ধান চাল ও গম পরিষ্কার করার মাধ্যম হলো "কুলা"
প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি,আজকে আমি বাঁশের তৈরি কুলা নিয়ে কিছু আলোচনা করবো আশা করি সবার ভালো লাগবে।
বাঁশের তৈরি এই হস্তশিল্প কুলা ব্যবহার করা অনেক সহজ। আমরা কুলার ব্যবহার করে অনেক কাজ করি। শুধু গ্রামে না শহরেও এই বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প ব্যবহার করা হয়।গ্রাম অঞ্চলে এই বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প ও পন্য সামগ্রী শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। শহরে বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প খুব কম পাওয়া যায়। যার কারণে এই বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প শহরে গিয়ে বিক্রয় করে অনেক অর্থ আয় করা যায়।আবার কেউ কেউ এই বাঁশের তৈরি কুলা ব্যবহার করতে পারে না,এই কুলা চালানোর জন্য দক্ষতা লাগে,আমি আপনারা এই কুলা কেউ চালাতে পারে আবার কেউ পারে না।
আর আমাদের কুলা তৈরি করতে প্রথমে আমাদের বাঁশ প্রয়জন।আর বাঁশের তৈরি হস্তশিল্পের মধ্য থেকে একটি হলো কুলা। গ্রাম অঞ্চলে বাঁশের বাগান অনেক।গ্রাম অঞ্চলে বাঁশের তৈরি হস্তশিল্পের ব্যবহার অপরিসিম। যেমন বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প হলো কুলা।কুলা আমরা নানা কাজে ব্যবহার করে থাকি। বাঁশ ও বেত দিয়ে অনেক হস্তশিল্প তৈরি করা যায় যেমন, ডালা, কুলা,ঝুরি,চেয়ার ইত্যাদি । বাঁশ গ্রাম অঞ্চলে অনেক দেখা যায়। তবে শহর অঞ্চলে কিন্তু বাঁশের বাগান দেখা যায় না,যার কারনে গ্রামের মানুষ শহরে গিয়ে বাঁশের তৈরি জিনিস গুলো বিক্রি করে।গ্রামের ঐতিয্যবাহি হস্তশিল্প হলো বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র। গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প আছে। বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প আমরা অনেকেই ব্যবহার করে থাকি। যেমন হলো কুলা।
আমাদের এই গ্রাম বাংলার সবার ঘরে ঘরে কুলা আছে,আমরা এই কুলা দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করি।যেমন আমন ধান কাটা মাড়ার পর সবাই ধান কুটার জন্য আমরা মিলে যায়,আর মিল থেকে আনার পর আমরা বাসায় এসে এগুলো পরিষ্কার করি।আর যদি পরিষ্কার না করি তাহলে ঐ চালে আখির থাকার সম্ভবনা থাকে তাই আমরা সবাই এ কুলা দিয়ে চাল টা পরিষ্কার করে নিতে হয়। আর আগের যুগের মানুষ এই কুলা দিয়ে চাল ঝাড়া ঝাড়ি করতো,কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে।আগের মানুষ কিন্তু ধান কুটে আনার পর সবাই বাসায় এই কুলা দিয়ে ঝেরে নেই, কারন মিলে কিন্তু সব কিছু পরিষ্কার হয় না।
কুলা আমরা সাংসারিক কাজে ব্যবহার করে থাকি। কুলা দিয়ে আমরা চাল থেকে আঁখির বা তুষ বের করে থাকি।যার কারণে চাল থেকে ময়লা পরিষ্কার হয়।এই হস্তশিল্প তৈরিতে বাঁশের ভুমিকা অপরিসিম।আদি কাল থেকে মানুষ এই বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প ব্যবহার করে আসছে। গ্রামের অনেক লোক এই বাঁশের হস্তশিল্প তৈরি করে তাদের পরিবার চালিয়েছে। আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলে অন্যতম ব্যবহারযগ্য উপাদান হলো বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প।কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সব কিছু দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম অঞ্চল থেকে।এখন বেশির ভাগ মানুষ মিলের চাল কিনে ভাত খাই,আর আগের মানুষ ধান আবাদ করে তারা ঐ ধান কুটে এনে তারা সংসার চালায়। আজকে আমার এই ছিল কিছু কুলা নিয়ে কথা, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,,,,আল্লাহ হাফেজ,,,,
ডিভাইস | Redmi 9A |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | যশাই হাট,পার্বতীপুর |
You can also vote for @bangla.witness witnesses
কুলা আমাদের গৃহস্থালির কাজের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঁশের তৈরি কুলা এখনো প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায়। তবে ইদানিং প্লাস্টিকের তৈরি কুলাও বাজারে দেখা যাচ্ছে। যেটা এই শিল্পের সাথে জড়িত মানুষ জনের জন্য অনেকটা হুমকি। অনেক ভালো লিখেছেন ভাই। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।পোস্ট কোয়ালিটি সত্যিই অনেক ভালো হয়েছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
প্রাচীনকাল থেকে আমাদের বাড়িতে ব্যবহার হয়ে আসতেছে এই কুলা। কুলার মাধ্যমে ধান, চাল ঝাড়ার কাজ হয়ে আসতেছে। কুলা আমাদের একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। কিন্তু শহরে আর তেমন এই শিল্পটি দেখতে পাওয়া যায় না। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে
শহরে বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প খুব কম পাওয়া যায়। যার কারণে এই বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প শহরে গিয়ে বিক্রয় করে অনেক অর্থ আয় করা যায়।আবার কেউ কেউ এই বাঁশের তৈরি কুলা ব্যবহার করতে পারে না,এই কুলা চালানোর জন্য দক্ষতা লাগে। কুলা দিয়ে আমার মা ধান,চাল,ইত্যাদি জিনিস পরিষ্কার করতে পারে।আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপাস্থপনা করেছেন ভাই। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই
কুলা আমাদের গৃহস্থালি অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। কুলা বাঁশ শিল্পের আসবাবপত্র। ধান মাড়াই এর পর কুলা দিয়ে ধান পরিষ্কার করতে এ কুলার দরকার হয়। কুলা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। চাল থেকে পাথর এবং ডাল থেকে শুরু করে মসলা পরিষ্কার করতে কুলার ভূমিকা অপরিসীম। আপনি কুলা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে
আমাদের গ্রামের ভাষায় এটিকে কুলা বলে থাকে। গ্রামে এটির ব্যবহার অনেক । বিশেষ করে গৃহস্থবাড়িতে এটির ব্যবহার অনেকে। কারন ধান এর সময় এর ব্যবহার আরো বেড়ে যায় । আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের এই কুলার ব্যবহার। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামে বসবাস করে অবশ্য কুলা চেনেনা এমন মানুষ হয়তো নেই।বাংলাদেশে কুলা একটি খুব পরিচিত বাঁশের তৈরি জিনিস যা দিয়ে চাল ডাল ইত্যাদি পরিষ্কার করা হয়।এই কুলা গুলো সাধারণত বাস কেটে ছোট ছোট বাতা দিয়ে তৈরি করা হয়। বাঁশের তৈরি এসব কুলা গুলো টেকসই অনেক মজবুত হয়ে থাকে এগুলো প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত টিকে। গ্রামের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের এক অন্যতম উদাহরণ হল এই কুলা। একবার আমি আমাদের গ্রামের এক লোকের কাছে দেখেছিলাম বাঁশ কেটে তিনি কুলা বানাচ্ছেন কেমন করে আসলেই তিনি খুব নিপুণভাবে কুলা বানাচ্ছিলেন।তবে এখন বর্তমানে দেখা যায় যে কুলার প্রচলন দিন দিন কমে আসতেছে এর প্রধান কারণ হলো যেখানে আমরা ধান ভাঙ্গি বাচাল করি সেখানেই বাতাস দেওয়ার মাধ্যমে চালগুলোকে পরিষ্কার করা হয় যার ফলে কুলার ব্যবহার আর তেমন দেখা যায় না।আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লিখেছেন। আপনার লেখাগুলো আমি পড়লাম বেশ ভালোভাবে উপস্থাপন করছেন আপনি এই সম্পর্কে। ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
কুলা অনেক প্রচলিত। যখন কুলায় চাল গম ধান এগুলা যখন সবাই একত্রে বাচনা হয় তখন কুলা থেকে অনেক সুন্দর একটা সাউন্ড আমরা সুনতে পাই।এ সাউন্ড অনেক সুন্দর লাগে।ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
কুলা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এই কুলা দিয়ে ধান, চাল,ডাল,সরিষা পরিষ্কার করা হয়। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। এই কুলা আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে থাকি।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই