওয়া যায় তাইলে এই ঝাড়ুগুলো অনেকদিন টিকে।আম্মু ঘর ঝাড়ু দেওয়ার কাজে এসব ঝাড়ুয়েই ব্যবহার করে থাকেন।আমাদের গ্রামের ভাষায় এসব ঝাড়ুকে কাশিয়ার ঝাড়ু বলে থাকে। এই ঝাড়ুগুলো দিয়ে ঘর খুব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করা যায়।আমার ও এই ঝাড়ুগুলো দিয়ে ঝাড়ু দিতে বেশ ভালোই লাগে।এই ঝাাড়ুগুলোর ওজন অন্যান্য ঝাড়ুর থেকে অনেক হালকা।
আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।
মোবাইল | Tecno 9t spark |
---|---|
ক্যামেরা | ৩৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্টের ধরণ | ঝাড়ু বিক্রেতা। |
লোকেশন | চিরিরবন্দর, গুড়িয়া পাড়া। |
ধন্যবাদ,
@siza
এরকম গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে ঝাড়ু বিক্রি করতে আমি কখনোই দেখি নি।আমাদের গ্রামে ঝাড়ু নির্দিষ্ট দোকান বা বাজার থেকে কিনে আনতে হয়। ছনের এই ঝাড়ুর সাহায্যে মাটির ফ্লোর পরিষ্কার করা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
!upvote 40
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven. Your post was promoted on Twitter by the account josluds
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 40%
কাশফুলের ঝাড়ুর অনেক বেশি চাহিদা ছিলো এবং তার প্রচলন ছিলো অনেক বেশি কিন্তু বর্তমানে এই কাশফুল তেমন একটা চাষাবাদ না হওয়ায় ঝাড়ু আর ব্যবহার হয় না। গ্রামে এখন ঝাড়ু বিক্রি করতে কম দেখা যায়। কাশফুলের ঝাড়ু দিয়ে বিছানা ঝাড়ু দেওয়া যায়।
ধন্যবাদ ভাইয়া
ওনার বাসা আমাদের জমির হাট তকেয়া পাড়ায়। ওনারা আসলে অনেক পরিশ্রমী। তারাই একত্রে বাড়িতে সব সদস্যরা বসে ঝাড়ু বানিয়ে থাকে। আমাদের গ্রামের শেষের দিকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি বাড়ি। সেই বাড়ি গুলোর মধ্যে কেউ ঝাড়ু কিউবা হাড়ি পাতিল বিক্রি করে থাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
বাহ চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু, গ্রামে ঘুরে ঘুরে এসব ঝাড়ু বিক্রেতারা অনেক কষ্ট করে। কাশফুলের ঝাড়ু এর চাহিদা অনেক। সুন্দর লিখছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া
ঝাড়ু বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ সেটা অনেক কষ্টের। আপনি ঝাড়ু বিক্রেতা নিয়ে সুন্দর পোস্ট করেছেন। এই ঝাড়ুগুলো তো কাশফুলে র পাতা দিয়ে তৈরি। দেখতে অনেক সুন্দর।
ধন্যবাদ ভাইয়া
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
দারুণ একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনি।এইরকম অনেক গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায় ঝাড়ু বিক্রি করতেছেন।আমাদের গ্রামেও কিছু কিছু লোক এই ভাবে ঝাড়ু বিক্রি করেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মহিলা মানুষের অবশ্য কখনো ঝাড়ু বিক্রি করতে দেখিনি। তবে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায় অনেক ঝাড়ু বিক্রেতারা তাদের এসব ঝাড়ু বিক্রি করে রোজগার করতে হয়।দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।