আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি হাজির হলার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। তো চলুন শুরু করা যাক। |
আগে গ্রাম অঞ্চলে একটি খেলার খুবই প্রচলন ছিলো। সেটা হলো লুডু খেলা। আগে মানুষ অবসর সময়ে বাড়ির আশেপাশে থাকা টং এ বসে লুডু খেলতো। লুডু হলো একটি ইনডোর গেম বা ঘরোয়া খেলা।
লুডু খেলার জন্য আগে পাড়ার দোকানে দোকানে লুডুর বোর্ড বিক্রি করা হতো। কিন্তু এখন আর এই লুডুর বোর্ড অনেক খোজাখুজির পরও সহজে পাওয়া যায় না। পাড়ার টং গুলোতেও লুডু খেলার দৃশ্য দেখা যায় না। এখন আধুনিকতার ছোয়ার সেই দৃশ্য বদলে গেছে। এখন মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন। মানুষ লুডু খেলে মোবাইলে। যার কারনে এখন লুডুর সেই বোর্ডগুলো পাওয়া যায় না।
আমাদের বাড়ির পাশের বাড়ির এক চাচাতো ভাইয়ের স্মার্টফোন নেই। তার একটি লুডুর বোর্ড আছে। কিন্তু খেলার মতো মানুষ নেই। ঈদের ছুটিতে এইবার যখন সবাই বাড়িতে এসেছিলো তখন একদিন টং এ পাশের বাড়ির চাচাতো ভাই আহসান হাবীব একদিন লুডু খেলার জন্য বোর্ড ও গুটি বের করে নিয়ে আসলো।
আসহান, আজমল ভাই, আশরাফুল ভাই ও সিদ্দিক চাচা এই চারজন বসে খেলা শুরু করে দিলো। আশরাফুল ভাইয়ের অনেক আগে থেকেই লুডু খেলার নেশা। আমার মোবাইলে মাঝে মাঝে লুডু খেলে সে। অনেকদিন পর সবাই একসাথে বসে লুডুর বোর্ডে লুডু খেলছে। আমার একজন জেঠাতো ভাই আছে নাম নূর আলি ওর ও লুডু খেলার নেশা খুব। সেদিন ও ছিলো না নাহলে খেলার জন্য অবশ্যই আসতো।
আমার অবশ্য লুডু খেলতে বেশী ভালো লাগে না। তবে ১টা ম্যাচ হলে খেলা যায়। কিন্তু একটানা লুডু খেলতে মোটেই পছন্দ করি না আমি।
আজকার লুডু খেলাটা জুয়ায় পরিনত হয়ে গেছে। এখন মানুষ মোবাইলে টাকা দিয়ে লুডু খেলে। রেললাইনের ধারের মানুষেরা বড় বড় লুডুর বোর্ড বসিয়ে টাকা দিয়ে লুডু খেলে। যেটা আমাদের সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট করে দিচ্ছে। আমাদের সবারই উচিত লুডু খেলাটাকে খেলা হিসাবে নিয়ে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য খেলা টাকা দিয়ে নয়।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১৩ |
ক্যামেরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | জমির হাট, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। |
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। |
Vote for @bangla.witness
লুডু এমন একটি খেলা যা পরিবারের সকল সদস্যদের একসাথে খেলতে দেখতে পাওয়া যায়। আমরা প্রায় খেলি আমার বড় ভাই মা-বাবা এবং ছোট বোন সবাই অনেক আনন্দ উপভোগ করি। লুডু অনেক প্রাচীনতম খেলা।আগেকার দিনে এর বড় আয়োজন হত কিন্তু বর্তমানে আর ওই খেলা খেলতে দেখাই যায় না।
এখন সবাই মোবাইলে লুডু খেলে
লুডু খেলতে আমার অনেক ভালোলাগে।বৃষ্টির দিনে ভাই বোন সবাই মিলে একসাথে লুডু খেলার মজাই আলাদা।স্কুল জীবনে টিফিনের সময় খাওয়া-দাওয়া শেষে বান্ধবীরা সবাই মিলে একসাথে লুডু খেলতাম।লুডু খেলা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু
বাহ্ অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই।লুডু খেলতে আমি অনেক পছন্দ করি।বিশেষ করে বৃষ্টির সময় খেলতে ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
লুডু খেলা নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন।এই লুডু খেলা আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
আমার জীবনে এই লুডু খেলার ইতিহাস অনেক। মাত্র পুটের জন্য আমার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলো। ধন্যবাদ বদ্দা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ছোট। এই এক জিনিসটা খুব খারাপ যেমন এক নারী ইত্যাদি ইত্যাদি।
https://twitter.com/saikat01718/status/1678062450728632323?t=vYGnPxjFcc2VIx4DLecONA&s=19
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/6) Get profit votes with @tipU :)
লুডু আমাদের দেশের জনপ্রিয় একটি খেলার মধ্যে অন্যতম। লুডু খেলার মজাই অন্যরকম। লুডু বৃষ্টির দিনে পরিবারের সকলেই মিলে খেলা যায়। তবে অনেক সময় দেখা যায় গ্রামগঞ্জের মানুষ গরমে টং বসে লুডু খেলে সময় পাড় করিয়ে দেয়। লুডু খেলা নিয়ে অনেক সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
লুডু খেলা গ্রামীণ খেলা। বৃষ্টির দিনে পরিবার নিয়ে এই লুডু খেলা হয়।মাঝে মাঝে বন্ধু বান্ধব নিয়ে লুডু আড্ডা দেওয়া হয়। সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই
এখনো সময় পেলে পরিবারের সবাই যদি একসাথে হই, বিশেষ করে কাজিনেরা সবাই তখন এনালগ পদ্ধতিতে লুডু খেলি। এখন অবশ্য মোবাইলে লুডু কিংস খেলেতেই আগ্রহী সবাই তবে এই লুডু দিয়ে খেলার আনন্দই অন্যরকম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু