ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি জিনিসপত্রsteemCreated with Sketch.

in Steem For Traditionlast year

বুধবার
তারিখ - ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম

প্রিয় স্টিমবাসী। সবাই কেমন আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি ও আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। আজকে আমি স্টিম ফর ট্র্যাডিশন কমিউনিটি তে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। তো চলুন শুরু করা যাক।

IMG-20230906-WA0003.jpg

আমরা সকলেই জানি মাটির তৈরি শিল্পকে মৃৎশিল্প বলে। আর এই কাজ সকলের দ্বারা সম্ভব নয়। কেননা মাটির তৈরি জিনিসপত্র শুধুমাত্র কুমারেরা তৈরি করে। তারা মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করে থাকেন। যেটা আমাদের দেশের ঐতিহ্য বহন করে। আর এই ঐতিহ্য আমাদের দেশে অনেক বছরের পুরাতন ইতিহাস। প্রাচীন কাল থেকেই এই মৃৎশিল্প গড়ে উঠেছে। আর এই শিল্প সনাতন ধর্মালম্বী মানুষের কিছু পেশার লোক এই কাজে লিপ্ত আছে। অবশ্য বর্তমানে আমাদের দেশে এখন ও এই ধরনের মাটির তৈরি জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এমনকি আমাদের নিত্য দিনের প্রয়োজনে এই ধরনের জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয়।

IMG-20230906-WA0002.jpg

মাটির তৈরি জিনিসপত্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এই মাটির ব্যাংক বিক্রি হয়ে থাকে। মাটির ব্যাংকে অনেক মানুষ টাকা জমাতে পছন্দ করে। ছোট থেকে বড় সকলেই এই মাটির ব্যাংকের সাথে পরিচিত। তারা বিভিন্ন হাট বাজার থেকে এই ধরনের মাটির তৈরি ব্যাংক সংগ্রহ করে। তারপর সেগুলো বাসায় নিয়ে গিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেয়। এবং তাদের অবশিষ্ট টাকা সেই মাটির ব্যাংকে জমানো শুরু করে। অবশ্য প্রায় প্রতিটি পরিবারে কেউ না কেউ এই কাজটি করে থাকে। তবে বিশেষ করে ছোট ছেলে মেয়েরা মাটির ব্যাংকে টাকা জমাতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

IMG-20230906-WA0001.jpg

শুধু মাটির ব্যাংক বললে ভুল হবে, মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে লাগে। যেমন বাসা বাড়িতে মাটির তৈরির বিভিন্ন জিনিসপত্রের এখনো চাহিদা রয়েছে। সেগুলো আমাদের বিভিন্ন স্থানীয় হাট বাজার থেকে ক্রয় করতে হয়। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে আমি যে ছবিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সেগুলো একটি বাজারের দৃশ্য। তবে এই বাজারে মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়া যায়। যেমন ধরেন মাটির তৈরি ঢাকনা, হাড়ি পাতিল সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র এই স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি মাটির তৈরি ঢাকনা বিক্রি হয়। কেননা এই ঢাকনাতে বিভিন্ন ভর্তা করতে সুবিধা হয়।

IMG-20230906-WA0000.jpgIMG-20230906-WA0006.jpg

আমরা সকলেই জানি যে মাটির তৈরি জিনিসপত্র আমাদের দেশে একটি ঐতিহ্য বহন করে। তবে সব মাটি দিয়ে এই ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করা সম্ভব না। এর জন্য বিশেষ এক ধরনের মাটি প্রয়োজন। যেটা শুধুমাত্র যারা তৈরি করবে তারাই ভালো জানে। এই মাটি আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে দেখেছি। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মাটি সংগ্রহ করে নিয়ে এসে তাদের বাসা বাড়িতে মজুদ করে রাখে। কেননা এই ধরনের মাটি সব সময় সব জায়গাতে পাওয়া যায় না। যাতে করে তারা এই মাটি সংগ্রহ করে নিয়ে এসে এই মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করে থাকেন।

IMG-20230906-WA0005.jpg

ডিভাইসSamsung A52.
লোকেশনপার্বতীপুর, দিনাজপুর।
ফটোগ্রাফার@shamimhossain

ধন্যবাদ।

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

Sort:  
 last year 

ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। কুমারেরা অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা মাটি তৈরি জিনিসপত্র বানিয়ে থাকে। এই মাটির তৈরি জিনিসপত্র কুমারেরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে আগে বিক্রি করতো। কিন্তু বর্তমানে তা হাট-বাজারে বেশি বিক্রি করা হয়।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

মাটির তৈরি মৃৎশিল্প নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন এগুলো যার তার দ্বারা সম্ভব না শুধু কুমরাই পারে এগুলো তৈরি করতে কারণ এগুলো অনেক কঠিন কাজ। আরে এই মাটির তৈরির ব্যবহার অনেক বেশি ছিল কিন্তু এখন আর এই মাটির তৈরি ব্যবহার বেশিটা দেখা যায় না। কারণ বর্তমান মানুষ আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ

 last year 

আমরা বিভিন্ন হাট বাজারে গেলে এমন মাটির খেলা মাটির ব্যাংক এবং মাটির তৈরি যাবতীয় রকমের জিনিসপত্র দেখতে পাই। এ সকল মাটির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আগে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হতো কিন্তু এখন আর তেমন ব্যবহার করা হয় না। আমরা আগে ছোটবেলায় এরকম মাটি তৈরি কিছু খেলনা নিয়ে খেলা করতাম এবং মাটির ব্যাংক কিনে আনতাম এবং মাটির ব্যাংক তাড়াতাড়ি ভর্তি করতাম এবং ভর্তি হয়ে গেলে তার যত দ্রুত পারি এগুলো ভেঙে ফেলে পয়সা গুলো বের করে নেই এরপর আবার একটি ব্যাংক কিনে নিয়ে এসে আবার পয়সা জমাতে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

মাটির তৈরি এই জিনিসগুলো আমাদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য। যার যুগ যুগ ধরে মানুষ ব্যবহার করে আসছে নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। এখনো এই জিনিসগুলো গ্রামের প্রতিটা বাড়িতে ব্যবহার করে কিন্তু শহরাঞ্চলে এদের চাহিদা একটু কমে গেছে তুলনামূলকভাবে। সবাই এখন আধুনিক প্রযুক্তির জিনিস ব্যবহার করতেছে। আমাদের গ্রামের পরে যে গ্রামটি রয়েছে সেই গ্রামের কম বেশি সবাই এই ব্যবসার সাথে জড়িত। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ

 last year 

মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আপনি দারুন লিখেছেন ভাইয়া। এ ধরনের শিল্পকে মৃৎশিল্প বলা হয়। আর মৃৎশিল্প তৈরি করেন কুমোরেরা।তারা বিশেষ দক্ষতার সাথে এই জিনিসপত্রগুলো তৈরি করেন। তবে আপনি যেটিকে মাটির ঢাকনা বলছেন সেগুলোকে মাটির বাটনা বা পরশুন বলা হয়। অনেকেই আবার এটিকে সারোয়াও বলে। ছোটবেলায় আমিও মাটির ব্যাংকে টাকা জমাতাম। বড় হওয়ার পর থেকে এই অভ্যাসটি আর নেই।মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা কোনদিনও কমবে না। কারণ এগুলো আমাদের অবশ্যই লাগবে। তবে গ্রামে এগুলোর ব্যবহার বেশি। আমার মা এখনো মাটির পাতিলে ভাত রান্না করেন। মাটির তৈরি তৈজসপত্র গুলো স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে থাকে। এগুলো দ্বারা কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। ঘর সাজাতে ও মাটির তৈরি জিনিসের জুড়ি নেই। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ

 last year 

মাটির তৈরি জিনিসপত্র আমাদের এই গ্রাম বাংলার অন্যতম একটি ঐতিহ্য। মাটির তৈরি জিনিসপত্র আমরা এখনো প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া শুধু মাটির ব্যাংক নয় বরং সব মাটির তৈরি অনেক জিনিসপত্র আমরা এখনো সচরাচর ব্যবহার করে থাকি। এখনো আমাদের আশেপাশের বাজার গুলোতে মাটির তৈরি জিনিসপত্র পাওয়া যায়। মাটির তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ

 last year 

ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি আসবাবপত্র নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। এক সময় মাটির তৈরি আসবাবপত্রের ব্যাপক চাহিদা ছিলো, আগের যুগে দাদী-নানীরা এই মাটির পাত্রতে রান্না করতো, ভাত তরকারি ভাজি দুধ জাল করা সব। আমি আমার নানীকে ছোট সময় দেখেছি মাটির পাত্রে ভাত রান্না করতে। মাঝখানে মাটির পাত্রীর চাহিদা কম ছিলো। কিন্তু বর্তমানে আগের তুলনায় অধিক বেশি হয়ে গেছে। গৃহিণীদের হাতের নাগালে এখন হাজার রকমের ভাষণ পাত্র থাকা সত্ত্বেও তারা শখ করে মাটির পাত্র কিনে থাকে, মাটির পাত্রে রান্নাবান্না করে এবং খাবার পরিবেশনও করে থাকে।এখন মাটির পাত্র খুব জনপ্রিয় হয়ে গেছে। শখ করে মানুষ মাটির পাত্রে রান্না করে মাটির পাত্রে পরিবেশন করে খাবার খাচ্ছে এবং এমনকি মাটির গ্লাসে পানি খাচ্ছি। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

 last year 

ধন্যবাদ বস।

 last year 

যুগ যুগ ধরে চলে আসছে মাটির তৈরি জিনিসপত্র।মাটির ব্যাংক নিয়ে লিখেছেন।ঠিকই বলেছেন মাটির তৈরি ব্যাংকে অনেকেই টাকা জমাতে পছন্দ করেন।আমারও ছোট বেলায় এবং অনেক বড় হয়ে এ অভ্যাস ছিল মাটির ব্যাংকে টাকা জমানো।আগের যুগের মানুষ মাটির তৈরি হাড়ি পাতিল ব্যবহার করতো।দিন দিন তা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।তবে এখনো বাটনা দেখা যায় উত্তর অঞ্চলের প্রত্যেক বাসায়।অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ

 last year 

ধন্যবাদ আপি।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 68712.16
ETH 2434.53
USDT 1.00
SBD 2.34